“প্রবীর নমঃশূদ্র তার নয় বছরের নাবালিকাকে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রায়শই ধর্ষণ করতো। জন্মদাতা বাবার এই নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করেছিল ছোট পুষ্পা। কারণ, তার ছিল প্রাণের ভয় । পাষণ্ড পিতা প্রবীর তার মেয়ের সঙ্গে জঘন্য কাজ করার পর অনবরত হুমকির মুখে রাখতো ।প্রবীর তার চারিত্রিক লালসা মেটানোর পর নিজের মেয়ে পুষ্পাকে ছুরি দেখিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলতো “কাউর কাছে মুখ খুললে তাকে মেরে ফেলবে।”—

ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
“পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহি পরমং তপ।
পিতোরি প্রিতিমা পন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতাঃ। “
সন্তানের কাছে পিতা ভগবান স্বরূপ। আর এই পিতা রূপী মানুষটি যখন রাক্ষস হয়ে উঠে, তখন সন্তানের নজরে তার কোনো স্থান থেকে না। সন্তানের কাছে তখন বাবা হয়ে ওঠে একটি নরক কুণ্ড। এবং বাবা – সন্তানের সম্পর্ক ধাবিত হয় সামাজিক অবক্ষয়ের দিকেই। এমন এক অভিশপ্ত ঘটনার সাক্ষী হল শহরের এডি নগর থানার ক্যাম্পের বাজার এস ডি মিশন এলাকার এক অবোঝ নাবালিকা।

অভিযোগ, প্রবীর নমঃশূদ্র তার নয় বছরের নাবালিকাকে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রায়শই ধর্ষণ করতো। জন্মদাতা বাবার এই নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করেছিল ছোট পুষ্পা। কারণ, তার ছিল প্রাণের ভয় ।
এস ডি মিশন এলাকার বাসিন্দা প্রবীর নমঃশূদ্র। তার স্ত্রী সঙ্গীতা নমঃশূদ্র এবং নয় বছরের মেয়ে পুষ্পা নম:শূদ্র। এখানে তিনজনের নাম ও পদবী পরিবর্তন করা হয়েছে। শুধুমাত্র সংগীতা ও তার মেয়ের সামাজিক সম্মান ও শ্রদ্ধার জন্যে।অভিযোগ, প্রবীর নমঃশূদ্র তার নয় বছরের নাবালিকাকে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রায়শই ধর্ষণ করতো। জন্মদাতা বাবার এই নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করেছিল ছোট পুষ্পা। কারণ, তার ছিল প্রাণের ভয় । পাষণ্ড পিতা প্রবীর তার মেয়ের সঙ্গে জঘন্য কাজ করার পর অনবরত হুমকির মুখে রাখতো ।প্রবীর তার চারিত্রিক লালসা মেটানোর পর নিজের মেয়ে পুষ্পাকে ছুরি দেখিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলতো “কাউর কাছে মুখ খুললে তাকে মেরে ফেলবে।”

দিনের পর দিন পুষ্পাকে তার বাবা নির্যাতন করে আসছে ।এই ঘটনা ঘুনাক্ষরেও জানতে পারিনি মা সংগীতা। শেষ পর্যন্ত বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নাবালিকা পুষ্পা নিজেই সমস্ত লোকলজ্জা ভুলে গিয়ে মার কাছে খোলসা করে। সঙ্গে সঙ্গেই সংগীতা পুরো ঘটনা খুলে বলে তার পাড়া-প্রতিবেশীকে ।
আরও খবর পড়ুন
এগিয়ে আসেন তারা। বিষয়টি আচ করতে পেরেই পাষণ্ড পিতা প্রবীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানায় দারস্ত হন সংগীতা। তিনি নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে গর্ভজাত সন্তানকে ধর্ষণ করার অভিযোগ তুলে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মেয়ের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা পাষণ্ড পিতা প্রবীর নমঃশূদ্রের ফাঁসির দাবি করেছেন তার স্ত্রী সংগীতা। তিনি আর সংসার করতে চান না রাক্ষস রুপী স্বামী প্রবীরের সঙ্গে।

হতভাগী সংগীতা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন । কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত অপরাধী প্রবীরকে গ্রেফতার করেনি। অর্থনৈতিকভাবে অনেক দুঃস্থ সংগীতা। খেটে খাওয়া মানুষ। প্রবীর আরো একটি বিয়ে করে সুখের সংসার কাটাচ্ছে। এখন প্রশ্ন, আগরতলা পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশ কি রাক্ষস রূপী পিতা প্রবীর নমঃশূদ্রকে গ্রেফতার করবে ? এবং আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির যুপ কাষ্ঠে কি ঠেলে দিতে পারবে?