#Tripura#Politics #Bjp #Agartala #Janatar #Mashal

গুরু মা’র নির্দেশের গোটা মণ্ডলে
চলছে নিগোসিয়েশন বাণিজ্য।
গুরু মা ইতিমধ্যেই মন্ডল নেতা তপনকে একটা নামের ফর্দ ধরিয়ে দিয়েছেন। ফর্দ- র উপপাদ্য হলো দলের কোন কোন নেতার সঙ্গে মন্ডল সভাপতিকে দুরত্ব বজায় রাখতে হবে,আবার কোন কোন নেতার সঙ্গে সখ্যতা রাখতে হবে। আর তাতেই চাপে পড়ে যান মন্ডল সভাপতি। হাত খুলে তাঁর পক্ষে সংগঠন সাজানো অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
ডেস্ক রিপোর্টার ,১৯ ফেব্রুয়ারি।।
সর্ব শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হাতছাড়া করেছে শহরের ” ৬-আগরতলা” বিধানসভা কেন্দ্রটি। তার আগে উপ নির্বাচনেও বিজেপি ছিটকে গিয়েছিলো।অর্থাৎ আগরতলাতে পায়ের নিচে মাটি নেই বিজেপির। এটা স্পস্ট। কিন্তু তারপরও আগরতলা মণ্ডলে বিজেপি নিজেদের শক্তি মজবুত না করে, মেতে উঠেছে ধ্বংস লীলায়। নেপথ্যে নাকি গুরু মা। বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ, আগরতলা মণ্ডলে সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধির পরিবর্তে কাকড়া সংস্কৃতির প্রবর্তন শুরু করেছে স্ব- ঘোষিত গুরু মা। তিনি বিপ্লব – মানিক উভয় জামানাতেই রহস্যের জাল বিস্তার করে রাজনীতি করছেন।এবং আগরতলায় বিজেপির সংগঠনে ক্ষয় রোগের প্রভাব বিস্তার করছেন। তাতে অবশ্যই দলের লাভ না হলেও স্ফীত হচ্ছে নিজের সিন্দুক।
আগরতলা মন্ডলের বিজেপির কর্মীদের কথা অনুযায়ী, গুরু মা’র নির্দেশের গোটা মণ্ডলে চলছে নিগোসিয়েশন বাণিজ্য। গুরু মা’র নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের চর রাকেশ নামে এক যুবক। অভিযোগ, নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের স্ক্রিপ্ট রচনা করেন গুরু মা নিজেই। তবে তার লেখা স্ক্রিপটকে বাস্তব রূপ দিয়ে মার্কেট থেকে অর্থ সংগ্রহ করে অনুচর রাকেশ। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই প্রথা। অর্থ রোজগার হলেও কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপকে আগামীর ভোট যুদ্ধে পরাজিত করার মতো কোনো পরিকল্পনা নেই গুরু মা’র। তবে এটাও বাস্তব আগামী দিনে এই কেন্দ্র থেকে তিনি টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়েই ঘোর সন্দেহ।

আরো খবর পড়ুন
https://janatarmashal.com/tipura-news21-will-keep-the-bjp-away-from-power/
গুরু মা ইতিমধ্যেই মন্ডল নেতা তপনকে একটা নামের ফর্দ ধরিয়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি আগরতলা মণ্ডলে নতুন মন্ডল নেতা হয়েছেন তপন। বিজেপির কর্মীদের কথায়, তপনকে শাড়ির আঁচলে বেঁধে ফেলার জন্য নাকি গুরু মা তৈরি করেছেন আরো এক নতুন স্ক্রিপ্ট। আর তাতেই নাকি চাপে পড়ে গিয়েছেন নতুন মন্ডল সভাপতি তপন । কীভাবে? বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, গুরু মা ইতিমধ্যেই মন্ডল নেতা তপনকে একটা নামের ফর্দ ধরিয়ে দিয়েছেন। ফর্দ- র উপপাদ্য হলো দলের কোন কোন নেতার সঙ্গে মন্ডল সভাপতিকে দুরত্ব বজায় রাখতে হবে,আবার কোন কোন নেতার সঙ্গে সখ্যতা রাখতে হবে। আর তাতেই চাপে পড়ে যান মন্ডল নেতা তপন। হাত খুলে তাঁর পক্ষে সংগঠন সাজানো অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
এই বিষয়টি বিজেপি নজর না দলে ‘সুদিনেও’ আগরতলা কেন্দ্রে বিজেপি’র ধংস লীলা নিশ্চিত হয়ে যাবে।

ফারা বাঁশে আটকে যাওয়া মন্ডল নেতা তপন নাকি এখন স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিতে পারছেন না। লবিবাজির কোপে পড়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরাজ ভাজন হয়ে উঠছেন তপন। তাতে বাড়ছে সমস্যা। এই বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।রাজনৈতিক ভাবে সুদীপ এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে নিজের জমি আরও শক্তিশালী করে তুলছেন। অন্য দিকে পায়ের নিচের মাটি আরো সরে যাচ্ছে বিজেপির। গুরু মা’র এই কার্যকলাপে এখন বিত শ্রদ্ধ হয়ে উঠছে খোদ আগরতলা মন্ডলের ভাজপার নেতৃত্ব। তারা গোপনে ভিড়তে শুরু করেছে সুদীপের দিকে! কর্মীদের কথায়, এই বিষয়টি বিজেপি নজর না দলে ‘সুদিনেও’ আগরতলা কেন্দ্রে বিজেপি’র ধংস লীলা নিশ্চিত হয়ে যাবে।