#Tripura#India#Bangladesh#Modi #Dr ManikSaha#Yunus #Janatar#Mashal
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত যদি বাংলাদেশকে আক্রমণ করে,তাহলে নিশ্চিত ভাবে “ত্রিপুরা”ই হবে ইউনূস বধের পূণ্যভূমি।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার এই বক্তব্য, ভারত – বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। কারণ, বাংলাদেশের অস্থির পরিবেশের আঁচড় লাগছে ত্রিপুরাতেও। বাংলাদেশ ত্রিপুরার সীমান্ত ঘেঁষা।স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের অচলাবস্থার দিকে নজর রাখবেন তিনি।
।।অভিজিৎ ঘোষ।।
________________
ডেস্ক রিপোর্টার, ১ডিসেম্বর।।
” বাংলাদেশকে এখনই সাবধান হওয়া উচিত।অন্যথায় পরে আফসোস করতে হবে।”— বক্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।শনিবার আগরতলা শহরে অনুষ্ঠিত পরপর দুইটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এই ভাষায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনূসকে সাবধান করে দিয়েছেন।
রাজনীতিকদের ভাষায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার এই বক্তব্য, ভারত – বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। কারণ, বাংলাদেশের অস্থির পরিবেশের আঁচড় লাগছে ত্রিপুরাতেও। বাংলাদেশ ত্রিপুরার সীমান্ত ঘেঁষা।স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের অচলাবস্থার দিকে নজর রাখবেন তিনি।

দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি ওপারের
ইউনূস বধের স্ক্রিপ্ট রচনা করতে কমল ধরেছেন?

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগের পর থেকে ওপারে অশান্তি। এই বিষয় নিয়ে এতো দিন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা তেমন কোনো মন্তব্য করেন নি। তিনি শুধু বলেছিলেন, ” ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।এবং সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে কড়া নজরদারি।” বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে মান্যতা দিতে হবে দেশের বিদেশ নীতির উপর। দিল্লি – ঢাকার বিদেশ নীতির উপর ফোকাস রেখেই এতো দিন মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ ইস্যুতে গড়পড়তা মন্তব্য করেছেন।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহাকে দেখা গেলো অন্য মেজাজে।পর পর দুইবার বাংলাদেশ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তিনি।তাও আবারও স্মার্ট ভাবে ওপারের সুদখোর মহাজন ইউনূস সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাবেই বলেছেন, ” “বাংলাদেশের শুধরে গেলে ভালো। সময় আছে এখনো। বাংলাদেশের গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।”

মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশের যা হচ্ছে, তা ভালো নয়। রাজ্যের তিন দিকেই বাংলাদেশ সীমান্ত।তাই – বিএসএফকে সীমান্তে কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কথা বলেছেন পুলিশ মহানির্দেশকের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার আক্ষেপ, এপারের সংখ্যালঘুরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করছেন নির্দ্বিধায়। আর ওপারের সংখ্যালঘুদের উপর চলছে স্টিমরোল। মুখ্যমন্ত্রী তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের সরকার ও মানুষের মানসিকতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
আরো খবর পড়ুন
বিদেশ মন্ত্রকের লাইন মেনেই মুখ্যমন্ত্রীও বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন।
সম্প্রতি ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বাংলাদেশ ইস্যুতে পরপর কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছে। এই বিবৃতির মাধ্যমে ভারত,বাংলাদেশের প্রতি তাঁর মনোভাবের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। আর এই লাইন মেনেই মুখ্যমন্ত্রীও বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে সূর চড়িয়েছেন। চলতি সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দেশের রাজ্যগুলির পুলিশ মহানির্দেশকদের সঙ্গে বৈঠক করে সীমান্ত নিরাপত্তার উপর জোর দিয়েছেন। এই সময়েই তিন দিকে বাংলাদেশ বেষ্টিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ইউনূসকে সাবধানী বার্তা দেওয়ার রসায়ন কিন্তু অন্য কথা বলছে।

আরও খবর পড়ুন
https://x.com/janatarmashal24/status/1862782564026450354?t=BXNT8KN8M63z_HZq9eGH7Q&s=19

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার বাংলাদেশ নিয়ে করা মন্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেছেন, বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে ত্রিপুরার কি অবদান ছিলো? কূটনীতিকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত যদি বাংলাদেশকে আক্রমণ করে,তাহলে নিশ্চিত ভাবে “ত্রিপুরা”ই হবে ইউনূস বধের পূণ্যভূমি।
সব মিলিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার বাংলাদেশ নিয়ে করা মন্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহল।

তাহলে কি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওপারের ইউনূস বধের স্ক্রিপ্ট রচনা করতে কলম ধরেছেন? আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও চাগার দিচ্ছে মিলিয়ন ডলারের এই প্রশ্ন।