এই ঘটনার আগে উগ্র মুসলিম জনতা কদমতলা মূর্তিপাড়াতেও হামলা চালায়। মূর্তি পাড়ার প্রতিমা ভাঙ চুলের চেষ্টা করে।
।।পুলিশের দখলে কদমতলা।।
স্থানীয় ইন্ডিয়ান ক্লাবের সদস্যরা এক মুসলিম গাড়ি আটক করে বল পূর্বক চাঁদা আদায় করতে গিয়েই ঘটে চরম বিপত্তি। মারধরের অভিযোগও উঠে ইন্ডিয়ান ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে।এর পর থেকেই সমস্ত মুসলিম অংশের উত্তেজিত জনতা প্রতিবাদে সরব হয়। জানিয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
শারদ উৎসবের প্রাক্কালে কদমতলাতে এই গোষ্ঠির সংঘর্ষের ঘটনা কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যেই এক অবিশ্বাসের বাতাবরণ ছড়িয়ে পড়ছে।
।।বিজ্ঞাপন।।
ডেস্ক রিপোর্টার, ৭অক্টোবর।। উৎসবের প্রাক লগ্নে সাম্প্রদায়িক আগুনে জ্বলছে উওর জেলার কদমতলা। গোটা অঞ্চল শুনশান।গ্রাস করেছে নিস্তব্ধতা। কদমতলা বাজারের রাজপথে ক্ষণে ক্ষণেই দেখা যায় ধ্বংসলীলার নিদর্শন। চাঁদা আদায়ের ঘটনা কেন্দ্র করেই রবিবার সকাল থেকে তপ্ত হয়ে উঠেছিল কদমতলা। রাস্তায় নেমে যায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। কিছু উগ্র মুসলিম দিনভর কদমতলা বাজারের দোকানপাটে নির্বিচারে ভাঙচুর করে। হিন্দুদের বাড়ি ঘরে ঢুকে মারধর করেছে। অসহায় হয়ে পড়েছিল স্থানীয় সনাতনী অংশের মানুষ।
পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে কদমতলা বাজার অঞ্চলে পুলিশের বহর বাড়ালেও, পুলিশের মধ্যে ছিল এক আরষ্ট ভাব। দুপুর থেকে গোকুলেই উগ্র মুসলিমদের মনে হিংসার বহর বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা নাগাদ পুলিশের সামনেই তারা দখল নেয় কদমতলা বাজার। অভিযোগ, একের পর এক দোকান পাটে দুষ্কৃতীরা আগুণ দেয়।রাতভর চলে ধ্বংসলীলা।খোদ পুলিশ প্রশাসনের উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা।তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী ও সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন। সঙ্গে সাধারন নাগরিকরাও। এরপর সিআরপিএফ জওয়ানরা প্রথমে টিয়ার গ্যাস ছুড়ে।এরপরও আক্রমণকারীরা তাদের হামলার গতি আরও তীব্র করেই। এরপরই পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। তখনই সুলতান আহমেদ নামে এক যুবকের পায়ে গুলি লাগে। এবং তার মৃত্যু হয়।
এই রক্তক্ষয়ী ঘটনার জন্য পুলিশের দুর্বলতাকেই দায়ী করছে সাধারণ মানুষ।
এই ঘটনার আগে উগ্র মুসলিম জনতা কদমতলা মূর্তিপাড়াতেও হামলা চালায়। মূর্তি পাড়ার প্রতিমা ভাঙ চুলের চেষ্টা করে। তাদের ছোড়া ইট পাটকেলে রাখাতে ক্ষতবিক্ষত হয় মা দুর্গার প্রতিমা। এই রক্তক্ষয়ী ঘটনার জন্য পুলিশের দুর্বলতাকেই দায়ী করছে সাধারণ মানুষ।
গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিলো দূর্গা পূজার চাঁদা আদায় সংক্রান্ত বিষয়।স্থানীয় ইন্ডিয়ান ক্লাবের সদস্যরা এক মুসলিম গাড়ি আটক করে বল পূর্বক চাঁদা আদায় করতে গিয়েই ঘটে চরম বিপত্তি। মারধরের অভিযোগও উঠে ইন্ডিয়ান ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে।এর পর থেকেই সমস্ত মুসলিম অংশের উত্তেজিত জনতা প্রতিবাদে সরব হয়। জানিয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
।।দূর্গা প্রতিমায় ইট – পাটকেল।।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ফের জারি করা হয় ১৬৩ ধারা। আগামী ৯ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত এই আইন বলবৎ থাকবে কদমতলাতে।
রবিবারের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার সকালে ফের তপ্ত হয়ে উঠে কদমতলা। অভিযোগ, সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় হিন্দুদের পাল্টা আক্রমণ। ভাঙচুর চলে মুসলিম দোকানপাটে। এক কথায় আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কদমতলা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ – টি এস আর ও সিআরপিএফ। নিরাপত্তা বাহিনী দখল নেই গোটা কদমতলা বাজার এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ফের জারি করা হয় ১৬৩ ধারা। আগামী ৯ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত এই আইন বলবৎ থাকবে কদমতলাতে। এই মুহূর্তে কদমতলা তে অবস্থান করেছেন নর্দান ডিআইজি জিএস রাও,মহকুমা শাসক, জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন সহ অন্যান্য উচ্চ আধিকারিকরা ময়দানে রয়েছেন। ডিআইজি জিএস রাও জানিয়েছেন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে পুলিশ। আইন লংঘন করলে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে করা পদক্ষেপ নিতে তারা পিছপা হবে না।
শারদ উৎসবের প্রাক্কালে কদমতলাতে এই গোষ্ঠির সংঘর্ষের ঘটনা কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যেই এক অবিশ্বাসের বাতাবরণ ছড়িয়ে পড়ছে। এটা অবশ্যই রাজ্যের জন্য মঙ্গলদায়ক নয়। ইতিমধ্যেই ধলাই জেলার গন্ডাছড়া ও পশ্চিম ত্রিপুরার রানির বাজার সাম্প্রদায়িক আগুনে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। উৎসব মুহূর্তে মানুষের মধ্যে তাড়া করছে এক অজানা আতঙ্ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে গোটা রাজ্যে পুলিশ প্রশাসন আরো কঠোর না হলে যেকোন সময় পরিস্থিতি আরো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।