“জিহাদিরা বইমেলায় সব্যসাচী স্টলটিতে হামলা করেছে। এই হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। ফেসবুকেই জিহাদিরা ডাক দেয় স্টল আক্রমণের। দোষ স্টলটি আমার লেখা বই রেখেছে। জিহাদিরা আমার নামটি সহ্য করতে আগেও পারেনি, এখনও পারেনা। “
ডেস্ক রিপোর্টার, ১২ ফেব্রুয়ারি।। অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের একটা ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যবাহী বইমেলা আজ কলঙ্কিত। ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে শুরু হয়েছে এই বইমেলা।কিন্তু বইমেলার শুরুতে বিতর্কের দানা বাঁধতে থাকে।প্রথমে বইমেলা চত্বরে ডাস্টবিনে হাসিনার ছবি। এরপর তসলিমা নাসরিনের বই “চুম্বন” নিয়ে বিতর্ক। ২৫- র অমর একুশের বইমেলাতে আত্মপ্রকাশ ঘটে বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের লেখা বই “চুম্বন”। বইটি মেলা চত্বরের সব্যসাচী নামে একটি প্রকাশনা সংস্থার স্টলে রাখা হয়েছিলো। আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তারা ভাঙচুর করে গোটা স্টলটি। তবে তাসলিমা নাসরিনের বই নিয়ে বিতর্ক বাংলাদেশে নতুন নয়। এর আগেও হয়েছে।নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তসলিমা নাসরিনের বইও।
এই ঘটনার পর লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁর সমাজ মাধ্যমে সরব হন। তিনি লিখেন, “জিহাদিরা বইমেলায় সব্যসাচী স্টলটিতে হামলা করেছে। এই হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। ফেসবুকেই জিহাদিরা ডাক দেয় স্টল আক্রমণের। দোষ স্টলটি আমার লেখা বই রেখেছে। জিহাদিরা আমার নামটি সহ্য করতে আগেও পারেনি, এখনও পারেনা। “
তসলিমা বলেন, “আমার লেখা চুম্বন গল্পগ্রন্থটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। জিহাদিরা মিডিয়াকে জানিয়েছে। এটা মিথ্যে । “চুম্বন” বাংলাদেশে কোনও সরকারই নিষিদ্ধ করেনি। আমি নাকি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। না, আমি নিষিদ্ধ নই। প্রতিটি সরকারই অবৈধভাবে আমাকে বাংলাদেশে ফিরতে বাধা দিচ্ছে। আমার বাংলাদেশের পাসপোর্ট রিনিউ করছে না, আমার বিদেশি পাসপোর্টে বাংলাদেশের ভিসা দিচ্ছে না। কোনও ভ্যালিড ডকুমেন্ট ছাড়া এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়া যায় না। সে কারণে আমি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারছি না।”
তসলিমা নাসরিন (ছবি – এফবি)
অমর একুশের বইমেলায় এই ঘটনা আক্ষরিক অর্থে ভাষা শহীদদের অপমান করা – ইউনূস।
এদিকে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশনা সংস্থা সব্যসাচীতে জিহাদীদের হামলার ঘটনার পর মুখ খোলেন বাংলাদেশের প্রধান ইউনূস।তিনি ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, অমর একুশের বইমেলায় এই ঘটনা আক্ষরিক অর্থে ভাষা শহীদদের অপমান করা। তবে ইউনূসের এই দায় সাড়া বিবৃতির অন্তরালে মূল উদ্দেশ্য কি বাংলাদেশের মুক্তমনা মানুষ ভালো করেই বুঝতে পারছেন।