আভিযোগ, সমাজদ্রোহী অভিজিত পালের নেতৃত্বেই বড়দোয়ালী স্কুল লাগোয়া উড়ালপুলে রাতে চলে ককটেল পার্টি। কিভাবে তা সম্ভব। এই দায় ভার অবশ্যই বর্তাবে অরুন্ধতীনগর থানার পুলিশের উপর। কারণ এই অঞ্চলটি এই থানার এলাকার অন্তর্ভুক্ত।

ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ মে।।
             রাত ১০টা বাজতেই শহরের বীরপুঙ্গব পুলিশ রাস্তার দোকানীদের দোকানের ঝাঁপ বুজানোর জন্য হুলিয়া জারি করে থাকে। অথচ রাতের আগরতলায় স্বপ্নের উড়াল পুল থাকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন। কোথায় থাকে পুলিশ? রাত বিরাতেই শরীরে ঠাণ্ডা দক্ষিণী বাতাস ও মুখে মধু লাগানোর জন্য উড়ালপুলকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয় নেতা রূপী মদ্যপরা । সুযোগ বুঝে এরা উড়ালপুলে চলাচল করা গাড়ি থেকে আদায় করে “তোলা”। প্রতি রাতেই এই দৃশ্য দেখা যায় বড়দোয়ালী স্কুল লাগোয়া উড়ালপুলে।অভিযোগ, এই ঘটনার মধ্যমণি স্থানীয় যুব মোর্চার চিনেপুঁটি নেতা অভিজিৎ পাল। তাকে অবশ্যই চেনেন এই রাজ্যের মানুষ। কীভাবে? গত বছর ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে এক জনজাতি ট্রাফিক কনস্টেবলকে শারীরিক ভাবে নিগৃহীত করা সহ বিভিন্ন জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিল অভিজিৎ পাল। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিলো মামলা। পুলিশ গ্রেফতারও করেছিলো। কয়েক রাত গুজরান করেছিলো কারা অন্দরে।

আভিযোগ, সমাজদ্রোহী অভিজিত পালের নেতৃত্বেই বড়দোয়ালী স্কুল লাগোয়া উড়ালপুলে রাতে চলে ককটেল পার্টি। কিভাবে তা সম্ভব। এই দায় ভার অবশ্যই বর্তাবে অরুন্ধতীনগর থানার পুলিশের উপর। কারণ এই অঞ্চলটি এই থানার এলাকার অন্তর্ভুক্ত।

রাতের আগরতলার  উড়ালপুল

দুষ্কৃতীরা প্রায়শই উড়ালপুলে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে আদায় করে তোলা।

স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, এলাকার চিনেপুটি যুব নেতারা দোকান বড়দোয়ালি স্কুলের বিপরীত দিকে। এই দোকান থেকেই ঢিল দিয়ে ককটেল পার্টির খাদ্য দেওয়া হয় উড়ালপুলে। অভিজিতের নেতৃত্বেই রাতভর চলে পার্টি। তবে এটা কালে ভদ্রে নয়। রোজকার রুটিন। উড়াল পুলে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বিপদ।অভিযোগ, অভিজিতের নেতৃত্বাধীন দুষ্কৃতীরা প্রায়শই উড়ালপুলে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে আদায় করে তোলা।  উড়াল পুলের উপরেই তারা সাজিয়ে বসে ককটেলে পার্টির নৈবেদ্য। কিন্তু কেউ নাকি তাদেরকে কিছু বলার সাহস নেই।

উড়ালপুল থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে বড়দোয়ালী মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি পদ্মনাভ সাহার বাড়ি। সেও কি জানে না?

স্থানীয় লোকজন এই ঘটনার কথা বেশ কয়েকবার জানিয়েছেন অরুন্ধতীনগর থানাকে। কিন্তু থানাদার শাসক দলের নেতার ভয়ে কাবু। তিনি কিছু বলার সাহস করেন না।কারণ অভিজিত যে মুখ্যমন্ত্রীর এলাকার যুব নেতা। ছিঃ ছিঃ। দোয়ায় তোমার পুলিশ। রাজ্যের নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বারবার বলছেন, ” অপরাধ ও অপরাধী দমনে পুলিশকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে, অথচ পুলিশ খাকি উর্দির সম্মান বিসর্জন দিয়ে তোয়াজ করছে দাগি অপরাধী অভিজিৎ ও তার লোকজনকে। এই উড়ালপুল থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে বড়দোয়ালী মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি পদ্মনাভ সাহার বাড়ি। সেও কি জানে না? জানেন, কিন্তু পদ্মনাভ কোনো ভূমিকা পালন করবেন না। কারণ তারা নাকি তার “সতীর্থ”। বলেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের লোকজন। হায় রে পুলিশ।

#Tripura #Agartala #Flyover#cocktail# party#JM


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *