“ভারতীয় নাগরিকরা ত্রিপুরার আগরতলা আখাউড়া স্থলবন্দর ও সোনামুড়া শ্রীমন্তপুর চেকপোস্ট দিয়ে এপারে প্রবেশ করছে। ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী ও নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ।”…
“”বাংলাদেশের ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ অন্যান্য অঞ্চলে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রবেশ করেছে ত্রিপুরায়। এখন পর্যন্ত ওপার থেকে প্রায় ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে এপারে এসেছে।””
ডেস্ক রিপোর্টার, ২০জুলাই।।
কোটা বিরোধী ইস্যুতে অস্থির বাংলাদেশ। পুলিশ – সেনা ও আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘাতে তপ্ত বাংলাদেশের আকাশ – বাতাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ প্রশাসন কারফিউ জারি করেছে গোটা দেশে। বন্ধ হয়ে আছে ইন্টারনেট পরিষেবা।এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের অবস্থান করা প্রচন্ড ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই কারণেই বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার সাথে নিযুক্ত নাগরিকরা হাসিনার দেশ ত্যাগ করতে শুরু করেছেন।
ভারতীয় নাগরিকরা ত্রিপুরার আগরতলা আখাউড়া স্থলবন্দর ও সোনামুড়া শ্রীমন্তপুর চেকপোস্ট দিয়ে এপারে প্রবেশ করছে। ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী ও নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ। তাদেরকে সাহায্য করছে ওপারের বিজিবি।
“বাংলাদেশের ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ অন্যান্য অঞ্চলে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রবেশ করেছে ত্রিপুরায়। এখন পর্যন্ত ওপার থেকে প্রায় ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে এপারে এসেছে।”
“শনিবার সকাল থেকেই ধাপে ধাপে আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ অন্যান্য অঞ্চলে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রবেশ করেছে। একইসঙ্গে অন্যান্য পেশায় নিযুক্ত লোকজনও ফিরে এসেছেন দেশে । এখন পর্যন্ত ওপার থেকে প্রায় ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে এপারে এসেছে।” জানিয়েছেন বিএসএফের ডিআইজি রাজীব অগ্নিয়ত্রী।
আরো খবর পড়ুন
ওপারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ভারতীয়দের দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিএসএফকে সর্বত্র ভাবে সাহায্য করেছে। বিএসএফ কর্তৃপক্ষ ওপার থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রী ও অন্যান্য নাগরিকদের জল খাবার ,যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। জানিয়েছেন বিএসএফ আধিকারিক।
বাংলাদেশে ডাক্তারি পড়ুয়া এক ছাত্র জানিয়েছেন, উপরের পরিস্থিতি ভালো নয়। বাংলাদেশে থাকাটা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই তারা ফিরে এসেছে দেশে। ভারতীয় হাইকমিশন এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের সব রকমের সাহায্য করেছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ। অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের ভিসার সমস্যা ছিল সেটাও সমাধান করে দিয়েছে বিএসএফ।
মেডিকেল পড়ুয়া অপর ছাত্রের কথায়, তার কলেজ কিশোরগঞ্জে। তুলনামূলকভাবে কিশোরগঞ্জের অবস্থা কিছুটা ভালো। তবে ঢাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবস্থা ভালো নয়।রাস্তায় নেমে গেছে সেনা।জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।অর্থাৎ ইমার্জেন্সী।তাই ঝুঁকি না নিয়ে তিনি ফিরে এসেছেন দেশে।
আরো খবর পড়ুন
P-interest https://pin.it/31bhi2Ixh
বিএসএফ কর্তৃপক্ষ ওপার থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রী ও অন্যান্য নাগরিকদের জল খাবার ,যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
বিগত কিছুদিন ধরেই কোটা আন্দোলন কেন্দ্র করে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলাদেশের আকাশে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ – সেনা, ছাত্রলীগ, যুব লীগের সংঘাত চলছে। প্রতিদিন বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ ।স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ভিন দেশীদের বসবাস করা কোনো ভাবেই নিরাপদ নয়। তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরা এখন সেই দেশটি ছাড়তে শুরু করেছে।