” এই মুহূর্তে রাজ্যের ৭০ শতাংশ জমি এডিসির অন্তর্ভুক্ত। মাত্র ৩০ শতাংশ জমি এডিসির বাইরে। নিয়ম বলছে, “জনজাতিরা এডিসি ও এডিসির বাইরেও জমি ক্রয় করতে পারবে।কিন্তু অনুপজাতিরা এডিসি অঞ্চলে কোনো  জমি ক্রয় করতে পারবে না।  “…      


“রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলের মহল্লা গুলিতে এডিসি সম্প্রসারণ ইস্যুতে চলছে ক্যাম্পেনিং।”…

ডেস্ক রিপোর্টার, ১২জুলাই।।                             তিপ্রাল্যান্ড – গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’ র পর এডিসি সম্প্রসারণের নামে এখন পাহাড় জুড়ে চলছে নতুন খেলা। রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলের মহল্লা গুলিতে এডিসি সম্প্রসারণ ইস্যুতে চলছে ক্যাম্পেনিং। পাহাড়ের সাধারণ মানুষকে বুঝানো হচ্ছে রাজ্যের বিজেপি লিড সরকার এডিসি এলাকার সম্প্রসারণ করবে । এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকার জনজাতিভিত্তিক দুই রাজনৈতিক দল আইপিএফটি তিপ্রামথার সঙ্গে  আলোচনাও শুরু করেছে।অর্থাৎ পৃথক রাজ্যে না পেলেও  জনজাতিদের উন্নয়নের স্বার্থে এডিসি এলাকা বাড়ানো হবে।

।।বিজ্ঞাপণ।।

নতুন সুড়সুড়ি হিসাবে বলা হচ্ছে, জনজাতিদের স্বার্থে এখন এডিসির ৭০ শতাংশ জমিকে বাড়িয়ে ৮০ শতাংশ করা হবে। অনুপজাতিদের জন্য থাকবে মাত্র ২০ শতাংশ জমি।তবে এই জমিতে ভাগ বসাতে পারবে উপজাতিরাও।

তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যের ৭০ শতাংশ জমি এডিসির অন্তর্ভুক্ত। মাত্র ৩০ শতাংশ জমি এডিসির বাইরে। নিয়ম বলছে, “জনজাতিরা এডিসি ও এডিসির বাইরেও জমি ক্রয় করতে পারবে।কিন্তু অনুপজাতিরা এডিসি অঞ্চলে কোনো  জমি ক্রয় করতে পারবে না। নতুন সুড়সুড়ি হিসাবে বলা হচ্ছে, জনজাতিদের স্বার্থে এখন এডিসির ৭০ শতাংশ জমিকে বাড়িয়ে ৮০ শতাংশ করা হবে। অনুপজাতিদের জন্য থাকবে মাত্র ২০ শতাংশ জমি।তবে এই জমিতে ভাগ বসাতে পারবে উপজাতিরাও।


এডিসি সম্প্রসারণ ইস্যুকে সামনে রেখে জনজাতিদের মগজ ধোলাই করা শুরু করেছে তাদের নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে ধলাই জেলার বিভিন্ন এডিসি ভিলেজ সংলগ্ন পঞ্চায়েতগুলিতে থাকা খাস দখল নিতে শুরু করেছে জনজাতিরা। রাজ্যের বহু জায়গাতেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজের সীমানা রয়েছে।

পঞ্চায়েতের মধ্যে থাকা ৫০- ৬০ বছর ধরে অনুপজাতিদের দখলের  জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসক জোটের শরিক তিপ্রামথার নেতৃত্ব। তারা স্পষ্ট করেই বলছেন,  ভিলেজ কমিটি লাগোয়া পঞ্চায়েতগুলি আগামী দিনে এডিসির অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থাৎ ঘুরিয়ে বললে এটাই এডিসি সম্প্রসারনের সুড়সুড়ি।

অভিযোগ, স্থানীয় তিপ্রামথার নেতাদের নির্দেশে পঞ্চায়েতের মধ্যে থাকা ৫০- ৬০ বছর ধরে অনুপজাতিদের দখলের  জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসক জোটের শরিক তিপ্রামথার নেতৃত্ব। তারা স্পষ্ট করেই বলছেন,  ভিলেজ কমিটি লাগোয়া পঞ্চায়েতগুলি আগামী দিনে এডিসির অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থাৎ ঘুরিয়ে বললে এডিসি সম্প্রসারণ।


জনজাতিদের মধ্যে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এডিসি এডিসি সম্প্রসারণের বিষয়টি।স্বাভাবিক ভাবেই জনজাতি অংশের লোকজনের মধ্যে “এডিসি সম্প্রসারণ” ভাইরাস হাবি হচ্ছে প্রবল ভাবে। ধলাই জেলার কমলপুর, আমবাসা, গঙ্গানগর , গন্ডাছড়া অঞ্চলের মানুষের মনে এই এডিসি সম্প্রসারণ নামক বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাও খুব পরিকল্পিত ভাবে।এবং আগামী কিছুদিন পর আনুষ্ঠানিক ভাবে তিপ্রাল্যান্ড – গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যু চাপা দিয়ে রাজনৈতিক ভাবে এডিসি সম্প্রসারণের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসা হবে।এই ইস্যুতে বাজার গরম করবে তিপ্রামথা ও আইপিএফটি।”


এই খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-bangladeshi-betel-nut-killers-laser-beam-fear-of-a-terrible-outcome-in-search-of-target-politics-and-negotiation-bihalgarh-bjp-janatar-mashal/

তবে জনজাতিভিত্তিক উভয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের এই হিস্ হিস্ আগামী দিনে রাজ্যের বুকে ডেকে আনতে পারে এক করুন পরিণতি।তবে এটা পরিষ্কার গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যু পকেটে পুরে নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কিশোর। তাই কৌশলে এডিসি সম্প্রসারণ ইস্যুকে সামনে রেখে রাজনীতির বাজার ধরে রাখার নতুন প্রয়াস আইপিএফটি – তিপ্রামথার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *