ঋষ্যমুখ মন্ডলের নিগোসিয়েশন মাফিয়া তথা মণ্ডল থেকে অপসারিত নেতা বাদল ভৌমিক “সিন্ডিকেট” বানিজ্য থেকে প্রাপ্ত টাকার নোট গণনার জন্য তার বাড়িতে নিয়ে এসেছে “কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন”। তাহলে সহজেই অনুমেয় নিগোসিয়েশন বাণিজ্য থেকে কত টাকা কামাই করছে বাদল – রাজু – নকুলরা?
ডেস্ক রিপোর্টার, ৪জুন।। বিলোনিয়ার ঋষ্যমুখ মণ্ডলের নানান দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিলো রাজ্যের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম “জনতার মশাল”। ঋষ্যমুখে ভারতীয় জনতা পার্টিকে কালিমালিপ্ত করার পেছনে মূল কারিগর বাদল ভৌমিক। সঙ্গে রাজু নাথ খোদ বর্তমান মন্ডল সভাপতি নকুল পাল, সঞ্জু নম: সহ আরও কয়েকজন। ঋষ্যমুখ মণ্ডলে কান পাতলেই শোনা যায় তাদের দুর্নীতির উপাখ্যান। বিজেপির দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে তথ্য সমৃদ্ধ খবর প্রকাশ করেছিল রাজ্যের এক মাত্র সংবাদ মাধ্যম “জনতার মশাল”। প্রকাশিত খবরের প্রভাবে শেষ পর্যন্ত পদ হারালেন ঋষ্যমুখ মন্ডলের দুর্নীতিবাজ নেতা তথা নিগোসিয়েশন মাফিয়া বাদল ভৌমিক। তাঁকে নতুন মন্ডল কমিটি থেকে ছেঁটে দেওয়া হয়েছে।বিদায়ী কমিটির সহ – সভাপতি ছিলেন বাদল ভৌমিক।অবশ্যই বাদলকে নতুন কমিটিতে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন দুর্নীতিবাজ মন্ডল সভাপতি নকুল পাল। কিন্তু নকুলও শেষ রক্ষা করতে পারে নি। রাজ্য নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ” বাদলকে কোনো ভাবেই নতুন কমিটিতে রাখা যাবে না।”
বাদল ভৌমিকের রাজনৈতিক ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আরেক নিগোসিয়েশন মফিয়া – জমি দস্যুর রাজু নাথের সারা শরীরে কম্পন শুরু হয়েছে।
বাদল ভৌমিকের রাজনৈতিক ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আরেক নিগোসিয়েশন মফিয়া – জমি দস্যুর রাজু নাথের সারা শরীরে কম্পন শুরু হয়েছে। রাজু নাকি দিনের বেলাতেও কু-স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছেন।কারণ তাকেও বিজেপির দক্ষিন জেলা কমিটি থেকে ছেঁটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষ্ণনগর কুশাভাউ ভবন। রাজু নাথ বর্তমানে দক্ষিণ জেলা কমিটির সম্পাদক। শুধু রাজু নাথ নয়, বর্তমান নব গঠিত কমিটির সম্পাদক রাজীব পালও বামেদের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে সখ্যতা রেখে চলছে।২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে রাজীব পাল গোপনে সিপিআইএম পার্টির নির্বাচনী তহবিলে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছিলো। এই তথ্যও রয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।
ঋষ্যমুখ মন্ডলের সম্পাদক রাজীব পালের সিপিআইএম প্রেম। ছিঃ ছিঃ।
২৮শে’র বিধানসভা নির্বাচনেও ঋষ্যমুখ মণ্ডলে দুর্নীতিবাজ নেতাদের দিয়ে আসনটি যে ধরে রাখা যাবে না, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বাদল ভৌমিক – রাজু নাথ – সঞ্জু নম:রা ঋষ্যমুখ মণ্ডলে বিজেপিকে ধুলোতে মিশিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে অবশ্যই আছেন মহামান্য মন্ডল সভাপতি নকুল পাল। নিগোসিয়েশন বাণিজ্য,বল পূর্বক জমি দখল, সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে হামলা – হুজ্জুতি, মাদক কারবারকে উৎসাহ দেওয়া সব কিছুতেই তারা পারদর্শী। ভারতীয় জনতা পার্টির নাম বিক্রি করে এরা একের পর এক দুর্নীতি করছে। এক সময়ে নুন আনতে পান্তা ফুরানো বাদল – রাজুরা অর্থ দিয়ে তাদের উদর পূর্তি করছে।কিন্তু বিজেপিকে আসনটি এনে দিতে তারা চূড়ান্ত ব্যর্থ। ১৮ – বিধানসভা নির্বাচনে প্রবল পরিবর্তনের হাওয়ার মধ্যেও ঋষ্যমুখ দখল করতে পারে নি বিজেপি। ২৩শেও চূড়ান্ত ব্যর্থ। ২৮শে’র বিধানসভা নির্বাচনেও ঋষ্যমুখ মণ্ডলে দুর্নীতিবাজ নেতাদের দিয়ে আসনটি যে ধরে রাখা যাবে না, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই এখন থেকেই ছাঁটাইয়ের কাজ শুরু করেছে। তার প্রথম ধাপ মন্ডল কমিটি থেকে বাদল ভৌমিকের অপসারণ। দ্বিতীয় ধাপে রাজু নাথকেও এক ঘরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
ঋষ্যমুখ মণ্ডলের সিন্ডিকেট বাণিজ্যের মাতব্বররা।
ঋষ্যমুখ মণ্ডল কমিটি থেকে ছেঁটে দেওয়া বাদল ভৌমিক ও জেলার সম্পাদক রাজু নাথ, মন্ডল সভাপতি নকুল পাল,সম্পাদক রাজীব পাল,জেলার যুব নেতা সঞ্জু নম:দের এতো সম্পত্তি কোথায় থেকে এলো?
ঋষ্যমুখ মণ্ডল কমিটি থেকে ছেঁটে দেওয়া বাদল ভৌমিক ও জেলার সম্পাদক রাজু নাথ, মন্ডল সভাপতি নকুল পাল,সম্পাদক রাজীব পাল,জেলার যুব নেতা সঞ্জু নম:দের এতো সম্পত্তি কোথায় থেকে এলো? প্রশ্ন স্থানীয়দের। তাদের বক্তব্য, ইডি তদন্ত করলে রহস্য বেরিয়ে আসবে।অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ইডি অভিযান করবে না। এটা নিশ্চিত। খবর অনুযায়ী, ঋষ্যমুখ মন্ডলের নিগোসিয়েশন মাফিয়া বাদল ভৌমিক সিন্ডিকেটের টাকার নোট গণনার জন্য তার বাড়িতে নিয়ে এসেছে “কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন”। তাহলে সহজেই অনুমেয় নিগোসিয়েশন বাণিজ্য থেকে কত টাকা কামাই করছে বাদল – রাজু – নকুলরা?
“কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন”।
তথ্য মোতাবেক, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দুই দফায় পূর্ত দপ্তর ও এম আই -র ১০টি কাজ থেকে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার কমিশন পকেটে ঢুকিয়ে নেয়।কমিশন বাণিজ্যের এতো নোট হাতে গণনা করা অসম্ভব।তাই বাড়িতেই “কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন” বসিয়ে দিয়েছেন ঋষ্যমুখ মন্ডলের বিদায়ী কমিটির সহ – সভাপতি বাদল ভৌমিক।
হোয়াটস অ্যাপস গ্রুপে নিগো বাণিজ্য
বাদল ভৌমিককে মণ্ডল কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলাতে বড় জয় হয়েছে “জনতার মশাল” ওয়েব পোর্টালের। বেরিয়ে এসেছে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত খবরের সত্যতা। কৃষ্ণনগর কুশাভাউ ভবনের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ” দীর্ঘ দিন ধরেই ঋষ্যমুখ মণ্ডল নিয়ে জনতার মশাল ওয়েব পোর্টালে প্রকাশিত খবরের উপর নজর রাখছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত প্রকাশিত খবরগুলির সত্যতাও খুঁজে পেয়েছেন নেতৃত্ব। তাই তারা বাধ্য হয়েছেন বাদল ভৌমিককে ছেঁটে দিতে। এবং বাদবাকিদের দিয়েছে সাবধান হওয়ার বার্তা।”
