ডেস্ক রিপোর্টার,৩০ মার্চ।।

               “জমি বাণিজ্য”- এটি ত্রিপুরার কুঠির শিল্প। বাম – রাম উভয় জামানাতেই। এই বাণিজ্য কেন্দ্র করেই গোটা রাজ্যে সক্রিয় জমিদস্যুরা। তারা কিভাবে সরকারী জমি গ্রাস করে? বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই সংক্রান্ত তথ্য ভিত্তিক রিপোর্ট তুলে ধরলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।পরবর্তী সময়ে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার জমি চুরির উপাখ্যান তুলে ধরেন এক জেলা শাসকের দেওয়া চিঠির মূলে।

              সুদীপ রায় বর্মন অভিযোগ করেন, জমি মাফিয়াদের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত রাজ্য সরকারের ভূমি রেকর্ড ও বন্দোবস্ত দফতরের দু’জন অফিসার রত্নজিৎ দেববর্মা ও তাপস চৌধুরী। ২০২৩ – র ১৮ সেপ্টেম্বর সিপাহীজলা জেলার তদানীন্তন জেলা শাসক রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জমি কেলেঙ্কারির কথা জানিয়ে ছিলেন। তিনি চিঠিতে ১৪০০ বিঘার বেশি জমি কেলেঙ্কারির তথ্য তুলে ধরেন। জেলা শাসক চিঠিতে জানিয়ে ছিলেন, এই জমি কেলেঙ্কারি বিষয়ে সরকার চার্জশিট তৈরি করতে চাইলে তিনি সাহায্য করবেন।

।।কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।।

সুদীপ রায় বর্মনের বক্তব্য অনুযায়ী, জেলা শাসক চিঠিতে রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ” চিঠির ঘটনা জানতে পারলে দুই সরকারী আধিকারিক রত্নজিৎ দেববর্মা ও তাপস চৌধুরী জমির রেকর্ড কারচুপি করতে পারে।” সুদীপের দাবী, জেলা শাসকের এই চিঠির পরও কোনো এক রহস্য জনক কারনে রাজ্য সরকার বিষয়টি চেপে গিয়েছে। জমি কেলেঙ্কারির রহস্য ফাঁস করতে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সুদীপের ভাষায়, রাজ্যের  বিজেপি সরকার নির্লজ্জ, কালিমালিপ্ত ও আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। জমি কেলেঙ্কারির রহস্য ভেদ করতে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার হস্তক্ষেপে দাবি করেছেন।

#Tripura #Sipahijala #DM #Land #S@cam #JM


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *