চুরাইবাড়ি ডেস্ক, ১লা জুলাই ।।
          চোরের উপদ্রবে নাজেহাল উত্তর জেলার মানুষ।তাদের অধিকাংশই  কদমতলা,চুরাইবাড়ি সহ শনিছড়া এলাকার। পুলিশি প্রহরা থাকা সত্ত্বেও চোরের দল প্রতি রাতেই গৃহস্থের বাড়ি ঘরে হানা দিচ্ছে। এমনকি পুলিশকে পাহারা দিতে চোর, ডাকাত ও নেশা পাচারকারীরা “পুলিশ এলার্ট গ্রুপ” ওয়াটসঅ্যাপে তৈরি করে নিজেদের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ কোনো এলাকাতে পুলিশ টহলদারি করলে সেখান থেকে মুহূর্তের মধ্যে ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সবার কাছে খবর পৌঁছে যাচ্ছে, আর এতে করে নেশা মাফিয়া ও চোর,ডাকাতরা সতর্ক হয়ে যাচ্ছে। ফলে পুলিশ তাদের পাকড়াও করতে অনেক ক্ষেত্রে বিফল হচ্ছে। যদিও পুলিশের দাবী তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে করে প্রতিরাতেই কোন না কোন বাড়িতে হানা দিচ্ছে চোর ও ডাকাত দল। একইভাবে সোমবার রাতে পূর্ব চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতাজী পাড়ার ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রশান্ত দাস ও আসকর আলীর বাড়িতে পর পর হানা দেয় চোরের দল। প্রথমে প্রশান্ত দাসের বাড়িতে প্রবেশ করে তার বাইকটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও বাইকটি লক থাকায় এবং শব্দ পেয়ে বাড়ির মালিক উঠে পড়ায় তা সম্ভব হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায় নিশিকুটুম্বরা।

একই কায়দায় পাশের বাড়ির আসকর আলীর বাড়িতে হানা দিয়ে তার কালো রংয়ের TR05C-7842 নম্বরের পালসার বাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
এতে একই রাতে দুটি বাড়িতে হানা দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা। তাছাড়াও কিছুদিন পূর্বে প্রশান্ত দাসের দোকান থেকে প্রচুর পরিমাণ চেরাই কাঠ নিয়ে যায় চোরের দল । সপ্তাহখানেক পূর্বে রেল গুদাম সংলগ্ন মিনা দেবীর বাড়িতে হানা দিয়ে ডাকাত দল সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়। এভাবে পরপর চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় এক প্রকার আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। আর এই চোর ডাকাতদের পেছনে জড়িত অধিকাংশই ড্রাগসের মারণ নেশায় আক্রান্ত যুবকরা। দাবী তদন্তকারী পুলিশের।
এদিকে  ডাকাতির ঘটনা জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় চুরাইবাড়ি ও পূর্ব চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রামবাসীরা চুরাইবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং চোর ও ডাকাতদের আটক করে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *