পশ্চিম বাংলার ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর কালো টাকায় এখন আগরতলাতে বস্ত্র বিপণন সংস্থার ঝাপ খুলে রমরমা ব্যবসা করছেন কান্তি লাল সাহা।শহরের কর্নেল চৌমুহনিতে  বাংলার এসএসসি নিয়োগের টাকায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে “সাহা টেক্সটাইল”। আগরতলায়  বাজারে বাংলার কালো ধন ছড়িয়ে ছিটিয়ে নির্দ্ধিধায় ব্যবসা করছেন সাহাবাবু।

সাহা টেক্সটাইলের কালো ধনের রহস্য: পর্ব -১

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮ সেপ্টেম্বর।।



      নাম: কান্তি লাল সাহা
      রাজ্য: পশ্চিমবঙ্গ
      শহর: কলকাতা
      পেশা: কাপড় ব্যবসায়ী
       সংস্থা: সাহা টেক্সটাইল

Table of Contents

।।কান্তি লাল সাহা।।

তিনি পশ্চিম বাংলার গার্মেন্টস বাণিজ্যের একজন টাইকুন। ত্রিপুরাতেও কান্তি লাল সাহা তার বস্ত্র বাণিজ্যের ঝাপ খুলে বসেছেন। কেন আমরা কান্তি লাল সাহা ও তার সংস্থাকে  লাইম লাইটে নিয়ে এসেছি! তার অনুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

      নাম: পার্থ চ্যাটার্জী
     রাজ্য: পশ্চিম বাংলা
     শহর: কলকাতা
    পেশা: রাজনীতি
    দল: তৃণমূল কংগ্রেস
    বর্তমান ঠিকানা : কারাগার

।পার্থ চ্যাটার্জী ও তার কালো ধন।

কলকাতার বারাসাতের সাহা টেক্সটাইলের মালিক কান্তি সাহার সঙ্গে পার্থ’র সম্পর্ক ছিলো হরিহর আত্মার মতো।

পশ্চিম বাংলার দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে কলকাতার বারাসাতের সাহা টেক্সটাইলের মালিক কান্তি সাহা সম্পর্ক ছিলো হরিহর আত্মার মতো। সাহা টেক্সটাইলের একাধিক অনুষ্ঠানেও দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হওয়া বাংলার অপসারিত মন্ত্রী পার্থকে দেখা গিয়েছিলো। কলকাতার বারাসাতের এই টেক্সটাইল সংস্থার মাধ্যমেই টাকা পাচার করা হত। এমনটাই দাবী ছিলো ইডি’ র।


ইডি প্রথমেই হানা দেয় পার্থ চ্যাটার্জির বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাটে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ২১ কোটি টাকা।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বাংলার অপসারিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে যুক্ত বেঙ্গল স্কুল চাকরি কেলেঙ্কারি মামলার অর্থের উৎস কোথায় মজুত করেছিল? তা তদন্ত করতে গিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় দেশের তদন্তকারী সংস্থার। ইডি প্রথমেই হানা দেয় পার্থ চ্যাটার্জির বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাটে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ২১ কোটি টাকা।
এরপরেই ইডি গ্রেপ্তার করেছিল অর্পিতাকে। 


অর্পিতার গ্রেফতারের পর ইডি তদন্তের জাল আরো গভীরে প্রোথিত করে।তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছিলো, বাংলার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের সাহা টেক্সটাইলে রয়েছে এসএসসি কেলেঙ্কারির অর্থের উৎস। তখন থেকেই সাহা টেক্সটাইলের মালিক কান্তি লাল সাহার ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেছিল তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কারণ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রায়শই কান্তি লাল সাহার বারাসত আউটলেটে প্রায়শই আসা যাওয়া করতেন। সাহা টেক্সটাইলে মালিক কান্তি লাল সাহার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর বান্ধবী অর্পিতারও বিশেষ পরিচয় ছিলো।।      

বারাসতের সাহা টেক্সটাইলের আউটলেটে পার্থ – কান্তি।

সাহা টেক্সটাইলের মালিক কান্তি লাল সাহা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর এই কান্তি- ই তহবিল স্থানান্তরে সহায়তা করেছিলেন পার্থ চ্যাটার্জীকে।

তৎকালীন সময়ে তদন্তকারী ইডি দাবি করেছিল, সাহা টেক্সটাইলের পক্ষ থেকে ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো’ বলে পরিচিত কলকাতার নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের দুর্গা পুজোয় মোটা টাকা চাঁদা দেওয়া হত।
   “সাহা টেক্সটাইলে বারাসতের দোকানের ভেতরে বাংলার দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চা পান করতে দেখা গিয়েছে কখনও কখনও। ইডির দাবী করেছিলো, সাহা টেক্সটাইলের মালিক কান্তি লাল সাহা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর এই কান্তি- ই তহবিল স্থানান্তরে সহায়তা করেছিলেন পার্থ চ্যাটার্জীকে।

।পার্থর নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ।

ইডি দাবি করেছিল, কান্তি লাল সাহা ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ’ র কথিত অর্থ লেনদেনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন এবং কান্তি লাল হাওয়ালার সাথেও জড়িত থাকার সন্দেহও প্রকাশ করেছিলেন তদন্তকারী সংস্থা।


বিভিন্ন সময়ে কান্তি লাল সাহাকে দেখা গিয়েছে পার্থর নলতলা উদয়ন সংঘের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।

বিভিন্ন সময়ে কান্তি লাল সাহাকে দেখা গিয়েছে পার্থর নলতলা উদয়ন সংঘের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। নকতলা উদয়ন সংঘের এই অনুষ্ঠান গুলোতে অর্পিতা ছিলেন মূখ্য ভূমিকায়। স্বাভাবিক ভাবেই বেঙ্গল স্কুল চাকরী কেলেঙ্কারির পর ইডি’ র রাডারে চলে আসেন সাহা টেক্সটাইলের মালিক কান্তি লাল সাহা।

।নাগতলার পুজোর অনুষ্ঠানে পার্থ – অর্পিতা – কান্তি।

শহরের কর্নেল চৌমুহনি থেকে অ্যাডভাইজার চৌমুহনি যাওয়ার রাস্তায় বাংলার এসএসসি নিয়োগের টাকায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে “সাহা টেক্সটাইল”।

।আগরতলাতে সাহা টেক্সটাইলের শো – রুম।

পশ্চিম বাংলার ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর কালো টাকায় এখন আগরতলাতে বস্ত্র বিপণন সংস্থার ঝাপ খুলে রমরমা ব্যবসা করছেন কান্তি লাল সাহা।শহরের কর্নেল চৌমুহনি থেকে অ্যাডভাইজার চৌমুহনি যাওয়ার রাস্তায় বাংলার এসএসসি নিয়োগের টাকায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে “সাহা টেক্সটাইল”। আগরতলায়  বাজারে বাংলার কালো ধন ছড়িয়ে ছিটিয়ে নির্দ্ধিধায় ব্যবসা করছে সাহা টেক্সটাইলের মালিক কান্তি লাল সাহা। কিন্তু বেঁহুশ রাজ্যের পুলিশ – গোয়েন্দা।


“পার্থর কালো ধনে আগরতলায় কান্তির বস্ত্র ব্যবসা”- এই বিষয়ে ” জনতার মশাল ” আজ প্রথম পর্ব প্রকাশিত  করেছে। ধারাবাহিক ভাবে সাহা টেক্সটাইলের কালো ধনের আরো আজানা রহস্য ফাঁস করবে ” জনতার মশাল”। (চলবে)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *