ডেস্ক রিপোর্টার , ১২ এপ্রিল ।।

                   সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে বামেরা তাদের বন্ধ “পার্টি অফিসে”র তালা খুলতে শুরু করেছে। ১৮’তে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বামেদের সংশ্লিষ্ট পার্টি অফিস গুলিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।২৩- র বিধানসভা নির্বাচনেও অনেক জায়গাতে বামেরা  তাদের বন্ধ পার্টি অফিসগুলি খোলার সাহস করে নি।এখন এই চিত্রের পরিবর্তন ঘটছে। বিভিন্ন দিকে বামেরা তাদের পার্টি অফিস খুলতে শুরু করেছে। হঠাৎ করে কেন এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলো? এই ঘটনার নেপথ্যে কি খোদ মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার রাজনৈতিক সৌজন্যতা? না বামেদের শক্তির জোয়ার? লক্ষ টাকার এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

শাসক দল বিজেপি তাদের বাইক বাহিনী ও গুন্ডাদের দিয়ে পার্টি অফিসগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

এতো দিন বাম নেতা – কর্মীদের অভিযোগ ছিলো, “শাসক দল বিজেপি তাদের বাইক বাহিনী ও গুন্ডাদের দিয়ে পার্টি অফিসগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলিতে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে শাসক দলের কর্মীরা। তাই ভয়ের তটস্থ মানুষ। বাম কর্মীরাও পার্টি অফিস গুলি খোলার সাহস করে নি। অথর্ব পুলিশ প্রশাসন।”  বাম নেতাদের মৌখিক ভাষ্য অনুযায়ী, এতো দিন সিপিআইএম পার্টি অফিসগুলির মধ্যে থাকা লাল ঝান্ডা সহ লাল পতাকা ও আসবাব পত্রগুলি ধুলোতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল।  গোটা রাজ্যে এখন এই চিত্র প্রায় উধাও। বামেরা বুক ফুলিয়ে তাদের বন্ধ পার্টি অফিসগুলির ঝাঁপ খুলতে শুরু করেছে।রাজ্যের সুষ্ঠ রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য এই চিত্র খুব প্রয়োজন ছিলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

।।সিপিআইএমের হরিনার বন্ধ পার্টি অফিসের ঝাঁপ উন্মোচন।।(ছবি – নিজস্ব)

সম্প্রতি দীর্ঘ সাত বছর পর খোলা হলো সাব্রুমের হরিনার সিপিআইএম পার্টি অফিস।একই ভাবে কমলপুর হালাহালি সহ পাহাড়েও সিপিআইএম তাদের বন্ধ অফিসের ঝাঁপ খুলতে শুরু করেছে। অর্থাৎ শহর থেকে সমতল এবং গ্রাম থেকে পাহাড় এই চিত্র এখন সর্বত্র।


শহর থেকে প্রান্তিক অঞ্চলে বামেদের বন্ধ পার্টি অফিস খোলার পেছনে থাকা রহস্য কি?

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, শহর থেকে প্রান্তিক অঞ্চলে বামেদের বন্ধ পার্টি অফিস খোলার পেছনে থাকা রহস্য কি? এই প্রশ্নের ব্যাখা দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষায়, ” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সময় গোটা রাজ্যে ছিলো আতঙ্কের পরিবেশ।এখন তা নেই ।বিরোধী দলগুলো রোজ নিয়ম করে তাদের কাজকর্ম করতে পাচ্ছে খোলা মনে। বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েকটি ঘটনা বাদ দিলে সর্বত্রই এখন বিরোধীদের মিছিল, মিটিং করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কৃতিত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহাকে। মানিক সাহার জামানায় বিরোধীরা তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দে রাজনীতি করতে পারছে। ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বে ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনও সম্পন্ন হয়েছিলো শান্তিপূর্ণ ভাবে।

।।নির্বিঘ্নে রাজপথ দাপিয়ে চলছে বামেদের মিছিল।।

মানিক সাহার জামানায় বিরোধীরা তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দে করতে পারছে রাজনীতি।

বিশ্লেষকদের যুক্তি, গোটা রাজ্যে নানান কারণে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক হাওয়া। মানুষ ধীরে ধীরে ভয়ের আবহ থেকে বেরিয়ে কন্ঠ চড়াও করতে শুরু করেছে।তাতেই অভয় পাচ্ছেন বাম নেতৃত্ব। পার্টি অফিস খুলতে গিয়ে তারা আগের মতো বাধা প্রাপ্ত হচ্ছেন না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দিনের পর দিন বামেরা তাদের হারানো শক্তি পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছে গকুলেই। তারা পাশে পাচ্ছে একাংশের সাধারণ মানুষকেও।

#Tripura #Politics #Bjp #Cpim #Party #office#JM 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *