তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,২৪ মার্চ।। পাহাড়ে বসবাসকারী জনজাতি মানুষজন কেমন আছেন? তাদের আর্থ – সামাজিক অবস্থার মান কতটা উন্নয়ন হয়েছে? সংসার প্রতি পালনের জন্য রোজগারের পথ কতটা সচল ? সত্যিই এই প্রশ্ন গুলির উত্তর বলা কঠিন। কিন্তু কেন্দ্র – রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিন সরকার জনজাতি উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করেছে কোটি কোটি টাকা। সঙ্গে আছেন জনজাতিদের ভাগ্য বিধাতা বুবাগ্রা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ। তারপরও কেন উদর পূর্তির জন্য জনজাতিদের বিক্রি করতে হচ্ছে জাতীয় সড়কের ইট? এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?

 পাহাড়ে বসবাসকারী জনজাতি মানুষজন কেমন আছেন? তাদের আর্থ – সামাজিক অবস্থার মান কতটা উন্নয়ন হয়েছে? সংসার প্রতি পালনের জন্য রোজগারের পথ কতটা সচল ? সত্যিই এই প্রশ্ন গুলির উত্তর বলা কঠিন। কিন্তু কেন্দ্র – রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিন সরকার জনজাতি উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করেছে কোটি কোটি টাকা। সঙ্গে আছেন জনজাতিদের ভাগ্য বিধাতা বুবাগ্রা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ। তারপরও কেন উদর পূর্তির জন্য জনজাতিদের বিক্রি করতে হচ্ছে জাতীয় সড়কের ইট? এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?

    তেলিয়ামুড়া শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ৪৭ মাইলস্থিত পিজেপি কলোনী।আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের আঠারোমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান। বিধানসভা ২৯-কৃষ্ণপুর।পিজেপি কলোনীতে ৪০-৫০ পরিবারের বসবাস।জুম চাষ এবং বনের লতা পাতা বিক্রি ব্যতীত এই অঞ্চলে বসবাসকারী লোকজনের বিকল্প কোনো রোজগারের উৎস নেই।বর্তমানে গ্রামের লোকজন জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে রোজগারের পথ না পেয়ে সরকারী সম্পদ বিক্রি করতে শুরু করে উপার্জন করছে অর্থ। জাতীয় সড়কের পাশে থাকা ইট বিক্রি করেই রুটিরুজির ব্যবস্থা করছে জনজাতিরা ।

     পিজেপি কলোনীর গ্রামবাসীদের স্পষ্ট বক্তব্য, ” তারা অর্থনৈতিক ভাবে খুব দুর্বল। জুম চাষ ও বনের লতা- পাতা বিক্রি করাই তাদের উপার্জনের একমাত্র পথ। কিন্তু এই রাস্তাও এখন বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে জাতীয় সড়কের পাশে থাকা ইট বিক্রি করে উপার্জন করা অর্থ দিয়েই প্রতিপালন করে সংসার।

জাতীয় সড়কের পাশে মাটি খুঁড়ে ইট তুলছে জনজাতিরা ।( ছবি – নিজস্ব)

আক্ষেপ করে পিজেপি কলোনীর গ্রামবাসীদের কথায়, তারা রাস্তা থেকে চুরি করা ইট ভেঙ্গে চিপস্ তৈরি করে। এবং সেই চিপস্ বিক্রি করেই সংসার প্রতিপালন করছে। অর্থাৎ ঘুরিয়ে বললে, উদর পূর্তির জন্য জনজাতি অংশের মানুষ সংগঠিত করছে “অপরাধ”। তাও আবার প্রশাসনের চোখের সামনেই।

      সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো গ্রামবাসীরা দিন দুপুরে রাস্তার সরকারি ইট চুরি করলেও প্রশাসন নিশ্চুপ। জনজাতিদের এই করুন পরিস্থিতির কথা কি জানেন না তাদের ভাগ্য বিধাতা প্রদ্যুৎ কিশোর। এলাকার বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা ও এমডিসি কমল কলই। বাস্তব অর্থে তারা কি জনজাতিদের আক্ষরিক উন্নয়ন করছে? নাকি জনজাতিদের নাম বিক্রি করে স্ফীত করছে নিজেদের অর্থ ভাণ্ডার?

#Tripura #ADC #Indigenous# People# Atharamura#JM

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *