কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ দলটি খোয়াই জেলার বন্যা বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখে রিপোর্ট সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
।ভূমি ধ্বস পড়া স্থান পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় টিম।
খোয়াই জেলার জেলাশাসক চাঁদনী চন্দন জানিয়েছেন, “বন্যায় গোটা খোয়াই জেলাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর। তবে এখন চূড়ান্ত তথ্য উঠে আসে নি। তার জন্য সময় লাগবে আরো কিছুটা দিন।”
।।বিজ্ঞাপন।।
তেলিয়ামুড়া ডেস্ক, ৩০আগস্ট।। বন্যায় বিপর্যস্ত ত্রিপুরায় পরিদর্শন কালে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা শুক্রবার তেলিয়ামুড়া মহকুমা সফরে করেন। এদিন এই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ দলটি তেলিয়ামুড়া মহকুমার ঘিলাতলি, কমলনগর, কল্যাণপুর, মুঙ্গিয়াকামী সহ আঠারোমুড়া পাহাড়ের জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করেন। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলটি তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি থানাধীন ৪৩ মাইল এলাকার শরণার্থী শিবির সহ অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরগুলিও পরিদর্শন করে দেখেন।
চলতি বছরের আগস্ট মাসের রেকর্ড সৃষ্টিকারী বন্যায় রাজ্যের সর্বত্রই ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। আজও নিখোঁজ অনেক লোকজন।
এদিনের এই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলার জেলাশাসক চাঁদনী চন্দন, জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী, তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক পরিমল মজুমদার সহ অন্যান্যরা। এদিন এই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ দলটি খোয়াই জেলার বন্যা বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখে রিপোর্ট সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। খোয়াই জেলার জেলাশাসক চাঁদনী চন্দন জানিয়েছেন, “বন্যায় গোটা খোয়াই জেলাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর। তবে এখন চূড়ান্ত তথ্য উঠে আসে নি। তার জন্য সময় লাগবে আরো কিছুটা দিন।”
।।শরণার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় টিমের আলাপন।।
চলতি বছরের আগস্ট মাসের রেকর্ড সৃষ্টিকারী বন্যায় রাজ্যের সর্বত্রই ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। আজও নিখোঁজ অনেক লোকজন। এখনো বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে অবস্থান করছে শরণার্থী শিবিরে বহু জায়গার জল এখনো নামে নি।
।।বিজ্ঞাপন।।
সব মিলিয়ে বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে প্লাবিত অঞ্চলে মানুষ ।তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বন্যা পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য শক্ত হাতেই কাজ করে চলছে। রাজ্যের এই সংকট মুহূর্ত অবস্থায় দেশের বহু রাজ্য দাঁড়িয়েছে পাশে। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ত্রিপুরার জন্য ঘোষনা করেছেন আর্থিক সাহায্যও।