ডেস্ক রিপোর্টার, ২৯ মার্চ।।
অঘোষিত রেড লাইট এরিয়া শহরের আইজিএম চৌমুহনি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্থানীয় যুবকরা আটক করলো কয়েকজন যুবতীকে। পুলিশের ব্যর্থতার কারণে শহরের হাই সিকিউরিটি জোন এখন পতিতালয়ে পরিণত হয়েছে।।সামনেই মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী আবাস। অথচ ঘুমে শহরের পুলিশ – গোয়েন্দা।
আগরতলা পুর নিগম নিয়ম করেছে রাত ১১টার পর শহরের কোনো দোকান খোলা থাকতে পারবে না। প্রতি রাতে শহরের থানা পুলিশ দোকানীদের উপর হুকুম জারি করে থাকে। অথচ শহরের হাই সিকিউরিটি জোন চলে নারীদের বেলেল্লাপনা। ফলে বিষিয়ে উঠেছে রাতের শহরের পরিবেশ।বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় লোকজন বেশ কয়েকজন যুবতীকে আটক করেছে।এরা প্রত্যেকেই জনজাতি সম্প্রদায়ের। রাত বিরাতেই এরা ঘুরাফেরা করে আইজিএম চৌমুহনি এলাকায়। আসে খদ্দের। শেষ পর্যন্ত দরাদরি চূড়ান্ত করে চলে যায় খদ্দেরের গন্তব্য স্থলে। তাও প্রকাশ্যে।পুলিশ এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত টহল দেয়।কিন্তু কোনো এক রহস্য জনক কারনে এড়িয়ে যায় এসব ঘটনা। দেহ ব্যবসার পাশাপাশি চলে মাদক কারবারও। এটা আইজিএম চৌমুহনীর রোজ রাতের চিত্র। বলতে দ্বিধা নেই গোটা এলাকা যেন কলকাতার মিনি “সোনাগাছি” হয়ে উঠেছে।

যুবতীদের অধিকাংশের বাড়ি মফস্বলে। এরা শহরের বিভিন্ন জায়গাতে বাড়ি ভাড়া করে থাকে। মূলত তারা স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী।রোজগারের ধান্দায় তারা চলে আসে আইজিএম চৌমুহনীতে। এই সমস্ত যুবতীদের দেখে তাদের কার্যকলাপ আঁচ করা দায়। গত বছর খানেক ধরে আইজিএমের মূল গেটের বিপরীতে রাতের আধারে তারা যুবতীরা আড্ডা জমায়। এই স্থানেই যুবতীরা যৌন ব্যবসার পসরা সাজিয়ে বসে। অবশেষে শেষ রাতে স্থানীয় কিছু যুবকের প্রচেষ্টায় বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ্যে আসে। শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে মুখ ঢেকে ঘটনাস্থলে আসে পশ্চিম থানার পুলিশ।এবং যুবতীদের আটক করে থানায় তুলে নিয়ে।
শহরের আইজিএম- র মূল গেটের ঢিল ছোড়া দূরত্বে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী আবাস। আইজিএম থেকে চিৎকার করলেই , সেই চিৎকারের তরঙ্গ পৌঁছে যায় পশ্চিম থানার থানাদারের কর্ণকুহরে। তারপরও শহরের হাই সিকিউরিটি জোনে এতো অনাচার কেন? জনমনে উঠছে প্রশ্ন।
#Tripura #Agartala #IGM #Chowmuhani #Red #Light #Area #Police #JM