মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে এমন গুরুতর অসুস্থতা অত্যন্ত সন্দেহজনক বলে মনে করছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ যদিও অভিভাবকের জন্য বিমান টিকিট পাঠিয়েছে, তবুও পরিবারের অভিযোগ—ঘটনায় স্কুলের অস্পষ্ট ব্যাখ্যা তাঁদের মনে গভীর আশঙ্কা তৈরি করেছে।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ অক্টোবর।।
উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলার রামবাগে অবস্থিত হনুমান প্রসাদ সত্য নারায়ণ পোদ্দার হাই স্কুল ইন্টার কলেজ’ – এ পড়ুয়া রাজ্যের এক ছাত্রের হঠাৎ রহস্যজনক অসুস্থতা ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় ত্রিপুরা বিধানসভার ২৪-রামচন্দ্রঘাট কেন্দ্রের বিধায়ক রণজিৎ দেববর্মা রাজ্যের পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ ধ্যানকরকে একটি চিঠি দিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মাধ্যমে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে বিধায়ক উল্লেখ করেছেন, খোয়াই জেলার আমপুরা বাজারের বাসিন্দা মন্টু দেববর্মা। যিনি তাঁর বিধানসভা এলাকার একজন নাগরিক। তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, তাঁর পুত্র নবম শ্রেণীর ছাত্র জুয়েল দেববর্মা গত ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলো । কিন্তু ১৬ অক্টোবর স্কুল কর্তৃপক্ষ হঠাৎ পরিবারকে জানায়, “জুয়েল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।”
মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে এমন গুরুতর অসুস্থতা অত্যন্ত সন্দেহজনক বলে মনে করছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ যদিও অভিভাবকের জন্য বিমান টিকিট পাঠিয়েছে, তবুও পরিবারের অভিযোগ—ঘটনায় স্কুলের অস্পষ্ট ব্যাখ্যা তাঁদের মনে গভীর আশঙ্কা তৈরি করেছে।
বিধায়ক রণজিৎ দেববর্মা তাঁর চিঠিতে লিখেছেন – “এত অল্প সময়ের মধ্যে এমন গুরুতর অসুস্থতা অত্যন্ত রহস্যজনক। বিষয়টির প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মাধ্যমে বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন। একইসঙ্গে অসুস্থ ছাত্রকে মানবিক কারণে দ্রুত ত্রিপুরায় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরি।”চিঠির একটি অনুলিপি ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়েছে। যাতে বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
এদিকে গোটা বিষয় জানিয়ে জুয়েলের পিতা মন্টু দেববর্মা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মাকে অবহিত করেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য মানবিক আবেদন জানান। তাঁর আবেদনপত্রে তিনি লিখেছেন— “১৩ অক্টোবর আমি ছেলেকে দেখতে স্কুলে গিয়েছিলাম। তখন ও খুব আনন্দে ছিল। কিন্তু ১৬ অক্টোবর হঠাৎ স্কুল থেকে ফোন আসে যে ও গুরুতর অসুস্থ এবং হাসপাতালে ভর্তি। আমি চাই আমার ছেলেকে দ্রুত ত্রিপুরায় ফিরিয়ে আনা হোক।”