তেলিয়ামুড়া ডেস্ক, ৩০ মার্চ।।
রাজ্যের রেল স্টেশনগুলি এখন গাঁজা পাচারের বধ্যভূমি। রোজ নিয়ম করেই রেল স্টেশনকে ব্যবহার করে বহি:রাজ্যে পৌঁছে যাচ্ছে গাঁজার চালান। এই দৃশ্য আবারও ফুটে উঠেছে তেলিয়ামুড়া রেল স্টেশনে। গাঁজা পাচারের সময় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করে। এবং তার কাছ থেকে উদ্ধার করে পঞ্চাশ কেজি গাঁজা। ধৃত যুবকের নাম ক্যাথার দেববর্মা। বাড়ি তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত দাশুচন্দ্র পাড়া। টর্চ লাইট ব্যবহার করে রেলের মধ্যে কিভাবে গাজার প্যাকেট হাত বদল করার নতুন স্ক্রিট পুলিশের কাছে উগলে দিয়েছে পাচার বাণিজ্যের “বাহক” ধৃত ক্যাথার।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে দেওধর এক্সপ্রেস দিয়ে গাঁজা পাচার করবে কারবারের চাঁইরা। আগাম তথ্যের ভিত্তিতে রেল স্টেশন এলাকায় এম্বুশে বসে পুলিশ। তখন পুলিশ দেখতে পায় রেলস্টেশন সংলগ্ন ধানক্ষেত দিয়ে দুইটা ব্যাগ নিয়ে আসছে কয়েকজন যুবক। পুলিশ তাদের দিকে অগ্রসর হতেই আঁচ পেয়ে যুবকরা একটি ব্যাগ জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অপর ব্যাগ কাঁধে নিয়ে দৌড় শুরু করে ক্যাথার। কিন্তু পুলিশ তাকে ব্যাগ সহ আটক করে। এক সময় ক্যথার বাঁচার জন্য পুলিশকে আক্রমণ করে। যদিও সে পালিয়ে যেতে অক্ষম হয়।

রেলে থাকা বিহারের মাদক ব্যবসায়ীকে কিভাবে সনাক্ত করবে ক্যাথার? পুলিশের এই প্রশ্নের উত্তরে ক্যাথার জানায়, ” টর্চ লাইটের সিগন্যালের মাধ্যমে”।
ধৃত ক্যাথার পুলিশকে জানায়,সোনামুড়ার কাঠালিয়া এলাকার বাসিন্দা রাহুল দেববর্মা গাড়ি করে গাঁজাগুলি নিয়ে এসেছিল তার কাছে।এবং দেওধর এক্সপ্রেসে বসে থাকা বিহারের মাদক কারবারীর কাছে গাঁজার প্যাকেটগুলি সপে দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায় ক্যাথারে উপর। সেই মোতাবেক ক্যাথার গাঁজার প্যাকেট নিয়ে রওনা হয়েছিলো দেওধর এক্সপ্রেসের উদ্দেশ্যে।

রেলে থাকা বিহারের মাদক ব্যবসায়ীকে কিভাবে সনাক্ত করবে ক্যাথার? পুলিশের এই প্রশ্নের উত্তরে ক্যাথার জানায়, ” টর্চ লাইটের সিগন্যালের মাধ্যমে”। অর্থাৎ ক্যাথার হাতে ব্যাগ নিয়ে রেলের নির্দিষ্ট কামড়ায় উঠলেই টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেবে বিহারের মাদক ব্যবসায়ী। তখনই তার হাতে গাঁজার ব্যাগ সপে দেবে ক্যাথার। মাদক কারবারের এই স্ক্রিপ্ট যে হিন্দি সিনেমার স্ক্রিপ্টকেও হার মানাবে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
#Tripura #Teliamura #Cannabis #Bihar #smuggling#JM