অবাক করার মতো ঘটনা মাসাধিকাল ধরে জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান ইউনিট থেকে রোগীদের প্লেট(ফিল্ম) দিচ্ছে না এই সংস্থা।”
।।সঞ্জীবনী সংস্থার নোটিশ।।
ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেলো, ভেন্ডার প্রাপক সংস্থা “সঞ্জীবনী” সিটিস্ক্যান ইউনিটের দরজায় একটি লিখিত বিজ্ঞপ্তি সেটে দিয়েছে। তাতে লেখা আছে, “বকেয়া বিল না পাওয়ার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিটি স্ক্যানের প্লেট দেওয়া বন্ধ থাকবে।”
ডেস্ক রিপোর্টার, ৩০ নভেম্বর।। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের হাত ধরে ঘটা করে উদ্ধোধন হওয়া সিটি স্ক্যানের বেহাল দশা বর্তমান চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার জামানায়।গত একমাস ধরে সিটি স্ক্যানের প্লেট(ফিল্ম) না পেয়ে হয়রানির শিকার রোগী সহ তাদের আত্মীয় পরিজনরা। তাও আবার প্রকাশ্যে নোটিশ দিয়ে সিটি স্ক্যানের প্লেট না থাকার কথা ঘোষনা দিয়েছে ভেন্ডার প্রাপক সংস্থা। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরস্থিত জেলা হাসপাতালে। অথচ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী – আমলা সহ শাসক দলের নেতারা বারবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের ফর্দ ফেরি করছেন নানান মঞ্চে।
উত্তরের জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর ,চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে হাসপাতালের সিটি স্ক্যানের ভেন্ডার পেয়েছিল কলকাতার “সঞ্জীবনী” নামক সংস্থা। কিন্তু অবাক করার মতো ঘটনা মাসাধিকাল ধরে জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান ইউনিট থেকে রোগীদের প্লেট(ফিল্ম) দিচ্ছে না এই সংস্থা।” অভিযোগ রোগী ও তাদের পরিজনদের।
অনেক রোগীকে প্লেট না দিয়ে মোবাইলে ছবি দিয়ে দিচ্ছেন।
ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেলো, ভেন্ডার প্রাপক সংস্থা “সঞ্জীবনী” সিটিস্ক্যান ইউনিটের দরজায় একটি লিখিত বিজ্ঞপ্তি সেটে দিয়েছে। তাতে লেখা আছে, “বকেয়া বিল না পাওয়ার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিটি স্ক্যানের প্লেট দেওয়া বন্ধ থাকবে।”
।।ধর্মনগর জেলা হাসপাতাল।।
সঞ্জীবনী সংস্থার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মী জানিয়েছেন, “প্রায় একমাস যাবৎ তাঁরা আশঙ্কাজনক রোগীদের সিটি স্ক্যানের প্লেট দিচ্ছেন ।আবার অনেককে প্লেট না দিয়ে মোবাইলে ছবি দিয়ে দিচ্ছেন।আর যাদের প্লেটের প্রয়োজন নেই তাদের দেওয়া হচ্ছে না।” তার কথায়, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বিল পায় নি “সঞ্জীবনী” সংস্থা।সরকারের কাছে কয়েক কোটি টাকা বিল বকেয়া।”
মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ভাষ্কর দাস জানিয়েছেন, “কয়েকদিন আগে জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার থেকে ঘটনাটি জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে তিনি সঞ্জীবনী সংস্থাকে চিঠিও দিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত চিঠির কোনো উত্তর দেয় নি সঞ্জীবনী সংস্থা।
।।মেডিক্যাল সুপার ভাস্কর দাস।।
আক্ষেপ করে মেডিক্যাল সুপার বলেন, জেলা হাসপাতালের অনুমতি ছাড়া বিজ্ঞপ্তি জারি সহ প্লেট দেওয়া বন্ধ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। তিনি সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছেন।