কমরেড জেআরসি নাকি রাজ্যের মন্ত্রী – বিধায়কদের সঙ্গেও অশালীন ব্যবহার করে থাকেন। রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রাম প্রসাদ পাল থেকে শুরু করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতীমা ভৌমিকের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন অবসরের দৌড় গোড়ায় আসা কমরেড জেআরসি’ রঞ্জিত দাস।

জেআরসি বরাবর মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক কমল মল্লিককে খুব তোয়াজ করে থাকেন। কমলের জন্য জেআরসি বরাদ্দ করে দেন ত্রিপুরা ভবনের ভিআইপি রুম।

।।জেআরসি রঞ্জিত দাস।।

ডেস্ক রিপোর্টার,১২ আগস্ট।।
                দিল্লির কৌটিল্যমার্গ ত্রিপুরা ভবনে অঘোষিতভাবে নিজস্ব প্রশাসন চালু করে রেখেছেন জয়েন্ট রেসিডেন্ট কমিশনার(জে আর সি) রঞ্জিত দাস। অভিযোগ, ত্রিপুরা ভবনে কর্মরত কর্মচারীদের। দিল্লির কৌটিল্যমার্গ ত্রিপুরা ভবন অচলাবস্থা! জেআরসি ‘ র রক্ত চক্ষুতে তটস্থ কর্মচারী সহ ভবনে যাওয়া লোকজন। তাঁর দুর্ব্যবহারে বীতশ্রদ্ধ মানুষ। অথচ রাজ্যের মানুষের অর্থেই চলছে ত্রিপুরা ভবন।

।।বিজ্ঞাপন।।

অভিযোগ, কমরেড জেআরসি রাজ্যের মন্ত্রী – বিধায়কদের সঙ্গেও অশালীন ব্যবহার করে থাকেন। রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রাম প্রসাদ পাল থেকে শুরু করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতীমা ভৌমিকের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন অবসরের দৌড় গোড়ায় আসা কমরেড জেআরসি’ রঞ্জিত দাস। আর দিল্লি ত্রিপুরা ভবনে যাওয়া রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার ব্যবহারের “মান” কি হতে পারে এটা সহজেই অনুমেয়।

আরো খবর পড়ুন https://janatarmashal.com/tipura-news-will-hasinas-departure-in-bangladesh-wake-up-the-resident-militants-of-sajek-hill-in-the-northeast-of-chittagong-bangladesh-india-tipura-news

কৌটিল্য মার্গ ত্রিপুরা ভবনে কর্মরত কর্মীদের কথায়, জেআরসি বরাবর মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক কমল মল্লিককে খুব তোয়াজ করে থাকেন। কমলের জন্য জেআরসি বরাদ্দ করে দেন ত্রিপুরা ভবনের ভিআইপি রুম।কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী কমল ভিআইপি রুম পাওয়ার যোগ্য নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক কমল মল্লিককে ভর করে জেআরসি রঞ্জিত দাস নাকি ত্রিপুরা ভবনে ভালই ব্যবসার আড়ত খুলে বসেছেন।

(কমল মল্লিক, আপ্ত সহায়ক, মুখ্যমন্ত্রী)

ত্রিপুরা ভবনের খাওয়া দাওয়া অত্যন্ত নিম্ন মানের।


ত্রিপুরা ভবনের অবস্থান করা রাজ্যের লোকজনের বক্তব্য, ভবনের খাওয়া দাওয়া অত্যন্ত নিম্ন মানের। নিয়ম অনুযায়ী, ভবনে প্রতি মিল ৬০ টাকা।কিন্তু মিল অখাদ্য। ভবনের ভিতরে রীতিমতো ব্যবসা সাজিয়ে বসেছেন রঞ্জিত দাস। অভিযোগ, সাধারণের থাকার জন্য ভবনের রুম গুলির অবস্থা খুব করুন। গত কয়েকমাস আগে রাজ্যের ত্রিপুরা ভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। তিনি নিজেই চাক্ষুষ করেছেন ত্রিপুরা ভবনের অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ডেকে পাঠিয়েছিলেন জেআরসি রঞ্জিত দাসকে। বিপ্লব কুমার দেবের নির্দেশে তড়িগড়ি কৌটিল্য মার্গের ভবনটি সাফাই করার করেছিলেন জে আর সি। কিন্তু ত্রিপুরার সাধারণ নাগরিকদের কোন গুরুত্বই দেননি কমরেড জেআরসি।

https://x.com/janatarmashal24/status/1817294591667909063?t=gW9bfVPZ2KxYgf6NVw28hQ&s=19

কৌটিল্যমার্গ ত্রিপুরা ভবনে কান পাতলেই  কমরেড জেআরসি রঞ্জিত দাসের নানান কারনামা শুনা যায়। তার বিরুদ্ধে ত্রিপুরার অনেক মানুষ অভিযোগ জানিয়েছে । তারপরও বহাল তবিয়তে আছেন তিনি।

।। বিজ্ঞাপন।।

কারণ তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক কমল মল্লিকের ঘনিষ্ঠ লোক।তাই নিয়ম লংঘন করে দিল্লি ত্রিপুরা ভবনে কমলের জন্য ব্যবস্থা করে দেন ভিআইপি রুম। আর সাধারণ মানুষ আগে থেকে বুকিং করেও পায় না রুম।ফলে মেঝেতেই শুয়ে থাকতে হয় তাদের।রঞ্জিত দাসের এই সমস্ত ব্যবহারের কারণে বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছেন ত্রিপুরা ভবনে যাওয়া লোকজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *