চুরাইবাড়ি ডেস্ক ,২৪ মার্চ ।।
শাসক দলের স্ব-ঘোষিত নেতার দেওয়া ভুল তথ্যের ভিত্তিতে অসহায় দম্পতিকে পুলিশের হয়রানি।এবং পুলিশের সামনেই দম্পতির উপর হামলা করে বিজেপির স্ব-ঘোষিত গুণ্ডা। থানায় দায়ের করা হয় মামলা।ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমার কদমতলা থানাধীন তারকপুরে।বিজেপির অভিযুক্ত স্ব – ঘোষিত নেতার নাম অঞ্জন ধর। আক্রান্ত দম্পতি
জামিনী দাস ও নন্দিতা দাস।
কদমতলা থানার এএসআই ধন্য মানিক্য চাকমা জানিয়েছেন, অঞ্জন ধর নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বিজেপি নেতা পরিচয় দিয়ে থানায় বারবার ফোন করছিলো। তার অভিযোগ ছিলো, তারক পুরের বাসিন্দা তথা সাইকেল মেকানিক জামিনী দাস তার দোকানে গাঁজার ব্যবসা করে। এবং তার মজুত আছে গাঁজা। অঞ্জন ধরের দেওয়া প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সাইকেলে মেকানিক জামিনী দাসের দোকানে অভিযান চালায়। পুলিশি তল্লাশির সময় আচমকা অঞ্জন ধর দোকানের সামনে এসে জামিনী দাসকে মারধর শুরু করে। স্বামীকে বাঁচাতে এসে অঞ্জন ধরের আক্রমণের মুখে পড়েন জামিনীর স্ত্রী নন্দিতা দাস। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এই ঘটনার পর অঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে কদমতলা থানায় মামলা করেন দাস দম্পতি। তাদের বক্তব্য, অকারণেই ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে অঞ্জন ধর। সে এক সময় ছিল সিপিআইএমের গুণ্ডা। এখন নিজেকে বিজেপির গুণ্ডা হিসাবে প্রকাশ্যে পরিচয় দেয়। নন্দিতা দাসের অভিযোগ, স্বামীকে বাঁচাতে এসে তিনিও আক্রান্ত হন। অঞ্জন ধর তার কানে থাকা সোনার দোল নিয়ে যায়। এবং প্রচন্ড ভাবে মারধর করে। তার আগে ষড়যন্ত্র করে তার স্বামী জামিনী দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে অঞ্জন ধর। পুলিশকে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং দাস দম্পতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদের চক্রান্ত ও তাদেরকে মারধরের ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ অঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কি ব্যবস্থা নেয় এটাই এখন দেখার বিষয়।
#tripura #north #kadamtala #Bjp #police #JM