#Agartala #Badharghat #BJP #Janatar Mashal।
অতীতের সিপিআইএমের হার্মাদ ও হালে বিজেপির সমাজদ্রোহী নেতা দেবজিত চক্রবর্তীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীর এলাকার মানুষ।
অরুন্ধতীনগর ছয় নম্বর এলাকার এক গৃহবধূকে নিয়ে ছয় ছয় বার পালিয়ে গিয়েছিল দেবজিৎ চক্রবর্তী । তার এই কর্মকাণ্ডে নাক কাটা গিয়েছিল তৎকালীন শাসকদল সিপিআইএম-র।এর পর দেবজিৎকে সিপিআইএম দল থেকে বহিষ্কার করে দেয়।
ডেস্ক রিপোর্টার , ৪ নভেম্বর।।
বিজেপি – বিজেপির সংঘাতে তপ্ত শহর দক্ষিণের অরুন্ধতীনগর। মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী ক্ষেত্রের টাউন বড়দোয়ালির এমবি টিলা সাহা পাড়াতে হামলা করেছে বাধারঘাটের বিধায়িকা মিনা সরকারের গুন্ডা বাহিনী। গণধোলাইয়ে জখম হয়েছে মিনার গুন্ডা তথা বাধারঘাটের যুবমোর্চার সাধারন সম্পাদক দেবজিত চক্রবর্তী। ঘটনার পর দেবজিত ভর্তি হয়েছিলো টিএমসি- তে। মিনার যুবনেতা সমাজদ্রোহীর বিরুদ্ধে অরুন্ধতী নগর থানায় মামলা দায়ের করেছে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের আক্রান্ত লোকজন। ঘটনা শনিবার গভীর রাতে। শহর দক্ষিণের এমবি টিলা সাহা পাড়াতে এক অর্কেস্ট্রা অনুষ্ঠানে।
প্রয়াত বিধায়ক দিলীপ সরকারের বোন মিনা সরকারের কাছে এখন কি বামপন্থী সমাজদ্রোহীরাই হয়ে উঠেছে অ্যাসেট?
অতীতের সিপিআইএমের হার্মাদ ও হালে বিজেপির সমাজদ্রোহী নেতা দেবজিত চক্রবর্তীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীর এলাকার মানুষ। ওঠছে ছিঃ ছিঃ রব ।এটাই কি ভারতীয় জনতা পার্টির সংস্কৃতি।
কোথায় আছেন বিজেপি নেতৃত্ব? প্রয়াত বিধায়ক দিলীপ সরকারের বোন মিনা সরকারের কাছে এখন কি বামপন্থী সমাজদ্রোহীরাই হয়ে উঠেছে অ্যাসেট? জনগণের চাগার দিচ্ছে এই প্রশ্ন।
শনিবার রাতে অরুন্ধতীনগর তিন নম্বর রোডের এমবি টিলা সাহা পাড়াতে কালী পূজা উপলক্ষে একটি অর্গেস্ট্রার আয়োজন করেছিল স্থানীয় লোকজন। রাত বারোটা পর্যন্ত চলে এই বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। রাতে অনুষ্ঠান চলাকালীন বাধারঘাট যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দেবজিত চক্রবর্তী নেশা গ্রস্থ অবস্থায় তার অনুগামীদের নিয়ে ছুটে গিয়েছিল সাহা পাড়াতে। তাতে অবশ্যই কাউর কোন আপত্তি নেই। অভিযোগ সাহা পাড়াতে গিয়ে অর্কেস্ট্রা অনুষ্ঠান চলাকালীন স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে দেবজিৎ। স্থানীয় এক যুবককে মারধোর করে। তখনই সাহা পাড়ার লোকজন সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে দেবজিত ও তার অনুগামীদের আটক করে ধোলাই দেয়। আর তাতেই আতে ঘা লাগে বিধায়িকা মিনার সরকারের তোলাবাজ নেতা দেবজিত চক্রবর্তীর।
অভিযোগ, রাতেই দেবজিত বাধারঘাট বিধানসভার যুব মোর্চার অন্যান্য সদস্যদের খবর দেয়।এবং সাহা পাড়াতে হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়। রাতেই দেবজিত চক্রবর্তীর লোকজন এসে সাহা পড়ার বাড়িঘরে হামলা চালায়। বাধারঘাট যুবমোর্চার দুষ্কৃতীরা মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের বাসিন্দা রাজীব চক্রবর্তী ও বাবুল পালের বাড়িতে নির্বিচারে ভাঙচুর করে। এরপর তারা এমবি টিলা বাজারের ব্যবসায়ী সঞ্জয় পালের বাড়ি ও দোকানপাটে হামলা করে। ধারাবাহিক ভাবে এমবিটিলা বাজারের বেশ কিছু দোকানপাট ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। রাতের এই ঘটনার সময় অবশ্যই নিখোঁজ ছিল অরুন্ধতীনগর থানার পুলিশ। রবিবার সকালে বিধায়িকা মিনা সরকারের পালিত গুন্ডা দেবজিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী এলাকার লোকজন এডিনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। বিপদের আঁচ বুঝে চতুর সমাজদ্রোহী দেবজিৎ ঘটনার রাতেই নিজেকে বাঁচাতে টিএমসিতে ভর্তি হয়ে যায়। অবশ্যই রবিবার সকাল সকাল মা দুর্গা, মা দুর্গা করতে করতে চলে আসে বাড়িতে।
কে এই দেবজিত চক্রবর্তী?
অরুন্ধতীনগর ছয় নম্বর এলাকার বাসিন্দা দেবজিত চক্রবর্তী। এক সময় দেবজিত ছিল অরুন্ধতীনগর এলাকার বাম ক্যাডার। অর্থাৎ হার্মাদ বাহিনীর সদস্য। সিপিএমে থাকাকালীন এলাকায় সমস্ত ধরনের অপরাধ সংঘটিত করত দেবজিত। এলাকায় কান পাতলেই শুনা যায়, অবশ্যই দেবজিৎ নিজে খুব বিয়ে পাগল যুবক। অভিযোগ,অরুন্ধতীনগর ছয় নম্বর এলাকার এক গৃহবধূকে নিয়ে ছয় ছয় বার পালিয়ে গিয়েছিল দেবজিৎ চক্রবর্তী । তার এই কর্মকাণ্ডে নাক কাটা গিয়েছিল তৎকালীন শাসকদল সিপিআইএম-র।এর পর দেবজিৎকে সিপিআইএম দল থেকে বহিষ্কার করে দেয়।
আরো খবর পড়ুন
https://x.com/janatarmashal24/status/1852956553004896685?t=aHkbbl6NE3kZKH0ZKQ8Dug&s=19
সিপিআইএম থেকে বহিষ্কৃত গুন্ডা দেবজিত চক্রবর্তীকে কোলে তুলে নিয়েছিলো বিজেপি।
২০১৭ সালে রাজ্যে বিজেপির জোয়ার আসতেই বামদস্যু দেবজিত গা ভাসায় পদ্ম শিবিরে। তৎকালীন সময়ের বাধারঘাটের বিধায়ক দিলীপ সরকারের বাড়ির ফরমায়েশ খাটতে শুরু করে।১৮- তে দল ক্ষমতায় আসতেই দেবজিতের ঝোলা থেকে বেরিয়ে আসে বিড়াল। বাম জমানার মতোই এলাকাতে সমস্ত অপরাধ মূলক কাজকর্ম শুরু করে দেবজিত । তাকে কিছু বলার দুঃসাহস করে নি কেউ।
আরো খবর পড়ুন
অভিযোগ বর্তমান সময়েও দেবজিত এডি নগর ৬ নম্বর রোড এলাকার বাসিন্দা নন্দিতা নামে এক মহিলার বাড়িতে রোজ রাতে ঠেক বসিয়ে থাকে। এখান থেকেই রচিত হয় অপরাধের সমস্ত স্ক্রিপ্ট। স্থানীয় ক্লাবকে কেন্দ্র করে তার বাম জমানার পুরনো দস্যুদের নিয়ে এলাকায় করছে রমরমা জমি ব্যবসা।বাধারঘাট অঞ্চলের বিজেপির নেতারাও দেবজিতের অপরাধ মূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। দেবজিতের কাজকর্ম নখদর্পে রয়েছে স্থানীয় বিধায়িকা মিনা সরকারের। তারপরও কেন বাম জামানার দস্যু তথা হালের বিজেপির সমাজদ্রোহী দেবজিতের বিরুদ্ধে দলগতভাবে কোনা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ভাজা মাছ উল্টে খেতে না পারা বিধায়িকা মিনা সরকার? জনমনে চাগার দিয়েছে এই প্রশ্ন।