নিগমের বহু কর্পোরেটর রয়েছেন, যাদের ২১- র নিগমের নির্বাচনের আগে পান্তা ভাত খেয়ে কোনো রকমে জীবন যাপন করতে হতো।থাকার জন্য ভালো ঘর তো দূরের কথা, রান্নার জন্যও ছিল ভালো রান্না ঘর।এখন তারা বিছানার নিচে টাকা রেখে রাত্তি যাপন করেন।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ মে।।
আগরতলা পুর নিগমের কর্পোরেটররা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।তাদের দুর্নীতির গন্ধ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। নিগমের সিংহ ভাগ কর্পোরেটর নিজ নিজ ওয়ার্ড এলাকায় তৈরি করে রেখেছে মিনি সিন্ডিকেট। আর এই মিনি সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই তারা রোজগার করছে অর্থ। বেপথে কামাই বাণিজ্য করে এক সময়ের নুন আনতে পান্তা ফুরানো কর্পোরেটরদের এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গিয়েছে। নিগমের প্রতিটি কর্পোরেটরের অর্থের ভৈবর দেখলেই সব স্পস্ট হয়ে যায়। অথচ তাদের জন্য নেই ইডি, ভিজিলেন্স।আগরতলা পুর নিগমের কর্পোরেটরদের বিলাশ বহুল জীবন যাত্রাই প্রমাণ করে তাদের আর্থিক দুর্নীতির উপাখ্যান।
আগামী বছর আগরতলা পুর নিগমের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা ও মেয়র দীপক মজুমদার নীরবে শুরু করেছেন কার্যকলাপ। সর্বপরি প্রদেশ বিজেপি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, শাসক দল বিজেপির সিংহ ভাগ কর্পোরেটরের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। মানুষ পছন্দ করছে না। এই মুখ গুলিকে আগামী পুর নির্বাচনে প্রার্থী করলে বিজেপির বড় মাশুল দিতে হতে পারে। এমনটাই বলছে নগরের মানুষ।

নগরের ভোটারদের কথায়, নিগমের অধিকাংশ কর্পোরেটর নিজেদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে নিয়েছেন। নিগমের বহু কর্পোরেটর রয়েছেন, যাদের ২১- র নিগমের নির্বাচনের আগে পান্তা ভাত খেয়ে কোনো রকমে জীবন যাপন করতে হতো।থাকার জন্য ভালো ঘর তো দূরের কথা রান্নার জন্যও ছিল ভালো রান্না ঘর।এখন তারা বিছানার নিচে টাকা রেখে রাত্তি যাপন করেন। এই সকল কর্পোরেটরদের ” আর্থিক শক্তি” বেড়ে গিয়েছে কয়েক হাজার গুণ। তারা এখন ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করছে।”
শহরের এক কর্পোরেটর তার ছেলের জন্ম দিনেই নাকি খরচ করেছেন প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
আভিযোগ, শহরের এক কর্পোরেটর তার ছেলের জন্ম দিনেই নাকি খরচ করেছেন প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। ভেবে দেখুন গৌরী সেনের এই টাকা এসেছে কোথায় থেকে? এক সময় এই কর্পোরেটর দুই বেলা তার উদরপূর্তি করতে পারতো না। রেলে করে আগরতলা থেকে ধর্মনগর যাওয়ার ভাড়াও থাকতো না এই কর্পোরেটরের পকেটে। দুই হাত দিয়ে ভিক্ষা চাইতে হতো তাকে। এখন এই কর্পোরেটর ভাসেন নোটের সাগরে। আরো এক কর্পোরেটর আছেন যিনি রাতে ককটেল পার্টি করার জন্য ঘুরতেন একঠেক থেকে অন্য ঠেকে।কারণ তার পকেট থাকতো শূন্য। তাই বিভিন্ন ঠেকে এক দুইটি করে পেগ নিয়ে নিজের পেটে দিতেন। ছিলো না কোনো রোজগারপাতি।
কর্পোরেটর বাবু এখন বিদেশ থেকে মদ আমদানি করেন। এবং এই বিদেশী মদ দিয়েই করেন জলসা।
এই কর্পো রেটরের বাড়িতে একটি ভালো রান্না ঘরও ছিলো না। ভাগ্য জোরে তিনি কর্পোরেটর হয়ে সাত পুরুষের অর্থ উপার্জন করেছেন। তিনি এখন রাতে ঘরে বসে সেবন করে বিদেশী মদ। কিছু দিন পর পরেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীকে। সবটাই তার লোক দেখানো। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর মুখকে সামনে রেখেই বাজার থেকে তোলা আদায় করে শহর দক্ষিণে এই কর্পোরেটর বাবু।পরিচালনা করেন সিন্ডিকেট।

নিগমের এক মহিলা কর্পোরেটর যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত। পুরো ঘটনা এসেছিল প্রকাশ্যে।
নিগমের এক মহিলা কর্পোরেটর যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত। পুরো ঘটনা এসেছিল প্রকাশ্যে। কিন্তু নিগমের মেয়র বা বিজেপি এই কর্পোরেটরদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয় নি।। প্রতিটি কর্পোরেটর তার নিজ নিজ এলাকায় শুরু করেছে কমিশন বাণিজ্য। তার জন্য তারা তৈরি করেছে সিন্ডিকেট। এলাকায় কাজ করতে যাওয়া প্রতিটি ঠিকাদারদের থেকে তারা হিসাব বুঝে নেন কড়াই গন্ডায়।
কর্পোরেটরদের এই চরিত্র থেকেই সাধারন মানুষের মধ্যে জন্ম হচ্ছে পুঞ্জিভূত ক্ষোভের। এই ক্ষোভের প্রভাব পড়বে ২৬- র পুর ভোটের ইভিএমে। তারই আঁচ করতে পারছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী, মেয়র সহ প্রদেশ বিজেপি।।তাই তারাও ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নেমেছেন মাঠে।
#Agartala #Municipal# Corporation#Corruption#Corporators#JM