বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত বিজেপির সদর জেলা ( শহরাঞ্চল) কমিটির সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য বলেন, ” বাংলাকে জিহাদী রাজ্য বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বাংলায় দেখে দেখে বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাদের খুন করা হচ্ছে। মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের এই মনোভাবকে ধিক্কার জানায় বিজেপি।”
ডেস্ক রিপোর্টার, ৭ অক্টোবর।। বাংলার রাজনৈতিক উত্তেজনার আঁচ রাজ্যেও। বাংলার শিলিগুড়িতে বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবাদে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে ভাঙচুর। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপির দিকে। মৃত প্রায় প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, ” শহরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিজেপির কর্মীরা চিত্তরঞ্জন রোডস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসে হামলা শাসক দলের লোকজন”। ঘটনা মঙ্গলবার বিকালে। অবশ্যই উপস্থিত পুলিশের হস্তক্ষেপে “পরিস্থিতি”র জল বেশিদূর গড়ায় নি।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত বিজেপির সদর জেলা ( শহরাঞ্চল) কমিটির সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য বলেন, ” বাংলাকে জিহাদী রাজ্য বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বাংলায় দেখে দেখে বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাদের খুন করা হচ্ছে। মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের এই মনোভাবকে ধিক্কার জানায় বিজেপি।”
সোমবার দুর্যোগ-বিপর্যস্ত বাংলার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুর্যোগ-বিপর্যস্ত বাংলার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিজেপির দুই সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল। তাদের মধ্যে এক জন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন এবং অপর জন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বাংলার বিজেপির বক্তব্য, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জখম হয়েছেন খগেন মুর্মু । তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাদের মারের চোটে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে সাংসদ খগেন মুর্মু’ র মুখ থেকে। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকেও ধাক্কা দিয়ে চড়-ঘুষি মারার চেষ্টা হয়। শঙ্করের অভিযোগ, কয়েক জন ‘দিদি-দিদি’ বলতে বলতে পিছন থেকে তাঁদের আক্রমণ করেন। বর্তমানে খগেন এবং শঙ্কর হাসপাতালে রয়েছেন। খগেনের বাঁ চোখের নিচের হাড়ে আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়।
খগেন মুর্মু ( সাংসদ) ও শঙ্কর ঘোষ ( বিধায়ক)
“এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।’’- প্রধানমন্ত্রী
স্বাভাবিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে ওঠে। নাগরাকাটায় ওই ঘটনার নিন্দা করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘যে ভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরা— যাঁদের মধ্যে এক জন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেন—পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।’’
‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক এবং গভীর উদ্বেগের যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যথাযথ তদন্তের অপেক্ষা না করেই একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাজনীতিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”- মমতা
এর পাল্টা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা অভিযোগ করেন, উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও রাজনীতি করতে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সমাজমাধ্যমে বলেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক এবং গভীর উদ্বেগের যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যথাযথ তদন্তের অপেক্ষা না করেই একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাজনীতিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষ করে যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস পরবর্তী পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছেন।’’
আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে মমতা।।
এই ঘটনার প্রতিবাদেই বিজেপির সদর জেলা শহরাঞ্চল কমিটির পক্ষ থেকে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, এই বিক্ষোভ মিছিলে থাকা বিজেপির নেতা- কর্মী সমর্থকরা তাদের অফিসে হামলা করে। এদিকে মঙ্গলবার আহত বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আহত খাগেনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।