ডেস্ক রিপোর্টার,৯ মার্চ ।। দ্বিতীয় দফার বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এর আগে কোনো সরকার এই ধরনের চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিতে পারে নি।বলছেন,রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রবিবার আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষ পালন করে খুব জাক জমক ভাবে। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই সমাবেশস্থলে রাজ্য সরকার দুইটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা দেয়। প্রকল্পের ঘোষক ছিলেন। খোদ জেপি নাড্ডা।
প্রথম প্রকল্প – মুখ্যমন্ত্রী বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা। দ্বিতীয় প্রকল্প – মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্ম নির্ভর যোজনা।
জেপি নাড্ডা ( সর্বভারতীয় সভাপতি, বিজেপি)
বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রকল্প ঘোষণা করে তার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেন। জেপি নাড্ডার কথায়, মুখ্যমন্ত্রী বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা রাজ্যের গরীব অংশের মানুষের মধ্যে হাসি ফোটাবে। এর আগে এই রকম প্রকল্প ত্রিপুরার কোনো সরকার ঘোষণা করে নি। রাজ্যের বিপিএল পরিবার ভুক্ত পরিবার গুলিতে কন্যা সন্তান জন্ম হলে,এখন থেকে আর মা – বাবার চিন্তা করতে হবে না।কারণ মুখ্যমন্ত্রী বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা অনুযায়ী, বিপিএল পরিবার ভুক্ত পরিবার গুলিতে মেয়ে সন্তান জন্ম হলেই তার নামে রাজ্য সরকার পঞ্চাশ হাজার (৫০,০০০)টাকার বন্ড দেবে। কন্যা সন্তানের বয়স ১৮ বছর হলে এই বন্ড ভাঙতে পারবে।তখন বন্ডের মোট টাকার পরিমাণ হবে দশ লক্ষ (১০,০০০০০) টাকা। নিশ্চিত ভাবে কন্যা সন্তানের ১৮ বছর বয়সে এই অর্থ খুব অপরিহার্য হয়ে উঠবে।
।প্রতীকী ছবি।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪০ জন টপার ছাত্রীর মধ্যে স্কুটি প্রদান করবে রাজ্য সরকার।
জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, সরকারের দ্বিতীয় প্রকল্পের নাম মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্ম নির্ভর যোজনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪০ জন টপার ছাত্রীর মধ্যে স্কুটি প্রদান করবে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে থাকবে টিবিএসই , সিবিএসই ও আইএসসি এই তিন বোর্ড। এতো দিন রাজ্য সরকারের এই শুধু মাত্র টিবিএসই ছাত্রীদের স্কুটি প্রদান করে আসতো।এখন তাতে যুক্ত হয়েছে সিবিএসই ও আইএসসি।
।প্রতীকী ছবি।
নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পর দিন ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের এই দুইটি প্রকল্প ঘোষণা করা বিষয়টি তাৎপর্য পূর্ন। বিশেষ ভাবে মুখ্যমন্ত্রী বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা সাধারণ গরিব অংশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করবে। বিপিএল ভুক্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া কন্যা সন্তানরা নিশ্চিত ভাবে পাবে একটা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। আর এই অর্থকে হাতিয়ার করে কন্যা সন্তানরা দাঁড়াতে পারবে নিজের পায়ে।হতে পারবে আত্ম নির্ভর।