“সোনামুড়াতে এনআইএ – র টিম এসেছে বলে কোনো খবর নেই। এনআইএ আসলে তারা নিজেদের প্রকাশ্যে পরিচয় খোলসা করবে না।”- দাবী পুলিশের।
তাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় মহিলা নিজেকে এনআইএ – র অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছেন। এবং বলেছেন, সোনামুড়ার মাদক কারবারীদের জালে তুলতেই তিনি এসেছেন। হোটেল কর্মীরা প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে।এবং এনআইএ – র অফিসার হওয়ার সুবাদে তারাও ভয়ে বিষয়টি চেপে যায়। পরে মহিলা ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনের চলন – বলনে তাদের সন্দেহ হয়।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ নভেম্বর।। সিপাহীজলা জেলার মাদক বাণিজ্যের ক্যাপিটাল সোনামুড়া মহকুমা। এই মহকুমাতেই এখন তারা করছে ভুয়ো এনআইএ – র ভূত। তাও আবার একজন মহিলা। ভুয়ো এনআইএ – র ভূতের দৌলতে কম্পমান স্থানীয় নেশা কারবারীরা।পুলিশ এই বিষয়টি জানার পর ভুয়ো এনআইএ – র মহিলা অফিসারকে হন্যে হয়ে খোঁজছে।কিন্তু তার টিকির নাগাল পাওয়া যায় নি। গত ১১ নভেম্বর সোনামুড়া শহরের একটি হোটেলে যান একজন মহিলা। এবং এই হোটেলে স্টে করেন।সঙ্গে ছিলো দুইজন পুরুষ। তাদের কাছে ছিলো সাদা রঙের একটি বলেরো গাড়ি। তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে বেরিয়ে বলেরো চেপে চক্কর কাটে সোনামুড়া শহরের বিভিন্ন অঞ্চল। মহিলা হোটেলে তার ঠিকানা দিয়েছে আগরতলার শহর দক্ষিণের উন্নয়ন সংঘ এলাকায়।
হোটেল কর্মীদের বক্তব্য, তাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় মহিলা নিজেকে এনআইএ – র অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছেন। এবং বলেছেন, সোনামুড়ার মাদক কারবারীদের জালে তুলতেই তিনি এসেছেন। হোটেল কর্মীরা প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে।এবং এনআইএ – র অফিসার হওয়ার সুবাদে তারাও ভয়ে বিষয়টি চেপে যায়। পরে মহিলা ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনের চলন – বলনে তাদের সন্দেহ হয়। রাতে তারা পুলিশকে কিছু জানায় নি। ১২ নভেম্বর সকালে হোটেল কর্মীরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই মহিলা ও তার সঙ্গে থাকা দুইজন পুরুষ হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়।
মোবাইলে মহিলা মাদক কারবারীদের ভয় দেখাচ্ছিল। মহিলা ও মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির কথোপকথন থেকে তারা এটাই আঁচ করতে পেরেছিল।
হোটেল কর্মীরা জানিয়েছে, মোবাইলে মহিলা মাদক কারবারীদের ভয় দেখাচ্ছিল। মহিলা ও মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির কথোপকথন থেকে তারা এটাই আঁচ করতে পেরেছিল। তখনই হোটেল কর্মীদের সন্দেহ আরো তীব্র হয়। ১২ নভেম্বর সকালে খবর পেয়ে পুলিশ হোটেলে এসে মহিলার নাম,ঠিকানা সংগ্রহ করে। এরপর গোটা সোনামুড়াতে বলেরো গাড়িটি আটক করার জন্য পুলিশও দৌড়ঝাঁপ করে।কিন্তু তাদের টিকির নাগাল পায় নি।
।।বিজ্ঞাপন।।
পুলিশ জানিয়েছে, সোনামুড়াতে এনআইএ – র টিম এসেছে বলে কোনো খবর নেই। এনআইএ আসলে তারা নিজেদের প্রকাশ্যে পরিচয় খোলসা করবে না।তাছাড়া তারাও নির্দিষ্ট সিস্টেমের মধ্যে থেকেই কাজ করবে। এই কারণে পুরো বিষয়টি সন্দেহ জনক।পুলিশের ধারণা, ভুয়ো এনআইএ- র নাম করে মাদক কারবারীদের ভয় ভীতি দেখিয়ে তোলা আদায় করার উদ্দেশ্যেই মহিলা নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। তবে সত্য – মিথ্যা পরের বিষয়। ঘটনার এতো দিন পরও পুলিশ এন আই এ – র ভুয়ো মহিলা অফিসারকে আটক করতে পারে নি। পায় নি তার সন্ধান।এটাই বড় প্রশ্ন।