#Gandachhera # Torture #Bengali #Businessman#Janatar Mashal ।
অভিযোগ, ভাই রেবতী ত্রিপুরা সাংসদ থাকাকালীন গোটা গণ্ডাছড়াতে ধারাবাহিক ভাবে কমিশন বাণিজ্য শুরু করেছিলো বক্র ত্রিপুরা।
ব্যবসায়ী মন্টু বিশ্বাস তাঁর অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, অন্যান্য হাট বারের মতো গত ৩১ অক্টোবর গণ্ডাছড়া বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। বাজারে যাওয়ার পর বক্র ত্রিপুরা তাঁকে ফোন করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। এবং বক্রের ডেরায় যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
ডেস্ক রিপোর্টার,৬ নভেম্বর।।
গণ্ডাছড়ার পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে। স্থানীয় জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ একের পর এক ঘটনা সংঘটিত করছে।এবার মাঠে নেমেছে খোদ বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরার মাসতুতো ভাই বক্র ত্রিপুরা। স্থানীয়দের বক্তব্য, বক্র ত্রিপুরা নিজেকে রেবতী ত্রিপুরার ভাই বলেই পরিচয় দিয়ে থাকে। বক্র ত্রিপুরার বিরুদ্ধে বাঙালি ব্যবসায়ীকে মারধর ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ জমা পড়েছে গণ্ডাছড়া ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদকের কাছে। তবে বক্র ত্রিপুরার এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। ভাই রেবতী ত্রিপুরা সাংসদ থাকাকালীন গোটা গণ্ডাছড়াতে ধারাবাহিক ভাবে কমিশন বাণিজ্য শুরু করেছিলো।রাজনীতিতে ভাইয়ের তমতমি কামার পর বক্র ত্রিপুরাও চলে গিয়েছিল পর্দার আড়ালে। গত ১২ জুলাইয়ের পর বক্র তার দলবল নিয়ে আবার স্ব-মহিমায় ফিরে আসে। এবং বেছে বেছে বাঙালি লোকজন থেকে তোলা আদায় করতে শুরু করেছে।তাকে তোলার টাকা না দিলেই শুরু করে হামলা – হুজ্জুতি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আমবাসার বাঙালি ব্যবসায়ী মন্টু বিশ্বাস। তিনি হাঁস, মুরগি, ছাগলের ব্যবসা করেন। বিভিন্ন জায়গার হাট বারে তিনি ঘুরে ঘুরে হাঁস, মুরগি, ছাগল ক্রয় করে বিক্রি করেন।ব্যবসায়ী মন্টু বিশ্বাস তাঁর অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, অন্যান্য হাট বারের মতো গত ৩১ অক্টোবর গণ্ডাছড়া বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। বাজারে যাওয়ার পর বক্র ত্রিপুরা তাঁকে ফোন করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। এবং বক্রের ডেরায় যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
আরো খবর পড়ুন
গণ্ডাছড়া বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদকের উদ্দেশ্যে দেওয়া মন্টু বিশ্বাস তাঁর অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, তিনি বক্র ত্রিপুরার নির্দেশ অনুযায়ী টাকা দেন নি।এবং যান নি তাঁর ডেরায়। এরপর বক্র ত্রিপুরা গণ্ডাছড়া বাজারে চলে আসে। প্রকাশ্যে মন্টুকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় তার ডেরায়। সেখানে মন্টু বিশ্বাসকে মারধর করে। এরপর বাজারের অন্যান্য লোকজন এগিয়ে যেতেই বক্র ত্রিপুরা ছেড়ে দেয় মন্টু বিশ্বাসকে। তবে প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরার ভাই বক্র ত্রিপুরা বাঙালি ব্যবসায়ী মন্টু বিশ্বাসকে হুলিয়া জারি করে জানিয়ে দেয়, তাঁকে পুনরায় গণ্ডাছড়া বাজারে দেখলে গলা কেটে দেবে। স্বাভাবিক ভাবেই সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে গণ্ডাছড়া থেকে চলে আসেন মন্টু বিশ্বাস। এরপর ২ নভেম্বর লিখিত ভাবে মন্টু তার অভিযোগ জানায় গণ্ডাছড়ার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদককে।
বাঙালি ব্যবসায়ীরা এডিসি এলাকায় গেলেই তাদের উপর আর্থিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়।
এই ঘটনা কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গণ্ডাছড়ার ব্যবসায়ীদের মনে। বহিরাগত ব্যবসায়ীরা গণ্ডাছড়াতে যাওয়ার সাহস করছে না। আসলে এই চিত্র শুধু গণ্ডাছড়াতে নয়। রাজ্যের এডিসি এলাকা গুলিতে একই চিত্র। বাঙালি ব্যবসায়ীরা এডিসি এলাকায় গেলেই তাদের উপর আর্থিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানো হয় । এই কারণেই বাঙালি ব্যবসায়ীরা এখন এডিসি এলাকায় ব্যাবসা করতে যাওয়ার সাহস করছে না।
আরো খবর পড়ুন
https://x.com/janatarmashal24/status/1852970082776789319?t=KBzrM2ZmKnbVcYhDa-owEA&s=19
অথচ বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে উপজাতি ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে ব্যবসা করে উপার্জন করছে অর্থ। তারা প্রতিদিন রেলে করে পসরা নিয়ে আসছে আগরতলা ও আশপাশ অঞ্চলে। এবং দিব্যি ব্যবসা করে টাকা নিয়ে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে। কোথায়ও তাদেরকে দিতে হয়নি কমিশন। কিন্তু এডিসি এলাকায় এই পরিস্থিতি কেন? তার উত্তর কি দিতে পারবেন রাজ্যের জনজাতিদের নেতা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন? জানতে চাইছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ।