ডেস্ক রিপোর্টার,২৩ অক্টোবর।।
                     পূর্ব নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী তিপ্রা সিভিল সোসাইটির ডাকা বনধ নিয়ন্ত্রণ করতে পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার এই বনধকে মান্যতা দেয় না। রাজ্য তথ্য দপ্তর প্রেস বিবৃতি দিয়ে একই না মানার কথা জানিয়ে ছিলো। তারপরও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বনধ পালিত হয়েছে। অবরুদ্ধ ছিলো জাতীয় সড়ক, রেল পথ। যান বাহন চলাচল ছিলো কম। সরকারী কর্মচারীরা অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তারা যেতে পারেন নি। অনেক জায়গাতে পিকেটিংকারী ও পুলিশ যৌথ ভাবে মিলিত হয়ে পথচারীদের আটকে দেয়।অর্থাৎ ঘুর পথে পুলিশ সরকারী নির্দেশ অমান্য করে আন্দোলনকারীদের পক্ষ নেয়।


তিপ্রা সিভিল সোসাইটির ডাকা ২৪ ঘণ্টার বনধ কেন্দ্র করে খুব বড় ঘটনা না ঘটলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। বড়মুড়া সাধু পাড়াতে বৃহস্পতিবার সাত সকালেই অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় সড়ক। আগরতলাতে উত্তর গেটে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়ে ভিআইপি সড়ক আটকে দিয়েছে। সাধারণ পথচারীদের সঙ্গে করেছে দুর্ব্যবহার। তাও আবার খাকি উর্দি ওয়ালাদের সামনেই।তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামীতে বিজেপি শক্তি কেন্দ্রে করেছে হামলা।হয়েছে রক্তাক্ত। তেলিয়ামুড়া ত্রিশা বাড়ি রেল স্টেশন সহ পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গাতে রেল রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে। উত্তর – পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তপক্ষও প্রকারন্তে সমর্থন করেছে তিপ্রা সিভিল সোসাইটির ডাকা বনধ।
  এডিসির সদর দপ্তর, খুমুলুঙ, মোহনপুরের হেজামারা, খোয়াই, তেলিয়ামুড়া, সহ রাজ্যের পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে স্তব্ধ ছিলো জন জীবন।  বনধ সমর্থনকারীরা দিন রাত ২৪ ঘন্টা তাদের
আন্দোলন জারি রাখার ঘোষণা দিয়েছে। শুধু মাত্র ব্যতিক্রম আগরতলা। আন্দোলনকারীদের মুখিয়া রঞ্জিত দেববর্মা জানিয়েছেন, ” আজ বাঙালি জন গোষ্ঠীর ভাই ফোঁটা। তাই মন্ত্রী – সাংসদদের অনুরোধে শুধু মাত্র আগরতলায় বিকাল তিনটার পর থেকে পিকেটিং বন্ধ রাখা হয়েছে।রাজ্যের বাদবাকি সব জায়গাতে চলতে বনধের কর্মসূচি”।


সর্বোপরি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তিপ্রা সিভিল সোসাইটির ডাকা বনধ নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ গোটা রাজ্য প্রশাসন। বর্তমানে রাজ্য প্রশাসন যে কলা পাতা তা বুঝিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ” এই বনধ মানুষ মন থেকে মেনে নেয় নি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *