#Tripura #Police #IPS #TPS #Janatar#Mashal



বর্তমান সময়ে রাজ্যের মনোনীত আইপিএস ও টিপিএস আধিকারিকরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।


রাজ্যের আট জেলার মধ্যে ছয়টি জেলাতেই এসপির দায়িত্বে আছেন আইপিএসরা।শুধু মাত্র ধলাই ও দক্ষিণ জেলায় আছেন  মনোনীত দুই আইপিএস মিহির লাল দাস ও অশোক সিনহা। বাদবাকি ছয়টি জেলাতেই এসপির চেয়ার আলো করে আছেন আইপিএসরা।
                 

ডেস্ক রিপোর্টার,১০ ফেব্রুয়ারি।।
                         এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে চলছে রাজ্য পুলিশ! যে কোনো সময় জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে আরক্ষা দপ্তরে। নেপথ্যে কারণ আইপিএস বনাম টিপিএস সংঘাত।অবশ্যই এই রাডারে রয়েছে ত্রিপুরা ক্যাডার থেকে নমিনেটেড(মনোনীত ) হওয়া আইপিএসরাও।অর্থাৎ ঘুরিয়ে বললে, সরাসরি আইপিএসদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারেন নমিনেটেড আইপিএস ও টিপিএসরা।গত বেশ কিছুদিন ধরেই আরক্ষা প্রশাসনে মৃদু ক্ষোভের আগুন। বিস্তারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ পেলে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়তে পারে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে অরুন্ধতীনগর পুলিশ রিজার্ভে। বাদ যাবে না পুলিশের বিভিন্ন জেলা সদর ও মহকুমা। ১৯৯২- র আকার ধারণ করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

আরক্ষা প্রশাসনের প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বর্তমান সময়ে রাজ্যের মনোনীত আইপিএস ও টিপিএস আধিকারিকরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। দপ্তরে তাদেরকে প্রায় কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। বিনিময়ে দপ্তর উচু পিড়ি দিচ্ছে সরাসরি আইপিএসদের। পরিষ্কার ভাষায় বললে, আরক্ষা প্রশাসনে রাজ্যের ছেলেরাই এখন “সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন”। সমস্ত তাপ – উত্তাপ ছড়াচ্ছেন সরাসরি আইপিএসরা। দপ্তর তাদেরকেই অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই কর্মক্ষেত্রে কোণঠাসা হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন রাজ্যের মনোনীত আইপিএস ও টিএস আধিকারিকরা।তাদের মধ্যে জ্বলছে ক্ষোভের আগুন। এই আগুনের বহি: প্রকাশ হলে আক্ষরিক অর্থে বড় ক্ষতি হবে রাজ্যেরেই।বদনাম হবে মানিক সাহা নেতৃত্বাধীন ভাজ্পা সরকারের।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-why-150-years-history-of-tripura-police-is-tarnishedtripura-police-dgp-150years-janatar-mashal/

পুলিশ সদর দফতরে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের আট জেলার মধ্যে ছয়টি জেলাতেই এসপির দায়িত্বে আছেন আইপিএসরা।শুধু মাত্র ধলাই ও দক্ষিণ জেলায় আছেন  মনোনীত দুই আইপিএস মিহির লাল দাস ও অশোক সিনহা। বাদবাকি ছয়টি জেলাতেই এসপির চেয়ার আলো করে আছেন আইপিএসরা।


        

ভানুপদ চক্রবর্তীর সঙ্গে কেন অবিচার করা হয়েছে? প্রশ্ন মনোনীত আইপিএসদের।

মনোনীত আইপিএসদের কথায়, ” তাদেরকে স্বরাষ্ট্র দপ্তর যোগ্য সন্মান প্রদান করতে পারছে না। তাদের সহকর্মী ভানুপদ চক্রবর্তীর সঙ্গেও অবিচার করা হয়েছে।” মনোনীত আইপিএসদের অভিযোগ, আইপিএসদের সিংহ ভাগ জড়িয়ে গিয়েছেন দুর্নীতির সঙ্গে। মাদক কারবারীদের সঙ্গে তাদের গোপন সম্পর্ক রয়েছে।লেনদেন হয় মোটা অঙ্কের। এই কারণেই মাদক বাণিজ্যের রাশ টানা সম্ভব হচ্ছে না।


সরাসরি আইপিএসদের খাতির যত্ন করতে গিয়ে টিপিএসদের পেছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

রাজ্য পুলিশের টিপিএস আধিকারিকরো ক্ষুব্ধ। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সরাসরি আইপিএসদের খাতির যত্ন করতে গিয়ে টিপিএসদের পেছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন পুলিশ সাব-ডিভিশন গুলিতে এসডিপিও পদে ” ডিরেক্ট ডিএসপি”দের  পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে না।তাদের দিলেও সংখ্যা খুব কম। তাদের পরিবর্তে প্রমোশন প্রাপ্ত ডিএসপিদের এসডিপিও- র চেয়ারে বসানো হচ্ছে।
 


অভিযোগ, প্রমোশন প্রাপ্ত এসডিপিওরা অফিসাররা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত!

অভিযোগ, এই সমস্ত অফিসাররা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।কারণ তারা সাব – ইন্সপেক্টর থেকে ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে ডিএসপি হয়েছেন। বিভিন্ন থানায় চাকরি করেছেন। সংশ্লিষ্ট থানা এলাকাগুলির অবৈধ কারবার তাদের নখে দর্পে। এই সমস্ত এসডিপিওদের সঙ্গেই মূলত লিংক আইপিএসদের (এস পি)। স্বাভাবিক ভাবেই এই রুট ধরেই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হচ্ছে আরক্ষা প্রশাসন।দাবি রাজ্যের মনোনীত আইপিএস ও টিপিএসদের।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *