সামাজিক ভাতা, রেগা টুয়েপে কাজের দিন ও মজুরি বৃদ্বি, বাতিল জবকার্ড পুণরায় চালু করা,গৃহহীনদের পাকা ঘর সুনিশ্চিত করা সহ সাত দফা দাবীতে খোয়াইয়ে ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের মিছিল, জমায়েত ও গণ ডেপুটেশন

খোয়াই ডেস্ক,২৯অক্টোবর।।:
           গৃহহীনদের সরকারী পাকা ঘর প্রদানে জি ও ট্য্যাগিংয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ করা, ৩৪০টাকা দৈনিক মজুরিতে রেগায় বছরে ২০০দিনের কাজ প্রদান করা,টুয়েপ প্রকল্পেও কাজের দিন ও মজুরি বৃদ্বি করা, বাতিল হওয়া জবকার্ড পুণরায় চালু করা, ষাটোর্ধ সকল ক্ষেতমজুরদের সামাজিক ভাতার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে  প্রকৃত প্রাপকদেরকে ভাতা প্রদান করা ও রেগায় এ বি পি এস পদ্ধতিতে মজুরি প্রদান বন্ধ করা ইত্যাদি সাত দফা দাবীতে বুধবার খোয়াইয়ে ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের ডাকে হলো মিছিল জমায়েত গণ ডেপুটেশন।কয়েকশত ক্ষেতমজুর কৃষিশ্রমিক  জুমিয়া নারী পুরুষ  সাড়া জাগানো এদিনের জেলা স্তরের কর্মসূচীতে সামিল হয়ে জীবন জীবিকার আদায় যোগ্য দাবী আদায়ে সোচ্চার হয়ে শ্লোগানে গলা মিলিয়ে গরীব মেহনতি মানুষের স্বার্থে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের জনবিরোধী নীতির অভিমুখ পরিবর্তনে দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানালেন।তীব্র দাবদাহের মধ্যে প্রখর রৌদ্রতাপকে উপেক্ষা করে মানুষ এদিন মিছিলে সামিল হয়ে  পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটলেন পীচঢালা তপ্ত রাজপথ।
        এদিন বেলা বারোটা নাগাদ কর্মসূচীর মূল ব্যানারকে অগ্রভাগে রেখে উদ্দীপ্ত মিছিল শুরু হয় খোয়াই জেলা শহরের কবিগুরু পার্কের রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশ থেকে।তার আগে জেলার দুটি মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন এখানে এসে সমবেত হতে থাকেন বেলা এগারোটার পর থেকে।ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের খোয়াই জেলা কমিটির ডাকে হয় এদিনের দৃপ্ত কর্মসূচী।


গণ আন্দোলনের নেতাসহ  কৃষক ক্ষেতমজুর নেতৃবৃন্দকে সামনে রেখে শুরু হয়ে মিছিল বনকর, নতুন টাউন হল কম্প্লেক্স, জ্যোতি সিনেমা হল রোড হয়ে জননেতা রঞ্জন রায়  সেতুর ওপর দিয়ে নিবেদিতা পার্ক , জেলা হাসপাতাল রোড ও জননেতা নৃপেন চক্রবর্তী অ্যাভেনিও ঘুরে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র সুভাষপার্ক এলাকা পরিক্রমা শেষে স্থানীয় বইমেলা মাঠে এসে জমায়েতে মিলিত হয়।মিছিল শুরুর আগে সাতজনের প্রতিনিধিদল অফিসটিলায়  জেলা শাসকের সাথে তার অফিস কক্ষে মিলিত হয়ে দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দিয়ে আসেন।
       জমায়েতে সংগঠনের মহকুমা সভাপতি বিষ্ণুজিত দস্তিদার ছিলেন সভাপতি।এখানে দাবীসনদের ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সহ সম্পাদক প্রদেশ রায়,জি এম পি — র কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সহ সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা, সংগঠনের খোয়াই জেলা সম্পাদক অজয় ঘোষ।
     নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সাত দফা দাবী ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন বা  শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোন সংগঠনের দাবী নয়।এই দাবী সারা রাজ্যের ক্ষেতমজুর তথা সাধারণ কৃষিশ্রমিক সহ আপামর জনগণের জীবন জীবিকা বা খাওয়া পড়া বাঁচা বাড়ার সাথে সম্পৃক্ত দাবী।ডাবল ইঞ্জিন সরকারের রাজত্বে রাজ্যে  আজ গরীব মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।সংকীর্ণ রাজনীতির বিচারে আজ সরকারী প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থক পরিবারের লোকজন।রেগার কাজ এমনিতেই নেই।তারপরেও ছিটেফোঁটা কাজ যতটুকুই বা হচ্ছে তাও মিলছে না জবকার্ডধারী বিরোধী দলের লোকজন।          শারদোৎসবের সময় কাজ যতটুকুই হয়েছে তারও মজুরি মিলছে না।কোজাগরী উৎসব বা দীপাবলির সময়েও দেওয়া হয়নি মজুরি।সামাজিক ভাতা প্রকল্পের থেকেও বঞ্চিত প্রকৃত প্রাপকেরা।কাজ নেই টুয়েপ প্রকল্পেও।সরকারী প্রকল্পের ঘরের সুবিধাও পাচ্ছেন না অনেকেই।এক্ষেত্রেও বৈষম্যের শিকার অনেক মানুষ।এই অবস্থায় আমাদের সাত দফা দাবী কোন আহামরি দাবী নয়।সবগুলো দাবীই আদায়যোগ্য।জীবন জীবিকার এই দাবী আদায়ে ও ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অনিচ্ছুক হাত থেকে নায্য অধিকার ছিনিয়ে আনার জন্য আগামীদিন আরো বৃহত্তর আন্দোলনের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *