বিজেপি নেত্রী প্রতিমা ভৌমিক নিজের সরকারের পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ” এটা একটা অদ্ভুদ সরকার।” প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের বক্তব্য, ” ভয় থেকে আমাকে আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ভয় নাকি প্রাক্তন মন্ত্রীর ভালো লেগেছে।
ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ অক্টোবর।। রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় প্রচন্ড ক্ষোভ উগলে দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনি পুলিশকে স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ” আপনারা তিপ্রামথাকে ভয় পান।” প্রতিমা ভৌমিকের এই বক্তব্য বিন্দু মাত্র অযৌক্তিক নয়। সম্পূর্ণাংশে সত্যি। প্রতিমা ভৌমিক জানিয়েছেন, রবিবার তার ধর্মনগরে দলীয় কর্মসূচি রয়েছে। তার জন্য একদিন আগেই তিনি রওয়ানা হয়েছেন গন্তব্য স্থলের উদ্দেশ্যে। কিন্তু আমবাসাতে যাওয়ার পর তাঁর কনভয় আটকে দিয়েছে পুলিশ। তাও আবার বিশাল ব্যারিকেট তৈরি করে। বিজেপি নেত্রী প্রতিমা ভৌমিক নিজের সরকারের পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ” এটা একটা অদ্ভুদ সরকার।” প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের বক্তব্য, ” ভয় থেকে আমাকে আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ভয় নাকি প্রাক্তন মন্ত্রীর ভালো লেগেছে।
রাজ্য পুলিশ প্রশাসন আবারো প্রমাণ করলো তিপ্রামথার আতঙ্কে তারা ভীতু।
সত্যিই এই ঘটনার মধ্য দিয়ে পুলিশ তার বীরত্ব দেখাতে পারেন নি। রাজ্য পুলিশ প্রশাসন আবারো প্রমাণ করলো তিপ্রামথার আতঙ্কে তারা ভীতু। তিপ্রামথা সরকারের নির্দেশে অমান্য করলেও তাদেরকে কিছু বলার দুঃসাহস তারা দেখাতে পারেন নি। প্রয়োজনে তারা মথার কর্মী – সমর্থকদের কেলানিও হজম করতে পারে। কিন্তু বাঙালী মুখ দেখলেই রাজ্যের বাঘা বাঘা (!) খাকি উর্দি ওয়ালদের সমস্ত বীরত্ব বেরিয়ে আসে ঝুলি থেকে। তারা হোক নেতা – মন্ত্রী বা সাধারণ নাগরিক। ছিঃ ছিঃ। পুলিশের এতো প্রদ্যুৎ ভয় কেন?
ত্রিপুরা বনধের দিনেও আগরতলার উত্তর গেটে শহরের বীর পুঙ্গব পুলিশ সাধারণ পথচারীদের সঙ্গে আইন বহির্ভূত আচরণ করেছে।
তিপ্রা সিভিল সোসাইটির ডাকা ত্রিপুরা বনধের দিনেও আগরতলার উত্তর গেটে শহরের বীর পুঙ্গব পুলিশ সাধারণ পথচারীদের সঙ্গে আইন বহির্ভূত আচরণ করেছে। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীরা। তাও আবার পুলিশের সামনেই। কমলপুর শান্তির বাজারে পুলিশের সামনেই বাড়িঘর, দোকান পাটে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো। করেছিল লুটপাট। কিন্তু পুলিশ ছিলো অসহায় প্রাণী। অর্থাৎ এই সমস্ত ঘটনা থেকে প্রমাণিত গোটা পুলিশ প্রশাসন হাতে চুরি পরে রেখেছে। তারা ভয় পাচ্ছেন স্ব- ঘোষিত বুবাগ্রা প্রদ্যুৎ’কে । সর্বশেষে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের পুলিশ আটকে দেওয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এলো প্রদেশ বিজেপির শীর্ষ স্তরে গোষ্ঠী কোন্দল। ধলাই জেলা পুলিশের দাবী, তাদের কাছে খবর ছিলো,প্রতিমা ভৌমিক এদিন যাবেন কমলপুর শান্তির বাজারে। সেখানে গিয়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের সাক্ষাৎ করবেন। এই সময় পরিস্হিতি আরো তপ্ত হয়ে উঠার সম্ভাবনা ছিলো। এই কারণেই পুলিশ প্রতিমা ভৌমিককে আমবাসা জাতীয় সড়কের ট্রাই জংশনে আটকে গিয়েছে।