গত ২৫ অক্টোবর টিএমসি’র প্রিন্সিপাল মোট ১২ জন ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে আমতলী থানার মামলা দায়ের করেছেন।
প্রতীকী ছবি
অভিযুক্ত ১২ জন ছাত্র নিয়মিত ভাবে তাদের জুনিয়রদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে রিগিং করে আসছে।রিগিং- র সময়ে জাতি বিদ্বেষী কথা বার্তাও তারা বলছে জুনিয়রদের। এটা শিক্ষাঙ্গনের জন্য কোন ভাবেই মঙ্গলদায়ক নয়। তদন্তকারী পুলিশ প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্ত ও অত্যাচারিত ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছে।
এই ঘটনা কেন্দ্র করে টিএমসি- র ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৯ অক্টোবর।। এক সময় রাজ্যের জেনারেল কলেজ ও টেকনিক্যাল কলেজ গুলিতে রিগিং ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।রিগিং- র কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ছাত্রদের। আন্দোলিত হয়েছিলো গোটা রাজ্য। তবে বহুদিন আগেই রেগিং নামক অভিশপ্ত শব্দটি রাজ্যের শিক্ষাঙ্গন থেকে মুছে গিয়েছিল। কালে ভদ্রে দিত উঁকিঝুকি।কিন্তু ইদানিং কালে টিআইটি থেকে এনআইটি এবং এজিএমসি থেকে টিএমসি’তে রিগিং নামক শব্দটি ভাসতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, রিগিং- র মধ্যে প্রবেশ করেছে জাতি বিদ্বেষও। স্বাভাবিকভাবেই রিগিং শব্দটি হয়ে উঠেছে আরও স্পর্শকাতর। এবং রিগিং কেন্দ্র করে শিক্ষাঙ্গন গুলিতে ঘটতে পারে বড় ঘটনা। এমন আকাঙ্ক্ষা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
পুলিশের খবর অনুযায়ী, বিগত কিছুদিন ধরে হাঁপানিয়াস্থিত মেডিকেল কলেজে এক শ্রেণীর ছাত্ররা জুনিয়রদের ধারাবাহিক ভাবে রিগিং শুরু করেছে। এই নিয়ে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রদের মধ্যে চলছে ঝামেলা। এই রিগিং- র উঠে আসছে জাতি বিদ্বেষ নামক বিষ বাষ্প। সম্প্রতি অত্যাচারিত ছাত্ররা বিষয়টি জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। তারা বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে আলোচনার মাধ্যমে শেষ করতে চেয়েছিল।কিন্তু তা হয় নি।বরং পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠে। রিগিং- র বিষ বাষ্প হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইলে মোবাইলে বিস্তার লাভ করে।তাতে পরিস্থিতি আরো বিগড়ে যায়। পরিস্থিতি এমন এক জায়গাতে পৌঁছে যায়, কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন আমতলীর এসডিপিও শঙ্কর দাস। তিনি জানিয়েছেন,পুলিশ মামলা নিয়ে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পরিস্হিতি জটিল থেকে জটিলতর হওয়াতে টিএমসি কর্তৃপক্ষ দারস্থ হয় পুলিশের।কারণ রিগিংকারী ছাত্রদের কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না, কলেজ কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় টিএমসির প্রিন্সিপাল সহ পরিচালন কমিটির সদস্যরা ছুটে যান আমতলী থানায়। কলেজের প্রিন্সিপাল মোট ১২ জন ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে আমতলী থানার মামলা দায়ের করেন। থানা কর্তৃপক্ষ স্পেশাল মেডিক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা রুজু করে। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন আমতলীর এসডিপিও শঙ্কর দাস। তিনি জানিয়েছেন পুলিশ মামলা নিয়ে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
রিগিং- র সময়ে সিনিয়ররা জাতি বিদ্বেষী কথা বার্তাও তারা বলছে জুনিয়রদের।
অভিযোগ, অভিযুক্ত ১২ জন ছাত্র নিয়মিত ভাবে তাদের জুনিয়রদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে রিগিং করে আসছে।রিগিং- র সময়ে জাতি বিদ্বেষী কথা বার্তাও তারা বলছে জুনিয়রদের। এটা শিক্ষাঙ্গনের জন্য কোন ভাবেই মঙ্গলদায়ক নয়। তদন্তকারী পুলিশ প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্ত ও অত্যাচারিত ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছে।তবে পুলিশের প্রাথমিক টিএমসি সফরের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিলো না।
অভিযুক্ত ছাত্ররা পুলিশের সঙ্গে ছাত্র সুলভ ব্যবহার করে নি। থানায় মামলা দায়ের হওয়ার ছয় দিন পরও পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে নি। তবে পুলিশ চাইছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে। নিয়মিত পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলছে আমতলী থানা কর্তৃপক্ষ।