ডেস্ক রিপোর্টার,২০ মে।।

                   উদয়পুর মাতাবাড়িতে দাঁড়িয়ে “আল্লাহ”- র নামে গলায় গান ধরার অপরাধে শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হলেন রাজ্যের নৃত্য শিল্পী তথা সমাজসেবী শানু মালাকার। মাতা বাড়িতে দাঁড়িয়ে তাকে হামলা করেছে বিজেপি নামধারী বাধারঘাট বিধানসভার তিতপুঁটি নেতা তুষার কান্তি শীল। শানু মালাকারও একই বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা। আভিযোগ, শানু মালাকারকে মারধর করতে তুষার কান্তি শীল তার গুণ্ডা বাহিনী নিয়ে পৌঁছে যায় উদয়পুর মাতা বাড়িতে।স্ব-ঘোষিত হিন্দুবাদী নেতা তুষার কান্তি শীলের নৃত্য শিল্পী শানু মালাকারকে “জিহাদি” বলেও কটাক্ষ করে। শানুকে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। তুষার কান্তি শীল, ” হুমকির সুরে শিল্পী শানু মালাকরকে বলে, মাতা বাড়িতে আল্লাহ্’ র নাম নিয়ে গান গাওয়া যাবে না।” হাস্যকর! আবার তুষার নিজে দাবী করছে, ” সে নিজেও নাকি একজন শিল্পী”। ছিঃ ছিঃ।এটাই কি স্বঘোষিত রাষ্টবাদী নেতা তুষার কান্তি শীলের শিল্পী সত্তার বহি: প্রকাশ।

শানু মালাকরের বাড়িতে ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব।

তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা বাধারঘাটের বাসিন্দা  তুষার কান্তি শীল কতটা রামভক্ত?

তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা বাধারঘাটের বাসিন্দা  তুষার কান্তি শীল কতটা রামভক্ত? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন খোদ বিজেপি নেতৃত্ব। আক্ষরিক অর্থে তুষার কান্তি শীল শিল্পী শানু মালাকারকে মারধর করে বুঝিয়ে দিয়েছে, ” হিন্দুদের মধ্যেই আছে চরম বিভেদ।কারণ আক্রান্ত শানু নিজেও একজন আদর্শ হিন্দু যুবক।” বাধারঘাটের বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, তুষার কান্তি শীল তার এই কার্যকলাপের মাধ্যমে মূলত নিজের মুর্খামীর পরিচয় দিয়েছে। কারণ আল্লাহ্ – র নাম নিলেই কেউ পাকিস্তানি – বাংলাদেশী বা জিহাদী হয় না।

অপরেশন সিঁদুরের মূখ্য ভূমিকায় থাকা মহিলা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি তো মুসলিম।

ভারত ভূখণ্ডে থাকা মুসলিমরাও ভারতীয় নাগরিক। সদ্য সমাপ্ত ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধে বহু মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক – যুবতী ভারতীর সেনার উর্দি পরে সীমান্তে লড়াই করেছেন। তারা দিয়েছেন প্রাণও। অপরেশন সিঁদুরের মূখ্য ভূমিকায় থাকা মহিলা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি তো মুসলিম। তিনিও স্মরণ করেন আল্লাহকে।তাহলে তো তুষার কান্তি শীলদের মতো মূর্খ রাষ্ট্রবাদী নেতাদের কথায় কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকেও পাকিস্তানে যেতে হবে। তিনিও থাকবেন জিহাদির তালিকায়! ছিঃ ছিঃ।

তুষার কান্তি শীল ( লাল মার্কিং করা)।

প্রশ্ন উঠছে অতি রাম ভক্ত তুষার শীলের জ্ঞানের গভীরতা নিয়ে। আসলে তুষার কান্তি শীল হচ্ছে “শুইন্যা বিজেপি”। সে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস কোথায়ও জায়গা পায় নি।প্রতিটি দল। তুষারকে রীতিমতো গলা ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দিয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে এসে ঠাঁই নেয়। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির সংবিধান সম্পর্কে তার সাম্যক কোনো জ্ঞান নেই।এই সমস্ত হনুরাই হালে কুলষিত করছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। প্রসঙ্গত গত বছর রাজ্যের গণ্ডাছড়াতে যখন ভিন ধর্মের দুষ্কৃতীরা ১৩ জন গো – মাতাকে হত্যা করেছিল। হিন্দু ধর্মে গো – মাতার স্থান কোথায়? এটা নিশ্চয়ই জানেন তুষার কান্তি শীলের মতো হিন্দুবাদী নেতারা। হিন্দু দরদী তুষার কেন তখন প্রতিবাদ করেন নি? আজও গণ্ডাছড়া ইস্যুতে তুষারের মুখে কুলুপ কেন? বাস্তব অর্থে তার কোনো মুরুদই নেই।  তাই নিরীহ নৃত্য শিল্পী শানু মালকারকে মারধর করে লাইম লাইটে আসার চেষ্টা করছেন হিন্দুবাদী তুষার!

তুষার কান্তি শীল তার এই ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে বিরোধী সিপিআইএমকে অতিরিক্ত অক্সিজেন পাইয়ে দিয়েছে।

তুষার কান্তি শীল তার এই ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে বিরোধী সিপিআইএমকে অতিরিক্ত অক্সিজেন পাইয়ে দিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার শানু মালাকারের বাড়িতে ছুটে গিয়েছেন ডিওয়াইএফআই- র নেতৃত্ব। এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দল নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বিজেপিকে প্রচন্ড আক্রমণ করেছেন। তার জন্য অবশ্যই দায়ী তুষার কান্তি শীল।

            গত বছর শানু মালকারের সামাজিক কাজকর্মে আপ্লুত হয়ে তাঁর বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন  খোদ বাধারঘাট ও বিশালগড়ের দুই বিধায়ক মীনা সরকার ও সুশান্ত দেব। শাসকদলের এই দুই বিধায়ক শানুকে সম্মানও জানান। শানু বিভিন্ন জায়গাতে নৃত্য করে প্রাপ্ত অর্থ বণ্টন করে দেয় গরিব মানুষদের কাছে। তারা শানুর দেওয়া অর্থ দিয়ে মুখে তুলেন দু’মুঠো অন্ন।আর এই শিল্পীকেই স্বঘোষিত রামভক্ত হনু তুষার কান্তি শীল নিজের স্বার্থের জন্য করেছে মারধর। 

#tripura #agt #udaipur #bjp #allaha #jm


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *