পাহাড় রাজনীতিতে বিজেপির অবস্থা যে ভালো নয়, তা জলের মতো পরিষ্কার সদস্যতা পদ অভিযানের রিপোর্ট কার্ড থেকেই।
।।রিপোর্ট কার্ডের অংশ।।
এডিসির বাইরের পাঁচটি বিধানসভা আসনে সর্বাধিক মানুষ বিজেপির সদস্যতা পদ গ্রহণ করেছেন। তারমধ্যে রয়েছে মন্ত্রী রতন লাল নাথের মোহনপুর। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর মজলিশপুর।রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের ধর্মনগর।আগরতলা কেন্দ্র ও বিধায়িকা মিনা সরকারের বাধারঘাট।
ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ নভেম্বর।। রাজ্যের পাহাড় রাজনীতিতে প্রদ্যুৎ কিশোর তিপ্রামথা সঙ্গে টেক্কা দিয়ে উঠতে পারছেন না ভারতীয় জনতা পার্টি। তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে হাতে নাতে। বিজেপির সদস্যতা পদ অভিযানে পাহাড়ের আসন গুলিতে আশানুরূপ সাফল্য পায় নি ভাজপা। পাহাড়ের ২০টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে বিজেপির সদস্য পদ পাঁচ অঙ্কে পৌঁছাতে পারেনি।চার অংকের মধ্যেই থাকতে হয়েছে সীমাবদ্ধ। ইতিমধ্যে বিজেপি রাজ্যের ৬০ আসনেই সদস্যতা পদ অভিযান সম্পন্ন করেছে।আনুষ্ঠানিক ভাবে তা শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। তারমধ্যেই ৬০ আসনের সদস্যতা পদ অভিযান শেষ করে রিপোর্ট কার্ড তৈরি করেছে ভাজপা। ভারতীয় জনতা পার্টির তৈরি করা রিপোর্ট কার্ড নিঃসন্দেহে তাদের জন্য আতঙ্কের কারণ। পাহাড় রাজনীতিতে বিজেপির অবস্থা যে ভালো নয়, তা জলের মতো পরিষ্কার সদস্যতা পদ অভিযানের রিপোর্ট কার্ড থেকেই।
বিজেপির রিপোর্ট কার্ড অনুযায়ী, পাহাড়ের কুড়িটি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে সদস্যতা পদ অভিযানে চূড়ান্ত ব্যর্থ। এই পাঁচটি বিধানসভা আসনের মধ্যে রয়েছে করবুক, আশারাম বাড়ী, টাকারজলা, অম্পিনগর ও মান্দাই বাজার।
করবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যের সংখ্যা মাত্র ৫০০৪জন।
আশারামবাড়ীতে সদস্য সংখ্যা ৫৩৫৩জন।
টাকারজলাতে সদস্য ৫৭৪৫ জন
অম্পিনগরে সদস্য সংখ্যা ৬৩১৮জন
মান্দাই বাজারে বিজেপির সদস্য ৭২০১ জন।
।।বিজ্ঞাপন।।
রিপোর্ট কার্ড অনুযায়ী সারা রাজ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৯ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩২৮ জন।
রাজনীতিকরা বলছেন, পাহাড়ের এই পাঁচটি আসনে বিজেপির পায়ের নিচে কোনো জমি নেই। সংগঠন নড়বড়ে।এই কারণেই সদস্যের সংখ্যা নগন্য। এটা বিজেপির জন্য আগামী দিনে যে কাল হয়ে দাঁড়াবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তথ্য অনুযায়ী, পাহাড়ের বাদবাকি ১৫ টি আসনের মধ্যেও বিজেপির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। প্রতিটাতেই গড়ে ১০ থেকে ১২হাজারের মধ্যে। অথচ সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজারের বেশি। বিজেপির রিপোর্ট কার্ডের এই পরিসংখ্যান নিশ্চিতভাবে আগামী দিনে ভাবিবে তুলবে দলের থিঙ্কট্যাঙ্কদের।
২০১৯ -র তুলনায় ২৪শে বিজেপির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ
অন্যদিকে এডিসির বাইরের পাঁচটি বিধানসভা আসনে সর্বাধিক মানুষ বিজেপির সদস্যতা পদ গ্রহণ করেছেন। তারমধ্যে রয়েছে মন্ত্রী রতন লাল নাথের মোহনপুর। মোট সংখ্যা ৩৬,৩২৭ জন। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর মজলিশপুরে সদস্য সংখ্যা ৩০,৩১০।রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের ধর্মনগরে সদস্য হয়েছে ২৯,৭৮৪ জন ।আগরতলা কেন্দ্রে ২৯,০৭৯ জন । বিধায়িকা মিনা সরকারের বাধারঘাটে সদস্য ২৫,০০৮ জন।