ডেস্ক রিপোর্টার ,৮ মে।।

            কাশ্মীরের পহেলগ্রামে জঙ্গি হামলা ও  অপরেশন সিঁদুর- র প্রভাব পড়লো প্রদেশ বিজেপির সভাপতি নির্বাচনে। শুধু ত্রিপুরা নয়, আরো কয়েকটি রাজ্যে বিজেপির সভাপতি নির্বাচন পিছিয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে মোদী – শাহ – নাড্ডা ব্যস্ত ইন্দো – পাক ইস্যু নিয়ে। গোটা দেশে এখন যুদ্ধের আবহ।ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতাদের নজরও একই দিকে।স্বাভাবিক ভাবেই ত্রিপুরা সহ কয়েকটি রাজ্যের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ভাবিত নন বিজেপি নেতৃত্ব।  বিজেপির খবর অনুযায়ী, দেশের পরিস্থিতি সব কিছু ঠিকঠিক না হওয়া পর্যন্ত প্রদেশ সভাপতি নির্বাচন স্থগিত। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত সরাসরি যুদ্ধেই জড়িয়ে গিয়েছে।তাই কবে নাগাদ নাম ঘোষণা দেওয়া হবে, তার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও।

গোটা দেশের ফোকাস এখন যুদ্ধের দিকে। তাতেই থিতিয়ে যায় সভাপতি নির্বাচন।

সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা দিল্লিতে গিয়েছিলেন। এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা সহ সর্ব ভারতীয় বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এল সন্তোষের সঙ্গে ।  ভাজপার অলিন্দের খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরে প্রদেশ বিজেপির সভাপতির নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তাতে শুধু আনুষ্ঠানিক ভাবে সীলমোহর দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে ফিরে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই ত্রিপুরা সহ আরো কয়েকটি রাজ্যের সভাপতিদের নাম ঘোষণা দেওয়া কথা ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটে যায় কাশ্মীরের পহেলগ্রামে নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনা। এই ঘটনার পর সব তালগুড় পাকিয়ে যায়। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে তৈরী হয় যুদ্ধ পরিস্থিতি। ভারত প্রতিশোধ নিতে শুরু করে অপরেশন সিঁদুর। পাল্টা হামলা করছে পাকিস্তানও। এখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা একেবারেই চূড়ান্ত পর্যায়ে।গোটা দেশের ফোকাস এখন যুদ্ধের দিকে।আর তাতেই থিতিয়ে যায় ত্রিপুরা সহ আরো ছয় রাজ্যের বিজেপির সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া।

রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হচ্ছেন? এটা নিশ্চিত ভাবে জানেন মুখ্যমন্ত্রীই।


রাজীব নিজেও সভাপতির চেয়ার ধরে রাখতে চাইছেন । তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের।আছেন ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, সহ – সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য্য, প্রদেশ বিজেপির দুই সাধারন সম্পাদক অমিত রক্ষিত ও ভগবান দাস। কিন্তু তাদের মধ্যে কার নামে সীলমোহর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব?


প্রদেশ বিজেপি সূত্রের খবর, দিল্লির দরবারে যাওয়া সভাপতির সম্ভাব্য তালিকায় নাম রয়েছে খোদ রাজীব ভট্টাচার্যের নাম। তিনি বর্তমানে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি ও রাজ্য সভার সাংসদ। দলের মধ্যে বিতর্ক এড়ানোর জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ প্রদেশ সভাপতির চেয়ারে আবারও চাইছেন রাজীব ভট্টাচার্যকে। রাজীব নিজেও সভাপতির চেয়ার ধরে রাখতে চাইছেন । তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের।আছেন ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, সহ – সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য্য, প্রদেশ বিজেপির দুই সাধারন সম্পাদক অমিত রক্ষিত ও ভগবান দাস। কিন্তু তাদের মধ্যে কার নামে সীলমোহর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? এটা সবার কাছেই অজানা। খবর অনুযায়ী,  রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হচ্ছেন? এটা নিশ্চিত ভাবে জানেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কোনো ধরনের আগাম ঈঙ্গিত এখনো দেন নি।কারণ তাতে নিষেধ আছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।

ভারত – পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনা প্রশমন হলেই ত্রিপুরার ভাজপার সভাপতির নাম ঘোষণা করবে কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব।

একটা বিষয় স্পষ্ট , ভারত – পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনা প্রশমন হলেই ত্রিপুরার ভাজপার সভাপতির নাম ঘোষণা করবে কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব। ২০২৬ সালে রাজ্যে দুইটি স্থানীয় নির্বাচন রয়েছে। এই দৃষ্টিকোন থেকে খুব শীঘ্রই প্রদেশ ভাপপার সভাপতি নির্বাচন আবশ্যক।বলছেন বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।

#Tripura #Politics #Bjp #President #Election #JM


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *