কৈলাসহর ডেস্ক, ২৩ আগস্ট।।
         দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার করে না দেওয়ায় স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনা কৈলাসহরের ভগবান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নম্বর ওয়ার্ডের ডলুছড়া গ্রামে। উল্লেখ্য, কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীনস্থ ভগবান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই ভগবান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নম্বর ওয়ার্ডের ডলুছড়া গ্রামে কুড়ি পরিবারের বসবাস রয়েছে এবং গ্রামের সকলেই শ্রমিক অংশের মানুষ। মূলত ডলুছড়া গ্রামটি কৈলাসহর-ধর্মনগরের জাতীয় সড়কের পাশেই অবস্থিত। ডলুছড়া গ্রামের কুড়ি পরিবারের যাতায়াতের জন্য গ্রামে কেবলমাত্র একটি ইট সলিং রাস্তা রয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ  দীর্ঘদিন ধরে ইট সলিং রাস্তাটি সংস্কার করে না দেওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গ্রামের প্রবেশপথে ডলুছড়ার জলে রাস্তার মাটি তলিয়ে যাওয়ায় বিগত এক বছর ধরে গ্রামে ছোট বড় কোনো ধরনের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। ডলুছড়ার জলে রাস্তার মাটি তলিয়ে যাওয়ায় রাস্তাটি বিপদজনক হয়ে পড়েছে। রাস্তার উপর দিয়ে জীবনবাজি রেখে গ্রামবাসীরা যাতায়াত করছেন। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে গ্রামে এম্বুলেন্স ঢুকতে পারছে না। অসুস্থ মানুষকে কোলে করে পায়ে হেঁটে প্রায় পঞ্চাশ মিটার দূরে নিয়ে গাড়িতে তোলতে হয়। তাছাড়া বৃষ্টি পড়লে সেই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটেও চলাফেরা করা যায় না বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন। বিগত কিছু দিন পূর্বে গ্রামের এক মহিলা মারা যাবার পর মৃতদেহ শ্মশানঘাটে নেওয়ার জন্য গাড়ি গ্রামের ভিতর আসতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে গ্রামবাসীরা মৃতদেহকে পীঠে করে পঞ্চাশ মিটার দূরে নিয়ে গাড়িতে তোলে মৃতদেহ শ্মশানঘাটে নিয়েছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। গ্রামবাসীরা এও জানান যে, স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ গার্ড ওয়াল নির্মান করে স্থায়ী সমাধান না করে প্রতিবছর বাঁশের ভেড়া দিয়ে মাটি ফেলে। গতবছরও স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বাঁশের ভেড়া দিয়ে মাটি ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো। কিন্তু বর্ষাকাল আসলেই কিংবা একনাগাড়ে দুই দিন বৃষ্টি পড়লেই ডলুছড়ার জলের স্রোতে বাঁশের ভেড়া ভেঙ্গে রাস্তার মাটি ছড়ার জলে তলিয়ে যায়। এবছর এখনও অব্দি স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ রাস্তার কাজ করেনি। গ্রামবাসীরা কয়েক বার স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর বিগত এক মাস পূর্বে বাঁশের ভেড়া বসালেও মাটি ফেলে দেয়নি। যারফলে গ্রামবাসীরা স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। গ্রামবাসীরা এও জানান যে, উনারা জানতে পারেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এই কাজের জন্য ১৬হাজার টাকা বরাদ্দ করে এক হাজার টাকার বাঁশ ক্রয় করে বাকী টাকা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ হাফিজ করে দিয়েছে। এই খবর গ্রামবাসীরা জানার পর গোটা গ্রামে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গ্রামবাসীরা খুব শীঘ্রই এব্যাপারে গৌরনগর ব্লকের বিডিও-এর দারস্থ হবে বলেও জানান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *