তমজিৎ নাথ তাঁর দেওয়া চিঠিতে দাবী করেছেন, তিনি তার সমস্ত কথা খুলে বলার পরপরই, যাদব তাকে বাধা দেন এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে চিৎকার করতে শুরু করেন। জমি নথি পত্র দেখার আগেই যাদব চিকিৎসক তমজিৎ- র উদ্দেশ্যে  চিৎকার করে বলেন, ” কহা সে হিরো বান কে আ জাতে হ্যায়’ এবং ‘কিস গধে কে পাস তুনে এপ্লাই কিয়া হ্যায়’।

ডেস্ক রিপোর্টার,১১ অক্টোবর।।
           আবারো বিতর্কের মুখে আইএএস শৈলেশ যাদব! তিনি আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেডের সিইও এবং ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন অর্থাৎ টিআইডিসি- র ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন খোদ রাজ্যের একজন চিকিৎসক। তাঁর নাম তমজিৎ নাথ। চিকিৎসকের অভিযোগ, ” একটি অফিসিয়াল বৈঠকে  শৈলেশ যাদব তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এবং তাঁর সঙ্গে অ-পেশাদার আচরণ করে।
          রাজ্যের ধর্মনগরের নিবাসী তথা প্রদেশ বিজেপির ডাক্তার সেলের সদস্য চিকিৎসক তমজিৎ নাথ, আইএএস শৈলেশ যাদবের দুর্ব্যবহারের বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব জে.কে. সিনহাকে।
            চিঠির বয়ান অনুযায়ী, গত চার সেপ্টেম্বর বিকালে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চিকিৎসক তমোজিৎ নাথ গিয়েছিলেন, শৈলেশ যাদবের চেম্বারে।
আগরতলা বড়জলা এলাকায় একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার তাঁর জমি প্রয়োজন। জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত ইস্যুতেই যাদবের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন চিকিৎসক তমজিৎ।

যাদব চিকিৎসক তমজিৎ- র উদ্দেশ্যে  চিৎকার করে বলেন, ” কহা সে হিরো বান কে আ জাতে হ্যায়’ এবং ‘কিস গধে কে পাস তুনে অ্যাপ্লাই কিয়া হ্যায়’।

ডঃ তমজিৎ নাথ তাঁর দেওয়া চিঠিতে দাবী করেছেন, তিনি তার সমস্ত কথা খুলে বলার পরপরই, যাদব তাকে বাধা দেন এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে চিৎকার করতে শুরু করেন। জমি নথি পত্র দেখার আগেই যাদব চিকিৎসক তমজিৎ- র উদ্দেশ্যে  চিৎকার করে বলেন, ” কহা সে হিরো বান কে আ জাতে হ্যায়’ এবং ‘কিস গধে কে পাস তুনে অ্যাপ্লাই কিয়া হ্যায়’।
    ডঃ তমজিৎ নাথ তাঁর চিঠিতে লিখেন  শৈলেশ যাদব তাকে এবং তার সহকর্মী ডঃ মণিময় দেববর্মাকে অপমান করেছেন। তাদের কথা শুনতে অস্বীকার করে, তাদেরকে চেম্বার থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। শুধু তাই নয়, যাদব চিৎকার করে বলেন, “মেরে পাস তুমহারে লিয়ে ফালতু টাইম নেহি হ্যায়” ।তমজিৎ দাবি করেন,  যাদব তাদের বাইরে পিছু পিছু রুম থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এবং মুখে তাদের উদ্দেশ্যে “অসংসদীয় শব্দ” ব্যবহার করেন।


      

আইএএস শৈলেশ যাদবের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যের  মুখ্য সচিব এর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এই ঘটনার অপমান বোধ করেছেন চিকিৎসক তমজিৎ। আইএএস শৈলেশ যাদবের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যের  মুখ্য সচিব এর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এবং যাদবকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।


“জনতার মশাল” এই বিষয় নিয়ে ফোন করেছিল নালিশ জানানো ড: তমজিৎ নাথকে।কিন্তু তিনি চেম্বারে আছে বলে জানিয়ে বিষয়টি স্মার্ট ভাবে এড়িয়ে যান। তমজিৎ এরকম আচরণ করলেন কেন? প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে ধমক খেয়েছেন? অন্যথায় তিনি চিঠি দিয়েছেন এবং এই ঘটনার একটা বিহিত চাইছে। তাহলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে “লজ্জা” পাচ্ছেন কেন প্রাক্তন মন্ত্রী বিভা নাথের তনয় তমজিৎ?

আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেডের বিরুদ্ধেও নানান অভিযোগের গুঞ্জন শোনা যায় লোকমুখে। তাই শৈলেশ যাদব কতটা সৎ অফিসার? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

এমবিবিএস ডিগ্রিধারী আইএএস যাদব, ২০২১ সালে পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের দায়িত্বে থাকাকালীন শহরের একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়ে অসদাচরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। জল গড়িয়ে ছিলো আদালত পর্যন্ত। শৈলেশ যাদব নিজেকে সৎ – নিষ্ঠাবান অফিসার হিসাবে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার দুর্ব্যবহার প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে। তার পরিচালনাধীন আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেডের বিরুদ্ধেও নানান অভিযোগের গুঞ্জন শোনা যায় লোকমুখে। তাই শৈলেশ যাদব কতটা সৎ অফিসার? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

 



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *