ডেস্ক রিপোর্টার,১লা মার্চ।।
ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের(টিএমসি) বড় কেলেঙ্কারি ফাঁস।অভিযোগের তীর কলেজের
ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান সোমা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। এই ঘুষ কাণ্ডের ঘটনা এখন ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে এখন চর্চার বিষয়।খবর, এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থার কাছে থাকা অভিযোগের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমা চৌধুরী ইচ্ছাকৃত ভাবে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্র – ছাত্রীদের এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দিতেন। পরে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে পাশ করিয়ে দিতেন। অভিযোগ পত্রে দাবি করা হয়েছে শেষ বছরে প্রায় কুড়িজন ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে পাঁচ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। হিসেব অনুযায়ী, কোটি টাকার অধিক ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে।

তথ্য বলছে, ঘুষ কাণ্ডের সমস্ত প্রমাণ হাতে আসার পরও ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান সোমা চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার নির্দেশে নড়ে চড়ে বসে টিএমসি কর্তৃপক্ষ। রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চে মামলা করতে বাধ্য হয়। এরপরেই নিজের মুখ বাঁচানোর জন্য সোমা চৌধুরী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
শুধু সোমা চৌধুরী একা নন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও নাকি অভিযোগ রয়েছে।স্বামী দীপেন চৌধুরীও ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক। তিনিও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রচার করতেন, টাকা দিলেই পাশ করা সম্ভব। তবে এই ঘটনার সঙ্গে ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছে তদন্তকারী সংস্থা।তদন্তে বেরিয়ে আসতে পারে আরো বড় রাঘব বোয়ালের নাম।
#Tripura medical College#physiology department#Medical education scamp in Tripura।