“কৃতি সিংকে তারা ভোট দিয়েছে।কিন্তু অস্থির পরিস্থিতিতে তিনি উধাও।তিনি নেই মানুষের পাশে।” একজন  সাংসদ হিসেবে কৃতি সিংয়ের এই আচরণ তারা মেনে নিতে পারছে না। নিহত পরমেশ্বর রিয়াংয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রদ্যুৎ কিশোর।কিন্তু প্রদ্যুৎ যান নি ক্ষতিগ্রস্থ বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে।”

।।সম্রাট নিরো।।

লোকসভা নির্বাচনে কৃতি সিং প্রত্যাশার থেকেও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। জনজাতিরা তাকে যেমন দুই হাত ভরে ভোট দিয়েছেন, একই ভাবে বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষও তাকে ভোট দিতে কোনো কার্পন্য করে নি।

।।গন্ডাছড়ায় হিংসার ধ্বংসস্তূপ।।(ছবি – নিজস্ব)

ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ জুলাই।।
         ইতিহাসে কথিত আছে, রোম নগরী যখন আগুনে জ্বলছিল ঠিক তখনই সম্রাট নিরো তার প্রাসাদে বসে বাঁশি বাজাতে ব্যস্ত ছিলেন। ত্রিপুরার রাজনীতিতেও প্রায় একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি। সাম্প্রদায়িক আগুন যখন গোটা গণ্ডাছড়াকে গ্রাস করেছিল, তখন ছত্রিশগড়ের রাজ অন্দরে বসে সংসদের ভাতার টাকায় নাচে-গানে ব্যস্ত রাজ্যের পূর্ব আসনের সাংসদ তথা প্রদ্যুৎ কিশোরের দিদি কৃতি সিং।

।।সাংসদ কৃতি সিং।।

গন্ডাছড়ার অস্থির পরিবেশ নিয়ে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ
মৌন কৃতি । তিনি গণ্ডাছড়া ইস্যুতে মুখ কুলুপ এঁটে রেখেছেন।  আজ পর্যন্ত  দেন নি কোনো  লিখিত বা মৌখিক বিবৃতি । অথচ গন্ডাছড়া কৃতির নির্বাচনী ক্ষেত্রের অংশ ।জাতি – জনজাতি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কৃতিকে ভোট দিয়ে পাঠিয়েছে সংসদে। তিনি ঘটনাস্থলে  পা মাড়ানোর কথা কি ভাবতেও পারছেন না।সাংসদ কৃতি সিংয়ের এই রহস্য জনক নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ।

গন্ডাছড়াতে আগুনের লেলিহান শিখা (ছবি – নিজস্ব)

গন্ডাছড়ার জাতি – জনজাতি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের বক্তব্য, ” কৃতি সিংকে তারা ভোট দিয়েছে।কিন্তু অস্থির পরিস্থিতিতে তিনি উধাও।তিনি নেই মানুষের পাশে।” একজন  সাংসদ হিসেবে কৃতি সিংয়ের এই আচরণ তারা মেনে নিতে পারছে না। নিহত পরমেশ্বর রিয়াংয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রদ্যুৎ কিশোর।কিন্তু প্রদ্যুৎ যান নি ক্ষতিগ্রস্থ বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে। বা তাদের আশ্রয় নেওয়া শরণার্থী ক্যাম্পে।

।।বিজ্ঞাপণ।।

বিজেপির সাংসদ কৃতি সিংকে ইতিমধ্যেই আমজনতা  “ভিলেন” হিসাবেই চিহ্নিত করতে শুরু করেছেন। এটা একজন রাজনীতিকের জন্য কোনো ভাবেই সুখকর নয়।

প্রদ্যুৎ কিশোর আবারও স্পষ্ট করে  বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি রাজনীতি করেন জনজাতিদের জন্য। গন্ডাছড়ার  ঘটনার পর প্রদ্যুৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে তার নিজের লোকজনের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।অথচ ভেকধারী রাজনীতিক প্রদ্যুৎ তার দল তিপ্রামথার মধ্যে বাঙালি সেল গঠন করে রেখেছেন। এই সেলের মধ্যে আছেন রাজবাড়ীর বিষ্টা খাওয়া তাপস, লক্ষ্মী সহ ধান্দাবাজ জন বর্জিত কিছু বাঙালি মুখ।

।।গন্ডাছড়া পরমেশ্বর রিয়াংয়ের বাড়িতে প্রদ্যুৎ।।

আরোও খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-bengali-businessman-pranesh-dhalai-gandachhara-roit-caught-in-communal-fire-by-cruel-administration-tripura-news-

প্রদ্যুৎ কিশোরের দিদি কৃতি সিং সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতীকে। কিন্তু গণ্ডাছড়ায় পা রাখেন নি তথাকথিত মহারানী কৃতি সিং। নাগরিক সমাজের বক্তব্য, একজন সাংসদ হিসেবে গণ্ডাছড়াতে কৃতি সিংয়ের যাওয়া উচিত ছিল।কিন্তু তিনি যান নি।বিজেপি নেতৃত্বও কেন কৃতিকে পাঠান নি গণ্ডাছড়া জতুগৃহে।

।।বিজ্ঞাপণ।।


অগ্নিগর্ভ গন্ডাছড়াতে কৃতি সিংয়ের না যাওয়ার ঘটনায় চাপে পড়েছে খোদ শাসক দল বিজেপি। স্থানীয় লোকজনের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে কৃতি সিং প্রত্যাশার থেকেও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। জনজাতিরা তাকে যেমন দুই হাত ভরে ভোট দিয়েছেন, একই ভাবে বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষও তাকে ভোট দিতে কোনো কার্পন্য করে নি।স্বাভাবিক ভাবেই কৃতি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ।অথচ কৃতি সিং গণ্ডাছড়ার অস্থির অবস্থায় নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন দূরে।
       

।।বিজ্ঞাপণ।।

গণ্ডাছড়া অস্থির পরিবেশ কাটিয়ে এখন ধীরে ধীরে ফিরছে স্বাভাবিক ছন্দে।তারপরও এক রহস্যজনক কারণে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন সাংসদ কৃতি সিং।সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, জনতার দায়িত্ত্ব পালন না করতে পারলে তিনি কেন নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন?নাকি কৃতিকে সম্পূর্ণ ভাবে পরিচালিত করছেন তার ভাই প্রদ্যুৎ কিশোর? ভাইয়ের নির্দেশেই কি কৃতি গন্ডাছড়ায় পা মাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন নি? তবে বিজেপির সাংসদ কৃতি সিংকে ইতিমধ্যেই আমজনতা  “ভিলেন” হিসাবেই চিহ্নিত করতে শুরু করেছেন। এটা একজন রাজনীতিকের জন্য কোনো ভাবেই সুখকর নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কি মিস করেছেন