ডেস্ক রিপোর্টার , ৯ ডিসেম্বর।।
আগরতলার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে মঙ্গলবার যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত শচীন্দ্র লাল সিংয়ের ২৫ তম প্রয়াণ দিবস। তবে শচীন্দ্র লাল সিংয়ের প্রয়াণ দিবসে দিনক্ষণ নিয়েও দেখা দিয়েছে বিতর্ক। শচীন্দ্র লাল সিংয়ের পুত্র আশীষ লাল সিংয়ের বক্তব্য, তাঁর বাবা প্রয়াত হয়েছিলেন ২০০০ সালের ৮ ডিসেম্বর। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস তাঁর বাবার প্রয়াণ দিবস পালন করছে ৯ ডিসেম্বর। তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে নেতা – কর্মীদের উপস্থিতিতে পালিত হয় শচীন্দ্র লাল সিংয়ের প্রয়াণ দিবস। প্রথমে দলের নেতা – কর্মীরা শচীন্দ্র লাল সিংয়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শচীন্দ্র লাল সিংয়ের জীবন দর্শন নিয়ে হয় আলোচনা সভা।জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা।
আশীষ কুমার সাহা বলেন, শচীন্দ্র লাল সিং ছিলেন রাজ্যের জাতি – জনজাতির এক সেতু বন্ধন। বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে অকাতরে সাহায্য করেছেন ওপারের মুক্তিকামী মানুষকে। লক্ষ লক্ষ শরণার্থীকে তিনি ত্রিপুরায় জায়গা দিয়েছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের কথা আজও মনে রেখেছে মেঘনা পাড়ের মানুষ।
প্রয়াত শচীন্দ্র লাল সিং ছিলেন রাজ্যের একজন লিজেন্ড রাজনীতিকবিদ। তিনি দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্যও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।রাজ্যের উন্নয়নের ক্ষেত্রে শচীন্দ্র লাল সিং নিয়েছিলেন বড় ভূমিকা। তাঁর সময়েই জিবি হাসপাতাল থেকে শুরু করে ওএনজিসি, ওমেন্স কলেজ, রেল যোগাযোগ সহ ত্রিপুরাকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাইয়ে দেওয়া সহ আরো অনেক ক্ষেত্রেই শচীন্দ্র লাল সিংয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

