#Tripura।Gandachhera।Durga Puja। Boycott । Administration।Janatar Mashal

পূজার সময় স্থানীয় জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন হামলা চালাতে পারে পুজো মন্ডপ গুলিতে। আশঙ্কা করছেন ক্লাব কর্তারা।

।।১২জুলাই রাতে গণ্ডাছড়ার চেহারা।।


“গণ্ডাছড়া থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় প্রশাসন  কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সাহস করতে পারছে না। সব মিলিয়ে এখনো স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে নি গণ্ডাছড়া। আদৌ পরিস্থিতি বাঙালি অংশের মানুষের জন্য অনুকূলে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।”


মঙ্গলবার রাতেও জনজাতি সম্প্রদায়ের ছেলেরা বাঙালি যুবক ক্ষিতীশ দাসকে মারধর করে।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৩সেপ্টেম্বর।
         গণ্ডাছড়াতে এবার আসবেন না মা দুর্গা। নিরাপত্তা জনিত কারনে স্থানীয় ক্লাবগুলো দুর্গা পূজা বয়কটের ডাক দিয়েছে। পূজা আয়োজকরা প্রশাসনকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ” এবছর তারা পূজা করতে পারবে না। কারণ এখনো ভুগছেন অজানা আতঙ্কে। গোটা মহকুমায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।”

।।বিজ্ঞাপন।।

মহকুমা প্রশাসন স্থানীয় পূজা কমিটি ও ক্লাব গুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছিলো।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণ্ডাছড়ার বিধায়িকা নন্দিতা রিয়াং , মহকুমা শাসক চন্দ্র জয় রিয়াং, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বাপি দেববর্মা। মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় ক্লাব গুলিকে আর্থিক অনুদান সহ নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়া হয়। তারপরও বাঙালি অংশের মানুষ প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে পারছে না।

।।এসডিএমের নেতৃত্বে প্রশাসনিক বৈঠক।।

স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, ক্লাব গুলি পুজোর আয়োজন করবে।অথচ এই সমস্ত এলাকার লোকজন থাকবে শরণার্থী ক্যাম্পের। তারা ব্রাত্য থাকবে পুজোর আনন্দ থেকে। এটা কোনো ভাবেই হতে পারে নি। এখনো তারা ১২ জুলাইয়ের সংঘটিত ঘটনার বিচার পায় নি।

।।আজও বিচার পায় নি নিঃস্ব হওয়া অসহায় মায়েরা।।

অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে কি হাঁটু কাপছে ধলাই পুলিশের?

https://janatarmashal.com/tripura-news-bangladeshi-conspiracy-to-vacate-dambur-dam-in-tripura/

।।বিজ্ঞাপন।।

অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হাঁটু কাপছে ধলাই পুলিশের। তাছাড়া পূজার সময় স্থানীয় জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন হামলা চালাতে পারে পুজো মন্ডপ গুলিতে। এই আশঙ্কা করছেন ক্লাব কর্তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক। এই কারণেই পুজো থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় ২০-২ ১টি ক্লাবের লোকজন।

।।এলাকায় শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে ব্যর্থ বিধায়িকা নন্দিতা রিয়াং।।

ক্ষিতীশ দাসের হামলার নেপথ্যে নিহত পরমেশ্বরের দাদা।

মঙ্গলবার রাতেও জনজাতি সম্প্রদায়ের ছেলেরা বাঙালি যুবক ক্ষিতীশ দাসকে মারধর করে ।খবর অনুযায়ী, ৬০ কার্ড এলাকার একটি পানের দোকানের সামনে পান খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল  ক্ষিতীশ । তখন নিহত পরমেশ্বর রিয়াংয়ের দাদার নেতৃত্বে ক্ষিতীশের উপর হামলা করা হয়।সে কোনো রকমে পাশের একটি ঔষদের দোকানে লুকিয়ে গিয়ে নিজের প্রাণ রক্ষা করে।


ততক্ষণে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ।এবং ক্ষিতীশকে উদ্ধার করে।অথচ নিহত পরমেশ্বরের অভিযুক্ত দাদাকে পুলিশ কিছুই বলে নি। তারা পুলিশের সামনেই ক্ষিতীশকে মারতে আসে।

নিহত পরমেশ্বরের অভিযুক্ত দাদাকে পুলিশ কিছুই বলে নি। ছিঃ ছিঃ।

গো – মাতার হিন্দুবাদী পূজারীরা কোথায়?

পরিস্থিতি আঁচ করতে পারে রাতে গণ্ডাছড়াতে ছুটে আসেন ধলাইয়ের এসপি অবিনাশ কুমার।সঙ্গে প্রচুর টিএসআর। মঙ্গলবারের রাতের ঘটনার পর গণ্ডাছড়ার পরিস্থিতি আরো থমথমে হয়ে উঠে। বাঙালি অংশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরো গভীর হয়।

।স্বাভাবিক ছন্দে নেই গন্ডাছড়া।তাই পুলিশের ছয়লাপ।

রাতেই এসপি অবিনাশ কুমারের  গন্ডাছড়া সফর কিসের ইঙ্গিত?

প্রশাসন সূত্রের খবর, গণ্ডাছড়া থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় প্রশাসন  কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সাহস করতে পারছে না। সব মিলিয়ে এখনো স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে নি গণ্ডাছড়া। আদৌ পরিস্থিতি বাঙালি অংশের মানুষের জন্য অনুকূলে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কি মিস করেছেন