Tripura #Kamalghat#Sand#Mafia#Janatar#Mashal

দুই হাত ভরে অপরাধীদের কাঞ্চনমূল্য ঘরে তোলার ক্ষেত্রে ওসি সহদেব দাসের খুব সুনাম রয়েছে পুলিশ প্রশাসনে।

।।ঘাটের পাশেই  লরিতে বোঝাই করা হচ্ছে বালি।।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, অবৈধ ভাবে লোহার নদী থেকে বালি উত্তোলন করে থাকে। প্রতি দিন প্রায় শতাধিক ট্রাক ভর্তি করে বালি নেওয়া হয় ঘাট থেকে।তাতে দেওয়া হয় না কোনো টেক্স। সরকারের কর ফাঁকি দেওয়া হলেও কোনো মাথা ব্যথা নেই বন প্রশাসনের।

ডেস্ক রিপোর্টার,২৬ ফেব্রুয়ারি।।
                বন দপ্তর ও লেফুঙ্গা থানার নাকের ডগায় কামালঘাট জামির ঘাটের লোহার নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছে স্থানীয় বালি মাফিয়ারা। দিন – রাতে মেশিন লাগিয়ে বালি চুরি করছে মফিয়া চক্র।তাতে অবশ্যই বন প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। তারা মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে। দিন – রাত ২৪ ঘন্টা বালি উত্তোলনের মেশিন ও  লরির শব্দে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।মাফিয়াদের কিছু বলার জো নেই।কারণ তারা সবাই শাসক দলের লোকজন।তাদের মধ্যে আছেন কয়েকজন টুনু নেতাও।স্বাভাবিক ভাবে গোটা অঞ্চলের মানুষ ভয়ে মুখ বালিশ চাপা দিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে বাধ্য হন।

।চক্রের মাস্টার মাইন্ড বুথ সভাপতি রঞ্জিত সরকার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, অবৈধ ভাবে লোহার নদী থেকে বালি উত্তোলন করে থাকে। প্রতি দিন প্রায় শতাধিক ট্রাক ভর্তি করে বালি নেওয়া হয় ঘাট থেকে।তাতে দেওয়া হয় না কোনো টেক্স। সরকারের কর ফাঁকি দেওয়া হলেও কোনো মাথা ব্যথা নেই বন প্রশাসনের।

বালি মাফিয়া প্রীতম দাস ওরফে টম।বালির ঘাটে দাঁড়িয়ে তুলেছে সেলফি।

বালি উত্তোলন ইস্যুতে কেউ কিছু বললেই পাল্টা হুমকির মুখে পড়তে হয় সাধারন মানুষকে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই বালি মাফিয়া চক্রের মূল পান্ডা রঞ্জিত সরকার। সে কামালঘাট পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। বামুটিয়া বিধানসভার বিজেপির ১৭ নম্বর বুথের সভাপতি।মূলত রঞ্জিত সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হচ্ছে বালি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের অন্যতম আরো দুই চাই প্রীতম দাস ওরফে টম এবং প্রীতম মজুমদার।  বালি উত্তোলন ইস্যুতে কেউ কিছু বললেই পাল্টা হুমকির মুখে পড়তে হয় সাধারন মানুষকে।

।প্রীতম মজুমদার( পানু) সঙ্গে আরেক সাগরেদ।

ওসি সহদেব দাস দুই হাত তুলে আত্ম সমর্পণ করেছেন। বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাঁটু কাপছে সহদেবের।

এই বিষয়টি স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাসকে।কিন্তু ওসিও দুই হাত তুলে আত্ম সমর্পণ করেছেন।কারণ বালি মাফিয়ারা ওসি সহদেব দাসকে নিয়মিত দিয়ে থাকেন কাঞ্চনমূল্য।তাই ওসির মুখেও কুলুপ। দুই হাত ভরে অপরাধীদের কাঞ্চনমূল্য ঘরে তোলার ক্ষেত্রে ওসি সহদেব দাসের খুব সুনাম রয়েছে পুলিশ প্রশাসনে। একই অবস্থা স্থানীয় বন দপ্তরের আধিকারিকদের। তারাও পেয়ে থাকেন টু – পাইস।বাসিন্দারা গোটা বালি মাফিয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *