#Agartala#Politics # CPIM #Dukli #Janatar# Mashal



ডুকলি মহকুমার বাম রাজনীতির ভর কেন্দ্র নারায়ণ দেবের হাতেই। তারপরও নারায়ণ দেবকে সম্পাদক পদে আর রাখতে চাইছে না দল।

।।সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন নারায়ন দেব।।

“রাজকুমার চৌধুরী মূলত নারায়ণ দেব গোষ্ঠীর রাবার স্ট্যাম্প। নারায়ণ দেব চাইছেন তিনি যদি পুনরায় সম্পাদক পদে বসতে না পারেন তাহলে তার পরিবর্তে রাজকুমার চৌধুরীকে বসানোর জন্য। রাজকুমার চৌধুরী একেবারেই জনবিচ্ছিন্ন। অতীতে রাজকুমার চৌধুরীকে বিধায়ক করে দলের সাংগঠনিক ভাবে কোনো লাভ হয়নি।”

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮ নভেম্বর।।
              রাজ্য সিপিআইএমের ডুকলি মহকুমা কমিটির সম্মেলন নিয়ে উত্তেজনা মেলারমাঠ চত্বরে।২৭ নভেম্বর থেকে মেলারমাঠে শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী ডুকলি মহকুমা সম্মেলন। শেষ হবে ২৮ নভেম্বর। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার।এবারের ডুকলি মহকুমা কমিটির সম্মেলন নিয়ে এতো উত্তেজনা কেন? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বাম রাজনীতিকরা।

।।বিজ্ঞাপন।।

বয়সের কারণে সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে নারায়ন দেবকে।

মেলারমাঠ লাল বাড়ির অন্দরে তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ডুকলী মহকুমা কমিটির বাম রাজনীতির অন্তিম ব্যক্তি সিপিআইএম নেতা নারায়ণ দেব।তিনি ডুকলী মহকুমা কমিটির টানা তিনবারের সম্পাদক। গোটা অঞ্চলের বাম রাজনীতির ভর কেন্দ্র নারায়ণ দেব। কিন্তু নারায়ণ দেবকে সম্পাদক পদে আর রাখতে চাইছে না দল। তার অন্যতম কারণ নেতা নারায়ণ দেবের বয়স। নারায়ণ দেবের পরিবর্তে ডুকলী মহকুমা কমিটির নতুন সম্পাদকের দৌঁড়ে রয়েছেন সূর্যমনি নগর কেন্দ্রের প্রাক্তন বাম বিধায়ক রাজকুমার চৌধুরি ও আগরতলা পুর নিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র সমর চক্রবর্তী।

।।রাজকুমার চৌধুরী ও সমর চক্রবর্তী।।

বাম রাজনীতির তথ্য বলছে, নারায়ণ দেবের পরিবর্তে ডুকলি মহাকুমা কমিটির নতুন সম্পাদক ইস্যুতে পার্টির স্থানীয় নেতৃত্ব দুই ভাগে বিভক্ত। একপক্ষ চাইছেন রাজকুমার চৌধুরীকে সম্পাদক পদে বসানোর জন্য। অপরপক্ষ মেতে আছেন সমর চক্রবর্তীরকে নিয়ে। ডুকলি বাম রাজনীতির ক্যাডারদের কথায়, “রাজকুমার চৌধুরী মূলত নারায়ণ দেব গোষ্ঠীর রাবার স্ট্যাম্প। নারায়ণ দেব চাইছেন তিনি যদি পুনরায় সম্পাদক পদে বসতে না পারেন তাহলে তার পরিবর্তে রাজকুমার চৌধুরীকে বসানোর জন্য।”

।।বিজ্ঞাপন।।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-friend-pradyut-kishore-behind-the-beeline-bharatiya-janata-party-in-the-valley-of-the-hill/

বামেদের অপর গোষ্ঠীর বক্তব্য, “রাজকুমার চৌধুরী একেবারেই জনবিচ্ছিন্ন। অতীতে রাজকুমার চৌধুরীকে বিধায়ক করে দলের সাংগঠনিক ভাবে কোনো লাভ হয়নি। বর্তমানে দল ক্ষমতায় নেই। কর্মী, সমর্থকদের বারবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ডুকলি মহকুমা কমিটির সম্পাদক পদে একজন সক্রিয় নেতার প্রয়োজন। যিনি দলকে সঠিক ভাবে নেতৃত্ব দিয়ে ২৮- র বিধানসভা নির্বাচনে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে রাজকুমার চৌধুরী থেকে কয়েক যোজন নাকি এগিয়ে সমর চক্রবর্তী।”

।।বিজ্ঞাপন।।

সিপিআইএমের ডুকলি মহকুমা কমিটিতে নারায়ণ দেবের লবি অনেক বেশি শক্তিশালী।

বাম কর্মীদের ভাষায়, সিপিআইএমের ডুকলি মহকুমা কমিটিতে নারায়ণ দেবের লবি অনেক বেশি শক্তিশালী। দলের বর্তমান পরিস্থিতি কথা চিন্তা করে মেলারমাঠের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক যদি নারায়ণ দেবকেই পুনরায় সম্পাদক পদে বসিয়ে দেয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।বিকল্প কাউকে বসানোর ক্ষেত্রে দল যদি নারায়ণ দেবের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়, তাহলে এক্ষেত্রে পাল্লা ভারী রাজকুমার চৌধুরীর।

আরো খবর পড়ুন

https://x.com/janatarmashal24/status/1860275317568422032?t=0bF-if9Jdp6sFVfOSzeKug&s=19

।।বিজ্ঞাপন।।

বাম কর্মীদের বক্তব্য, এক সময় নারায়ণ দেব নিজেই সূর্যমনি নগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট চেয়েছিলেন, কিন্তু দল দেয় নি। তবে তাঁর মনোনীত প্রার্থী রাজ কুমার চৌধুরীকে প্রার্থী করেছিলো। রাজকুমার হয়েছিলেন বিধায়ক। বর্তমান সময়েও নারায়ণ দেব একই ফর্মুলা কাজে লাগাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটাই দেখার বিষয় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক শেষ পর্যন্ত কোন পথে হাঁটে?
          


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *