স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন, প্রতি মাসে প্রচুর টাকা আয় হয় দূর্গা বাড়ীতে। তাহলে সেই অর্থ যাচ্ছে কোথায়? তাঁদের অভিযোগ, গোটা দূর্গাবাড়ি আজ শনি–রাহু–কেতু নামে পরিচিত বিজেপির তিন নেতা লিটন দেবনাথ, আদিত্য সরকার ও গোপাল সরকারের দখলে। স্থানীয় লোকজনের দাবী, শাসক দলের দুর্নীতিবাজ, দুষ্ট প্রকৃতির এই তিন বাঙালি ধান্দাবাজ নেতাদের মণ্ডল ও দূর্গা বাড়ি কমিটি থেকে অতি সত্ত্বর বহিষ্কার করা প্রয়োজন।
ডেস্ক রিপোর্টার,২৯ অক্টোবর।। ” জনতার মশাল”- র খবরের জেরে লেজে গোবরে অবস্থা গন্ডাছড়ার, অর্থাৎ রাইমাভ্যালি মণ্ডলের তিন বাঙালি নেতা—লিটন দেবনাথ, আদিত্য সরকার ও গোপাল সরকারেরা। রাজ্যের জনপ্রিয় ওয়েব পোর্টাল “জনতার মশাল” একমাত্র সর্ব প্রথম গন্ডাছড়া দূর্গাবাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সত্য নিষ্ঠ খবর প্রকাশিত করেছিল, গত ২০ অক্টোবর। এই খবর প্রকাশের পর পরই তড়িঘড়ি করে বিজেপির তিন নেতা হাতে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে হাজির হন বিদ্যুৎ নিগমের অফিসে।যদিও বকেয়া বিল ছিল এক লক্ষ টাকারও বেশি। সেই সামান্য অর্থ দিয়ে ম্যানেজারের কাছে হাত-পায়ে ধরে অবশেষে নয় দিন পর আলো ফিরে আসে গণ্ডাছড়ার প্রাচীন ও হিন্দুদের পবিত্র স্থান দূর্গাবাড়িতে।
শাসক দলের দুর্নীতিবাজ, দুষ্ট প্রকৃতির এই তিন বাঙালি ধান্দাবাজ নেতাদের মণ্ডল ও দূর্গা বাড়ি কমিটি থেকে অতি সত্ত্বর বহিষ্কার করা প্রয়োজন।
স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন, প্রতি মাসে প্রচুর টাকা আয় হয় দূর্গা বাড়ীতে। তাহলে সেই অর্থ যাচ্ছে কোথায়? তাঁদের অভিযোগ, গোটা দূর্গাবাড়ি আজ শনি–রাহু–কেতু নামে পরিচিত বিজেপির তিন নেতা লিটন দেবনাথ, আদিত্য সরকার ও গোপাল সরকারের দখলে। স্থানীয় লোকজনের দাবী, শাসক দলের দুর্নীতিবাজ, দুষ্ট প্রকৃতির এই তিন বাঙালি ধান্দাবাজ নেতাদের মণ্ডল ও দূর্গা বাড়ি কমিটি থেকে অতি সত্ত্বর বহিষ্কার করা প্রয়োজন।
গন্ডাছড়ার বাসিন্দাদের কথায়, শাসক দলের চিনেপুটি নেতা লিটন দেবনাথ প্রায়ই বলে বেড়ান, রাইমাভ্যালি মণ্ডলে নাকি সে-ই শেষ কথা। এমডিসি ও মণ্ডল সভাপতির উপস্থিতিতে বার বার লিটন তার আধিপত্য বিস্তার করেছে।অপর দুই গুণধর নেতা আদিত্য ও গোপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিচার-সালিশির নামে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করছে। নারী সংক্রান্ত এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মতো ভয়ঙ্কর মামলাও নাকি টাকা দিয়ে চেপে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
লিটন দেবনাথ, ( বিজেপির যুব নেতা)
বাড়িতে আসা ভক্ত প্রাণ মানুষ জানান, এখন আর তারা স্বাভাবিকভাবে প্রণাম করতে পর্যন্ত পারেন না। ব্যবসার সময় বাদে দুইটি গেটই থাকে বন্ধ।
দূর্গা বাড়িতে আসা ভক্ত প্রাণ মানুষ জানান, এখন আর তারা স্বাভাবিকভাবে প্রণাম করতে পর্যন্ত পারেন না। ব্যবসার সময় বাদে দুইটি গেটই থাকে বন্ধ। দূর্গাবাড়ির ভেতরে শিব মন্দির, লোকনাথ মন্দির, জগন্নাথ মন্দির—সবই রয়েছে, কিন্তু পরিচ্ছন্নতা ও যত্নের অভাবে সবকিছু ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকার সাধারণ বাঙালি মানুষদের দাবি, এই তিন সিকি আদলির নেতার দাপটে আজ গণ্ডাছড়ার ধর্মস্থান থেকে শুরু করে সংগঠন—সবকিছুই কলুষিত হয়ে পড়েছে। তাই দুর্গা বাড়ির কমিটির খোল নলচে পরিবর্তন করে এই ধর্ম স্থানে পবিত্রতা ফিরিয়ে আনতে চাইছেন তারা।