ডেস্ক রিপোর্টার, ২ জুলাই।।
রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে বড় খেলা শুরু হয়েছে ভাজপা শিবিরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজভবনে থাকতে পারে বেশ কয়েকটি বড় চমক। কৃষ্ণনগরের কুশভাউ ভবনের সর্ব শেষ খবর অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে চলছেন নলছড়ের বিধায়ক কিশোর বর্মণ। তাঁর হাতে দেওয়া হতে পারে শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব। এই মুহূর্তে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ১০ জন সদস্য।সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী,মন্ত্রিসভার সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা হতে পারে১১ জন। এক্ষেত্রে একেবারে নতুন মুখ হিসেবে মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন কিশোর বর্মণ। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া। বিকাশ দেববর্মাকে দেওয়া হতে পারে অব্যাহতি। রামপদ জমাতিয়া এর আগেও মন্ত্রী ছিলেন। বিপ্লব কুমার দেবের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার প্রথম ধাপেও মন্ত্রী ছিলেন রামপদ। তাছাড়া পূর্ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন প্রতিমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা। প্রতিমন্ত্রীর অসন্তুষ্ট বৃষকেতু। এনিয়ে প্রকাশ্যেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বৃষকেতু সহ তিপ্রামথার নেতৃত্ব।তাই এবার পূর্ণমন্ত্রীর অধরা স্বাদ পেতে পারেন বৃষকেতু দেববর্মা। তাছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে আরো কিছু চমক অপেক্ষা করছে রাজভবনে।এমনটাই দাবী ভাজপা শিবিরে। তবে কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জাতি – জনজাতি ভোটের সমীকরণের কথা মাথায় রেখে শেষ মুহূর্তে বিকাশ দেববর্মা তাঁর নিজের পদে বহাল থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বুধবার দিনভর দিল্লি নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের অনেক হিসেব নিকেশ হয়েছে। খবর লেখা পর্যন্ত নাকি চলছে আরো কিছু জটিল অঙ্ক। তবে এই মুহূর্তে প্রদেশ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না। দিল্লীর সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মন্ত্রিসভা থেকে সরে আসতে পারেন মন্ত্রী টিংকু রায়। তাঁকে করা হবে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি। টিঙ্কুর পরিবর্তে মন্ত্রিসভায় ঢুকতে পারেন ভগবান দাস।মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেনও।
