ডেস্ক রিপোর্টার, ২৯ জুলাই।।
      ”  নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এস আই আর) নিয়ে তিপ্রামথার প্রধান প্রদ্যুৎ কিশোরের দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। প্রদেশ কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের এসআইআর’ র তীব্র বিরোধিতা করছে কংগ্রেস।এই ইস্যুতে কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে”- বক্তা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা।মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেছেন তিনি।
        প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলছেন, নাগরিকত্বের ভিত্তি বছর হবে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। অর্থাৎ ক্যাব অনুযায়ী। প্রদ্যুৎ কিশোর ক্যাবকে সমর্থন করছেন।আবার তিনিই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এস আই আর) নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন।বলছেন, এস আই আর চালু করা হবে রাজ্যে। প্রদ্যুৎ কিশোরের এই দুই রকম অবস্থান বুঝতে পেরেছে মানুষ।
        আশীষ সাহা বলেন, বিহারে এস আই আর হয়েছে। প্রচুর ভোটারকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।তাতে বিশেষ রাজনৈতিক দল সুবিধা পেয়েছে। আসামেও এস আই আর করার প্রস্তুতি চলছে। এরপরের লক্ষ্য ত্রিপুরা। তিপ্রামথা এসআইআর করার জন্য চিৎকার করছে। রাজ্যে এস আই আর চালু করে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না। তার বিরোধিতা করে তীব্র আন্দোলন করা হবে। আশীষ সাহার বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন মানুষকে ভোটের সচিত্র পরিচয় পত্র দিয়েছে।ভারত সরকার দিয়েছে আধার কার্ড। সিটিজেনশিপ কার্ড। তাহলে ভারত সরকারের নাগরিকত্বের এই সমস্ত ডকুমেন্ট’ র কি কোনো গুরুত্ব থাকবে না।
    আগে ইন্দিরা – মুজিব চুক্তি অনুযায়ী ১৯৭১ ছিল ভারত – বাংলাদেশের মধ্যে নাগরিকত্বের ভিত্তি বছর। এই সময়ে বহু মানুষ রাজ্যে এসেছে।অনেকের কাছেই নানান কারণে তৎকালীন সময়ে কাগজ পত্র নেই। গরীব অংশের মানুষ এই সমস্ত কাগজ পত্রের গুরুত্ব না বুঝে ফেলে দিয়েছেন। বা হারিয়ে গেছে। কিন্তু তারা ভারতীয়। এই রাজ্যের বাসিন্দা। এখন এস আই আর করে তাদেরকে কি অবৈধ ভোটার হিসাবে চিহ্নিত করা হবে? অনেক আদিবাসী মানুষও রয়েছে যাদের পুরানো কাগজ পত্র নেই।
       আশীষ সাহার প্রশ্ন তিপ্রামথার প্রধান প্রদ্যুৎ কিশোর এসআইআরের মাধ্যমে কাদের অবৈধ ভোটার হিসাবে সনাক্ত করতে চাইছেন? কংগ্রেস সভাপতির স্পষ্ট বক্তব্য, এই রাজ্যে এসআইআর- র তীব্র বিরোধিতা করবে কংগ্রেস। প্রয়োজনে সমস্ত অংশের মানুষকে নিয়ে গড়ে তোলা হবে বৃহত্তর আন্দোলন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *