গত ১২ জুলাই গণ্ডাছড়াতে এক রাতে খুন হয়েছেন ১৪ জন গো – মাতা। সমান সংখ্যক গো – মাতার অপহরণ হয়েছে। আজও তাদের খোঁজ নেই।
।।গো-মাতার নিধন।।
” নারকীয়ভাবে একের পর এক গো – মাতাকে হত্যা করেছে ভিন ধর্মের কসাইরা । এই ঘটনার পর আর এস এস, ভারতীয় জনতা পার্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন হিন্দুবাদী সংগঠনের নেতারা চুপ। তারা মুখ খোলার সাহস করছে না।”
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৯ সেপ্টেম্বর।। রাজ্যের বুকে ১৪ জন হিন্দু মা’কে আগুন দিয়ে পুড়ে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা! এই নারকীয় ঘটনার দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও আজ পর্যন্ত খুনিরা পুলিশের নাগালের বাইরে। আর খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে খুন হওয়া মায়েদের ভীরু ছেলে – মেয়েরা। তারা রাজনীতির অন্দর মহলে বসে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি কায়েম করতে ব্যস্ত। নৃশংস ভাবে খুন হওয়া মায়েদের খুনিরা ঘুরছে প্রকাশ্যে। অথচ মায়েদের নাম বিক্রি করেই এরা চেটে পুটে খাচ্ছে রাজনীতির বিষ্ঠা।
এখানে মা বলতে বুঝানো হয়েছে গো – মাতাদের। হিন্দু ধর্মে সাত জন মা রয়েছে।তার মধ্যে গো – মাতা অন্যতম। হিন্দুদের কাছে গো – মাতার বিকল্প নেই। গো – মাতাকে হিন্দুরা ভগবানের অংশ হিসাবেই মনে করে। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার স্বর্গে যাওয়ার সময় গো – মাতাই পার করে বৈতরণী। স্বাভাবিক ভাবেই হিন্দু সনাতনীদের কাছে গো – মাতার গুরুত্ব কতটা, এটা নতুন করে বলার কিছু নেই।
গো – মাতার নৃশংস হত্যাকাণ্ড
গো – মাতাকে সামনে সাজিয়ে রাজনীতি করে দেশ ও রাজ্যের হিন্দুবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির মাতৃতুল্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ গো – মাতাকে নিয়মিত পূজা করে। হিন্দুবাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, হিন্দু যুবা বাহিনী, গো – রক্ষক বাহিনী সহ বিভিন্ন গৈরিক সংগঠন রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।যারা গো – মাতার ছবি সামনে রেখে রাজনীতির বাজারে নিজেদের করিশমা দেখিয়ে থাকে।
গো – মাতার পূজায় ব্রতী হন খোদ প্রধানমন্ত্রীও
আজ তারাই ১৪টি গো – মাতার খুনের ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে।তাদের দুঃসাহস নেই গো – মাতার খুনিদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য।
।।বিজ্ঞাপন।।
দেশ ও রাজ্যে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে গো-মাতা হত্যা থেকে বিরত থাকার বিধানও দেন। রাজ্য এবং দেশের বহু জায়গায় গো – মাতা নিধনের সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে মারধরও করেছে। আর আজ তারাই ১৪টি গো – মাতার খুনের ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে।তাদের দুঃসাহস নেই গো – মাতার খুনিদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য। ছিঃ ছিঃ। আসলে তারা শক্তের ভক্ত আর নরমের যম। তাদের। কাছে গো – মাতার ছবি রাজনীতির কারবারের হাতিয়ার।
।।আরএসএস প্রধানও করেন গো – মাতার পূজন।।
গত ১২ জুলাই গণ্ডাছড়াতে এক রাতে খুন হয়েছেন ১৪ জন গো – মাতা। সমান সংখ্যক গো – মাতার অপহরণ হয়েছে। গলায় দড়ি বাধা অবস্থায় গো – মাতাদের গোয়াল ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলো সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীরা।নারকীয়ভাবে একের পর এক গো – মাতাকে হত্যা করেছে ভিন ধর্মের কসাইরা । এই ঘটনার পর আর এস এস, ভারতীয় জনতা পার্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন হিন্দুবাদী সংগঠনের ধান্দাবাজ নেতারা চুপ। তারা মুখ খোলার সাহস করছে না।
।।১২- জুলাই গো – মাতার ধাবাহিক কিলিং।।
১৪টি গো – খুনের পরও যেন ভেকধারী নেতাদের শিরা – ধমনী রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে আছে।
আবার তারাই শরীরে গৈরিক বস্ত্র ধারণ করে ললাটে গেরুয়া টিকা লাগিয়ে নিজেদের হিন্দু বলে দাবি করেন।ধিক্কার তাদেরকে।১৪টি গো – খুনের পরও যেন ভেকধারী নেতাদের শিরা – ধমনী রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে আছে। আবার তারাই পথে ঘাটে হিন্দুর দোয়ায় দিয়ে তোলা বাণিজ্য থেকে মাদক কারবারের সিন্ডিকেট। সর্ব ক্ষেত্র থেকেই পকেটে পুড়ে কমিশন । এরাই আবার হিন্দুর নাম বিক্রি করে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে চষে বেড়ায়।
।মুখে কুলুপ রাজ্যের আর এস এস প্রধান বি কে রায়ের।
গণ্ডাছড়া জতুগৃহে ১৪ জন গো – মাতার খুনের ঘটনার পর গৈরিক শিবিরের ভীরু সন্তানরা থানায় একটি মামলাও দায়ের করার সাহস করে নি।আর গো – মাতাদের খুনিদের গ্রেফতারের দাবি তো অনেক দূরের কথা।
এই রাজ্যের গো – মাতাদের সন্তানরা কি মুখ দেখাতে পারবে? অবশ্যই পারবে।কারণ তারা নির্লজ্জ । তাই তো গো – মাতাদের অপহরণ ও খুনের পর দুঃখ প্রকাশ না করে নিজেদের মুখে চওড়া হাসি ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত তারা।