“দীর্ঘদিন ধরেই বিশালগড় কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলারের পোস্টটি খালি। এর আগেও জেলারদের দায়িত্ব না দিয়ে ডেপুটি সুপার দেবাশীষ শীলকে কারাগারের মাথায় বসানো হয়েছিলো। এবং সমান্তরাল ভাবে কারাগারে চলছিল দুর্নীতি। জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল ঢিলেঢালা। দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগ নিয়েই কয়েদি তথা দাগি অপরাধী স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।”

।।বিজ্ঞাপণ।।

ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
                  বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না মন্ত্রী শান্তনা চাকমার কারা দপ্তরকে। সম্প্রতি বিশালগড় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দাগী অপরাধী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার জেরে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল ডেপুটি সুপার দেবাশীষ শীলকে। এখন দেবাশীষ শীলের জায়গাতে স্থলাভিসিক্ত হতে চলছেন চাল চোর ডেপুটি সুপার প্রসেনজিৎ দাস।তিনি বর্তমানে আছেন কৈলাসহর জেলে। এই ডেপুটি সুপার পালন করবেন সেন্ট্রাল জেলের জেলারের দায়িত্ব।অথচ কারা দপ্তরে চারজন জেলার রয়েছেন।তাদেরকে ব্রাত্য রেখে চাল চোর প্রসেনজিৎ দাসকে কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।অর্থাৎ একজন অপরাধীকে বসানো হচ্ছে সংশোধনাগারে মাথায়।

।।প্রসেনজিৎ দাস।।

কারা দপ্তরের খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দপ্তরে চার জন জেলার রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন সিনিয়র জেলার।একজন বেলা দত্ত। অপর জন সঞ্জিত দেববর্মা। বেলা দত্তের বর্তমান পোস্টিং সোনামুড়া জেলে। সঞ্জিত দেববর্মা আছেন উদয়পুর জেলে। তবে সঞ্জিত দেববর্মার বিরুদ্ধে দপ্তরে দুইটি “ডিপি” রয়েছে।সঞ্জিত দেববর্মার বিরুদ্ধে এক কয়েদির মোবাইল চুরির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বেলা দত্তের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ডিপি নেই। তাদের জুনিয়র  আরো দুই জন জেলার রয়েছেন।তারা হলেন ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য ও অমল কৃষ্ণ দেববর্মা। উভয়েই গত তিন মাস আগে জেলার হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন। বর্তমানে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য আছেন ধর্মনগর জেলে। এবং অমল কৃষ্ণ দেববর্মা। আছেন কমলপুর জেলে।কারা দপ্তরে সিনিয়র ও জুনিয়র মিলিয়ে মোট চারজন জেলার থাকা সত্ত্বেও বিশালগড় কেন্দ্রীয় কারাগারে কোন জেলারকে পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে না। জেলারের পরিবর্তে একজন ডেপুটি সুপারকে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা দপ্তর।

অদিতি মজুমদার আই জি প্রিজন থাকাকালীন দপ্তর চাল চুরির ঘটনা তদন্ত করে চার্জশিট জমা করেছিল। কিন্তু আবার করার মত ঘটনা এই আজও জমা পরিনি  ইনকুয়েরি অথরিটির কাছে।


দীর্ঘদিন ধরেই বিশালগড় কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলারের পোস্টটি খালি। এর আগেও জেলারদের দায়িত্ব না দিয়ে ডেপুটি সুপার দেবাশীষ শীলকে কারাগারের মাথায় বসানো হয়েছিলো। এবং সমান্তরাল ভাবে কারাগারে চলছিল দুর্নীতি। জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল ঢিলেঢালা। দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগ নিয়েই কয়েদি তথা দাগি অপরাধী স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। এরপর কারা দপ্তর দেবাশীষ শীলকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল। তার শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য এখন দপ্তর নিয়ে আসছে চাল চোর প্রসেনজিৎ দাসকে।

।।বিজ্ঞাপণ।।

প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। প্রসেনজিৎকে সেন্ট্রাল জেলের মাথায় বসানোর জন্য অতিরিক্ত খাটুনি খাটছেন মন্ত্রী শান্তনা চাকমার পি এস সিদ্ধার্থ সরকার।কারণ প্রসেনজিৎ দাসকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে পারলে সেন্ট্রাল জেলে বসানো যাবে মৌসুরি পাট্টা।

।।বিজ্ঞাপণ।।

এই মুহূর্তে রাজ্যে নেই কারা দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে। বর্তমানে কারা দপ্তরের সচিবের দায়িত্ব পালন করছে স্বরাষ্ট্র সচিব পি কে চক্রবর্তী।রাজ্যে নেই আই জি প্রিজন আবুলা রমেশ রেড্ডি। এই দুই অফিসারের অনুপস্থিতিতে প্রসেনজিৎ দাসকে সেন্ট্রাল জেলে বসানো জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে দপ্তর।অথচ প্রসেনজিৎ দাস একজন অপরাধী। তার বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে ডিপি চলছে।অদিতি মজুমদার আই জি প্রিজন থাকাকালীন দপ্তর চাল চুরির ঘটনা তদন্ত করে চার্জশিট জমা করেছিল।

।।বিজ্ঞাপণ।।

কিন্তু আবার করার মত ঘটনা এই আজও জমা পরিনি  ইনকুয়েরি অথরিটির কাছে।প্রসেনজিৎ দাসের জামানায় বিশালগড় সেন্ট্রাল জেল থেকে অসুস্থতার ভান করে জিবি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল আন্তর্জাতিক এটিএম হ্যাকার চক্রের চাই তথা তুরস্করের নাগরিক হ্যাকান জাম্বু। অর্থাৎ ঘুরিয়ে বললে জেলারদের ব্রাত্য রেখে অপরাধী প্রসেনজিৎ দাসকে পুনরায় সংশোধনাগারের মাথায় বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা দপ্তর । মন্ত্রী শান্তনা চাকমার  এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ  দপ্তরের প্রধান সারির আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *