ডেস্ক রিপোর্টার,২১ মার্চ।
“ভারতের সংবিধান সত্য বলার অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকারেই আমি ঔরঙ্গজেব সম্পর্কে ফেসবুকে বক্তব্য রেখেছি। তা ১০০ শতাংশ বাস্তব । কোনো ভুল নেই। আমার বক্তব্য মিথ্যে প্রমাণিত হলে আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হবে সেটা মাথা পেতে নেব।”- বক্তা রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। সম্প্রতি মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব নিয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস তাঁর সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন। এই পোস্টকে ঘিরে বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে । এর প্রেক্ষিতেই মন্ত্রী সুধাংশু দাস পাল্টা বক্তব্য দিতে গিয়ে একথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী বলেন, আমার বক্তব্য নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। ফেসবুকে করা আমার পোস্টটি বিরোধীদের অবশ্যই পড়া উচিত। আমার ব্যক্তিগত ফেসবুকের পোস্টে ঔরঙ্গজেবকে একজন কুশাসক হিসেবে চিহ্নিত করেছি। ইতিহাসের দলিল বলছে, ঔরঙ্গজেব একজন স্বৈরাচারী কুশাসক ছিলেন। হিন্দুদের নির্বিচারে তিনি হত্যা করেছেন। ৪০ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করে গোটা ভারতবর্ষকে লুটেপুটে খেয়েছে ঔরঙ্গজেব। এখন হিন্দু বিরোধী ঔরঙ্গজেবকেই দেশের নায়ক বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিরোধীরা। রাজ্যের দুই বিরোধী শক্তি কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা ভোট রাজনীতির জন্য অত্যাচারী ঔরঙ্গজেবকে ভগবানের আসনে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

মন্ত্রী সুধাংশু দাসের কথায়, ইতিহাস বলছে সম্রাট ঔরঙ্গজেব শিখ এবং হিন্দু ধর্মালম্বীদের তীব্র ঘৃণা করতেন। তাঁর শাসন কালে শত শত মন্দির, মঠ ভেঙ্গে দিয়ে সেই সমস্ত জায়গায় মসজিদ বানানো হয়েছে।হিন্দুদের কৃষ্টি ,সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সম্রাট ঔরঙ্গজেব। তিনি শিখ গুরু তেগ বাহাদুরকে হত্যা করেছেন।জোরাবর সিং, ফতে সিং নামে দুই নাবালক শিখ গুরুকে নৃশংস ভাবে খুন করেছেন ঔরঙ্গজেব। তাদের অপরাধ ছিল, মুসলিম ধর্ম গ্রহণ না করা। অত্যাচারী ঔরঙ্গজেব তার বাবা ভাইদের ও খুন করেছেন।ঔরঙ্গজেবই ছত্রপতি শিবাজীর পুত্র সম্ভারী মহারাজকে ৪২ দিন কারাগারে আটকে রেখে পশুর মত হত্যা করেছিলেন। আজ তাকেই ঈশ্বর হিসেবে পূজা করছে কট্টর পন্থী মুসলিমরা। ভোট রাজনীতির জন্য তাতে ধোঁয়া দিচ্ছে কংগ্রেস সিপিএম ও মতো রাজনৈতিক দলগুলি। সর্বোপরি মন্ত্রী সুধাংশু দাস তাঁর বক্তব্যে ঔরঙ্গজেবের অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরেন ইতিহাসের পাতা থেকে এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন।
#Tripura # Politics #Aurangzeb# Minister# #Sudhanshu# Das#JM