“আক্ষরিক অর্থেই কি  ধৃত আঁচাই জমাতিয়া গণ্ডাছড়া কাণ্ডের মাষ্টার মাইন্ড।নাকি, এই ঘটনার মুখ্য খেলোয়াড়দের আড়াল করতেই আঁচাইকে হাতিয়ার করেছে পুলিশ।এবং তাকে সামনে রেখে গোটা গণ্ডাছড়া কাণ্ডের কুশীলবদের ছাড় পত্র দেওয়া পরিকল্পনা নিয়েছে নাতো পুলিশ? প্রশ্ন উঠছে জনমনে।”

।।গণ্ডাছড়ার মাটিতে বিষাদের পোড়া গন্ধ।।(ছবি – সংগৃহীত)

পূর্বপরিকল্পনা মাফিক জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন আক্রমণ করেছিল বাঙালি মহল্লায় গুলিতে। তারা গণ্ডাছড়াকে বানিয়ে দিয়েছিল “জতুগৃহ”।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২২ জুলাই।।
    গন্ডাছড়া কাণ্ডে ধৃত  আচাই কপাল জমাতিয়াকে  পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত আঁচাই থাকবে পুলিশ হাজতে।পুলিশের দাবি, গণ্ডাছড়ার লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনার পেছনে কাজ করেছে ধৃত আচাই কপাল জমাতিয়ার মাথা।তার বাড়ি জম্পুই জলাতে। রাধাপুর থানার খুমুলুঙ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল  পুলিশ।   তদন্তকারী পুলিশ শনিবার দুপুরে অচাই কপালকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছিলআগরতলা পশ্চিম থানায়। পরে তাক তোলা হয়েছিল আদালতে।

।।এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।।(সূত্র: ফেসবুক)

তদন্তকারী পুলিশ আঁচাই জমাতিয়ার গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রেখে চলছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার গ্রেফতার নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এর আগেও পুলিশ আগরতলা থেকে আরো এক জনজাতি  যুবককে গ্রেফতার করেছিল। এই বিষয়টিও পুলিশ চেপে যায়। এই যুবক বর্তমানে জেল হাজতে।

।।শরণার্থী ক্যাম্পে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন বাঙালিরা।।

গন্ডাছড়াতে অনুষ্ঠিত আনন্দমেলায় আহত স্কুল ছাত্র  পরমেশ্বর  রিয়াং- র মৃত্যু কেন্দ্র করে প্রতিশোধের স্পৃহায় জ্বলে উঠেছিল জনজাতি সম্প্রদায়ের দুষ্কৃতীরা। তারা সংঘবদ্ধ ভাবে বাঙালি মহল্লায় প্রবেশ করে জ্বালিয়ে দিয়েছিল ঘরবাড়ি, লুট করেছিল অর্থ, স্বর্ণালংকার ও গবাদি পশু।।তাদের আগুনের রোষে জ্বলে পুড়ে খাক হয়েছিল বহু প্রচুর গরু – ছাগল। হাস মুরগি। জ্বলে ছিলো বাইক – গাড়ি। একে বারে সর্বশান্ত। মানুষ এখন সব হারিয়ে দিন কাটাচ্ছে শরণার্থী ক্যাম্পে।

।।বিজ্ঞাপণ।।

পূর্বপরিকল্পনা মাফিক জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন আক্রমণ করেছিল বাঙালি মহল্লায় গুলিতে। তারা গণ্ডাছড়াকে বানিয়ে দিয়েছিল “জতুগৃহ”।

পরমেশ্বর রিয়াং – র মৃত্যুর ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত চার যুবককে গ্রেফতার করেছিল। তারা বর্তমানে জেল হাজতে। তা সত্ত্বেও পূর্বপরিকল্পনা মাফিক জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন আক্রমণ করেছিল বাঙালি মহল্লায় গুলিতে। তারা গণ্ডাছড়াকে বানিয়ে দিয়েছিল “জতুগৃহ”।

।।নিহত পরমেশ্বর রিয়াং।।

এই ঘটনার পর প্রশাসনও চাপে পড়ে যায়। সাধারন মানুষ দাবি করে আইন অনুযায়ী পুলিশ পরমেশ্বর রিয়াং- র খুনিদের গ্রেফতার করেছে।কিন্তু গণ্ডাছড়াকে অগ্নিকুন্ডে পরিণত করা দুষ্কৃতীদের কেন গ্রেফতার করা হবে না?

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-beat-officers-wifes-estrangement-behind-murder-tripura-news-

।।বিজ্ঞাপণ।।

তদন্তকারী পুলিশ দাবি করে, গন্ডাছড়ার অগ্নিসংযোগ’র ঘটনার পর থেকেই পুলিশ মূল মাষ্টার মাইন্ডদের সন্ধান শুরু করে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লাগিয়ে দিয়েছে রাডার। সন্দেহ ভাজন লোকজনদের গতিবিধির উপর নজর রাখছে শুরু করে। ট্র্যাক করা হয় তাদের মোবাইল। এরা কাদের সঙ্গে কি কি কথা বার্তা বলেছে,তাও রেকর্ড করে পুলিশ।সন্দেহ ভাজনদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেজ গুলির উপরও নজরদারি চালায় পুলিশ।

।।ছবি – নিজস্ব।।

শেষ পর্যন্ত সব কিছু তথ্য প্রমাণ পুলিশের হাতে আসার পরই প্রথমে আগরতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, এক জনজাতি যুবককে।গোটা বিষয়টি স্পর্শ কাতর বলে চেপে যায় পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ দ্বিতীয় দফায় গ্রেফতার করে আচাই জমাতিয়াকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আচাই পুলিশের কাছে গন্ডাছড়া কান্ড নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উগলে দিয়েছে।

।।স্বভাবিক ছন্দে গণ্ডাছড়া।বাজারে চা খাচ্ছেন জেলা শাসক।।(ছবি – ফাইল)

আক্ষরিক অর্থেই কি  ধৃত আঁচাই জমাতিয়া গণ্ডাছড়া কাণ্ডের মাষ্টার মাইন্ড।নাকি, এই ঘটনার মুখ্য খেলোয়াড়দের আড়াল করতেই আঁচাইকে হাতিয়ার করেছে পুলিশ।এবং তাকে সামনে রেখে গোটা গণ্ডাছড়া কাণ্ডের কুশীলবদের ছাড় পত্র দেওয়া পরিকল্পনা নিয়েছে নাতো পুলিশ? প্রশ্ন উঠছে জনমনে।
           

।।গন্ডাছড়া বাজারে জাতি-জনজাতি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ।।( ছবি – নিজস্ব)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কি মিস করেছেন